1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

রাঙ্গুনিয়াতে ইসমাইল বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট,

নুরুল ইসলাম রিপন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৪৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ক্রমেই বেড়েই চলেছে ফেনীর সন্ত্রাসী নেতা নিজাম হাজারীর অন্যতম সহযোগী ইসমাইল বাহিনীর আধিপত্য। এলাকাবাসী দিন দিন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এই বাহিনীর অপরাধী কার্যক্রমের কারণে। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণ, ভূমিদস্যুতা, গুম, খুনসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধের মাধ্যমে এলাকায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে ইসমাইল বাহিনী। রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রশাসনের অবহেলায়, সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে এবং দিন দিন এসব অপরাধ বেড়েই চলেছে। ইসমাইল (৫০), পিতা মৃত রফিক আহাম্মদ, পশ্চিম সরফভাটা, মীরেরখীল পাইট্যাইল্লাকুল রাঙ্গুনিয়ার অধিবাসী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত। ২০০৩/২০০৪ সালে তিনি অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হন এবং কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দী ছিলেন। তবে জামিনে মুক্তির পর তিনি বিদেশে পাড়ি দেন। দুবাইয়ে বসবাসকালে তিনি “ডুবাই জাতীয়তাবাদী ফোরামের” নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন এবং চাঁদাবাজি, অপহরণ, অস্ত্র ব্যবসা সহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা চালান। ইসমাইল, ফেনীর নিজাম হাজারীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া, ইসমাইল বাহিনীর মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় পরিচালিত হচ্ছে একাধিক অপরাধের সিন্ডিকেট। বালির মহাল দখল, বনভূমি উজাড়, ভূমিদস্যুতা, বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি এবং হত্যাযজ্ঞ এই বাহিনীর অন্যতম কার্যকলাপ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা স্থানীয় ইটভাটা থেকে চাদা আদায় করে, সরকারি জমি দখল করে, পার্শ্ববর্তী নদী ও বনভূমি থেকে গাছ-বাশ কাটার কাজে জড়িত এবং চাঁদাবাজি করে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন এসব অপরাধে নজর না দিয়ে একপ্রকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তার অভাবে ইসমাইল বাহিনী এলাকার মানুষের জীবনে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে এর বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই, এক সময়, তিনি নিজেই রাঙ্গুনিয়াতে বিশাল বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন। তার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দলের নেতাদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। ইসমাইল বর্তমানে দলীয় রাজনীতির বাইরে হলেও, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ এখনও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি।
এছাড়া, তার সাথে রয়েছে ফেনী, রাউজানসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার দুর্বৃত্তদের গভীর সম্পর্ক। ফেনীর নিজাম হাজারী, বিএনপির পূর্ববর্তী সরকার আমলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এবং তার সাথে ইসমাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, তারা এসব অপকর্মের বিষয়ে অবগত নন এবং তাদের অজান্তেই এসব অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। তবে, তারা দাবি করেছেন যে শীঘ্রই দলের হাই কমান্ডকে বিষয়টি জানিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের মতে, প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে পরিস্থিতি দিন দিন আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা উল্লেখ করেছেন, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে,এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ইসমাইল বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকার শান্তি নষ্ট করে চলেছে। নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, যার মধ্যে রয়েছে চুরি, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড, এবং ভূমিদস্যুতা, আজন্ম অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ এই বাহিনীর দমনমূলক কাজকর্মের কারণে অত্যন্ত আতঙ্কিত এবং বিপদগ্রস্ত। কেউ যেন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না, কারণ বাহিনীটি ভয়াবহভাবে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে।
এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের দাবি, প্রশাসন দ্রুত এই বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বিশেষত, সন্ত্রাসী ইসমাইল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ না নিলে রাঙ্গুনিয়াতে অপরাধের রাজত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতি এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হবে।রাঙ্গুনিয়া অঞ্চলের জনগণ এখন প্রশাসনের কাছে সঠিক পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে। একদিকে যেখানে রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য অপেক্ষা করছেন, সেখানে অপরাধীরা দিন দিন তাদের দাপট বাড়িয়ে চলেছে। সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন করতে হলে, কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের একত্রিত প্রয়াস জরুরি। প্রশাসনের উচিত, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা এবং তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটানো। এক্ষেত্রে, জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট