1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

২০২৪: স্বৈরশাসনের ছায়া ও ২০২৫-এ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা”

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

২০২৪ সাল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি কঠিন অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের একনায়কতান্ত্রিক শাসন জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতাকে বারবার খর্ব করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠ দমন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থার সংকট এই সময়কে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের ছাপ: গণতন্ত্রের অপমৃত্যু: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বদলে ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলকে দমনের জন্য মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং হয়রানির সংস্কৃতি চালু রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন: রাজনৈতিক কর্মীদের গুম, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। ভোটাধিকার হরণ: দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, ‘মধ্যরাতের ভোটে’ সরকার গঠন শেখ হাসিনার শাসনের চিত্র হয়ে উঠেছে। বাকস্বাধীনতার সংকোচন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে, সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মুক্তমত প্রকাশ করলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে ভয় দেখানো হচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রত্যাশা: বাংলাদেশের জনগণ চায়— স্বৈরতন্ত্রের অবসান এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ হোক। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক, যাতে জনগণ অবাধে ভোট দিতে পারে। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠিত হোক।

বিএনপির অঙ্গীকার:

বিএনপি বিশ্বাস করে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ আবারও তার গণতান্ত্রিক পরিচয়ে ফিরে আসবে। জনগণের স্বার্থে শেখ হাসিনার দমননীতি থেকে মুক্তি পেয়ে, একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারের অবসানই ২০২৫-এর প্রধান লক্ষ্য। জনগণের সম্মিলিত শক্তি শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে নতুন পথে এগিয়ে নেবে। তা চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের অনুভূতি-

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রত্যাশা – চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে কার্যকর করতে নগরবাসীর সহযোগিতা জরুরি”

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নতুন বছরের শুরুতে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি তার আশাবাদ ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি সিটি কর্পোরেশনকে একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিগত সময়ে সিটি কর্পোরেশন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে কার্যকারিতা হারিয়েছিল। রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়াদকালে কর্পোরেশন একপ্রকার অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, যার ফলে নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ এবং নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনকে নতুনভাবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা ছাড়া এই পরিবর্তন সম্ভব নয়।” নতুন বছরে চট্টগ্রামের উন্নয়নে নাগরিকদের আন্তরিক সমর্থন ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, “আপনারাই এই নগরীর শক্তি। আপনাদের মতামত, পরামর্শ ও সমালোচনা আমাদের কাজের গতি বাড়াবে এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে একটি সুন্দর, আধুনিক ও বাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলি।”নতুন বছর চট্টগ্রামবাসীর জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আসুক – এই প্রত্যাশায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নতুন বছরের অঙ্গীকার: দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু নির্মাণে অটুট আন্দোলন

চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন নতুন বছরের আগামী দৃষ্টিতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং চট্টগ্রামে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবিতে তিনি দীর্ঘ বছর ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং নতুন বছরে এই আন্দোলন আরও তীব্র করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন।

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, “নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন আশার বার্তা নিয়ে আসুক, তবে এই আশা বাস্তবায়িত হবে যদি আমরা আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হই। চট্টগ্রাম, বিশেষত কালুরঘাট সেতু, যা আমাদের নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তার নির্মাণ এখনও প্রকৃতপক্ষে সম্পন্ন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পের জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি, এবং আগামী বছর এই আন্দোলনের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।” তিনি আরও বলেন, “কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি শুধু একটি অবকাঠামোগত দাবি নয়, এটি চট্টগ্রামবাসীর উন্নত জীবনযাত্রার দাবি। এ সেতুর মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরও সুগম হবে, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দক্ষ এবং দ্রুত হবে। এই প্রকল্পটি শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন আরও উল্লেখ করেন, “আমরা শুধু কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য নয়, চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়ার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। নতুন বছরে, আমরা একযোগে সরকারের কাছে এই দাবিগুলো তুলে ধরব এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য তৎপর থাকব।” তিনি জানান, “দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারকে আরও পরিকল্পিত এবং সুসংহত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষত, অবকাঠামো উন্নয়নে চট্টগ্রামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে, দ্রুত পদক্ষেপ নেবার বিকল্প নেই। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে এবং নতুন বছরেই আমরা তা আরও তীব্র করব। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের এই লক্ষ্য পূরণের জন্য চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা অপরিহার্য।”

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন চট্টগ্রামবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিশ্চত হবে এবং কালুরঘাট সেতু নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে নতুন বছরে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম এবং দেশ গড়ার জন্য কাজ করি।”

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নতুন বছরের অঙ্গীকার: দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু নির্মাণে অটুট আন্দোলন

চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন নতুন বছরের আগামী দৃষ্টিতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং চট্টগ্রামে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবিতে তিনি দীর্ঘ বছর ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং নতুন বছরে এই আন্দোলন আরও তীব্র করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন।

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, “নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন আশার বার্তা নিয়ে আসুক, তবে এই আশা বাস্তবায়িত হবে যদি আমরা আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হই। চট্টগ্রাম, বিশেষত কালুরঘাট সেতু, যা আমাদের নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তার নির্মাণ এখনও প্রকৃতপক্ষে সম্পন্ন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পের জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি, এবং আগামী বছর এই আন্দোলনের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি শুধু একটি অবকাঠামোগত দাবি নয়, এটি চট্টগ্রামবাসীর উন্নত জীবনযাত্রার দাবি। এ সেতুর মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরও সুগম হবে, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দক্ষ এবং দ্রুত হবে। এই প্রকল্পটি শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন আরও উল্লেখ করেন, “আমরা শুধু কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য নয়, চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়ার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। নতুন বছরে, আমরা একযোগে সরকারের কাছে এই দাবিগুলো তুলে ধরব এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য তৎপর থাকব।” তিনি জানান, “দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারকে আরও পরিকল্পিত এবং সুসংহত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষত, অবকাঠামো উন্নয়নে চট্টগ্রামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে, দ্রুত পদক্ষেপ নেবার বিকল্প নেই। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে এবং নতুন বছরেই আমরা তা আরও তীব্র করব। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের এই লক্ষ্য পূরণের জন্য চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা অপরিহার্য।”

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন চট্টগ্রামবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিশ্চত হবে এবং কালুরঘাট সেতু নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে নতুন বছরে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম এবং দেশ গড়ার জন্য কাজ করি।”

“রাজনীতির দুঃসময়ে উত্তর জেলা বিএনপির শক্তিশালী নেতৃত্ব: গোলাম আকবর খন্দকারের দৃঢ় প্রত্যয়”

বিগত সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষত বিএনপির জন্য, একাধিক দুঃসময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের নেতৃত্বের অভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও, বিএনপি তার আদর্শ এবং মূল ভিত্তির প্রতি অনড় থাকার চেষ্টা করেছে। এই দুঃসময়ে বিএনপির উত্তর জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খন্দকার, যিনি এখন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, তার নেতৃত্বে দলের ভবিষ্যত চিত্র নতুন করে আঁকা যেতে পারে।
গোলাম আকবর খন্দকারের রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘ এবং সাফল্যমণ্ডিত। বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার সময়েও, বিশেষ করে ২০০৭-২০০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময়, তিনি বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন। সেই সময় দলটি যখন রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে, তখন তিনি তাঁর কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক দক্ষতার মাধ্যমে দলের কর্মকাণ্ডে নিজস্ব কৌশল ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ, যা জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি ছিল, তা আজও বিএনপির মূল দিশা। গোলাম আকবর খন্দকার বিশ্বাস করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জিয়ার আদর্শের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মতে, দেশের জনগণের প্রকৃত উন্নয়ন এবং মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হলে, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের পক্ষেই থাকবে। গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাহসী নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের দূরদর্শী চিন্তা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠবে। বেগম খালেদা জিয়া যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তার নেতৃত্বের প্রতি জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন কখনও কমেনি। তারেক রহমান, যিনি বর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তার নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তার পরিকল্পনা ও কৌশল বিএনপির শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণের মধ্যে দলের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। এমন কঠিন সময়ে, যখন বিএনপি একদিকে সরকারের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি, অন্যদিকে দলের ভেতর নানা ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে, গোলাম আকবর খন্দকার তার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে উত্তর জেলা বিএনপির ভিতকে শক্তিশালী করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দলের ঐতিহ্য এবং নীতি থেকে বিচ্যুত হলে, বিএনপি কখনো জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না। দলীয় ঐক্য এবং আদর্শে অবিচল থাকার মাধ্যমে, তিনি দলের সকল নেতাকর্মীদের একত্রিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

উত্তর জেলা বিএনপি, গোলাম আকবর খন্দকারের নেতৃত্বে, আগামী বছর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন দিশা এবং উন্নতির জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেবে। তাদের লক্ষ্য, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করা এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া। এই নেতৃত্বের দৃঢ়তায়, আগামী বছর বিএনপি আবারও জনগণের বিশ্বাস অর্জন করবে এবং দেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলবে।
গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, “আজও জিয়ার আদর্শের প্রতি আমাদের অবিচল আস্থা আছে, আমরা বিশ্বাস করি, এই আদর্শেই বিএনপি আগামী দিনগুলিতে সফল হবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের কৌশলকে অনুসরণ করে দলের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাব।” এভাবে, আগামী বছর উত্তর জেলা বিএনপির জন্য একটি নতুন আশা ও সম্ভাবনার বছর হতে যাচ্ছে, যেখানে দলের অঙ্গীকার, শক্তি এবং নেতৃত্ব একটি নতুন চেহারা পাবে।

 

নতুন বছরে চট্টগ্রামে বিএনপির অগ্রযাত্রা – এরশাদ উল্লাহ ও নাজিমুর রহমানের প্রত্যাশা”

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নতুন বছরকে সামনে রেখে আশার আলো ছড়িয়ে পড়ছে। বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আরও সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে যাবে। নতুন বছর বিএনপির জন্য শুধু একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নয়, বরং এটি চট্টগ্রামের উন্নয়ন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

এরশাদ উল্লাহ বলেন, “শহীদ জিয়া ছিলেন জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তার আদর্শ আমাদের রাজনীতিতে আজও প্রেরণার উৎস। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আমাদের শক্তিশালী করেছে এবং তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা চট্টগ্রামে বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত করছি।” তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামের রাজনীতিতে বিএনপির শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। এ মহানগরের প্রতিটি অলিগলি, প্রতিটি মানুষ শহীদ জিয়ার চেতনায় বিশ্বাসী। তাই চট্টগ্রামের বিএনপি কখনো পিছু হটবে না, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে।”

নাজিমুর রহমান বলেন, “চট্টগ্রাম শুধু ভৌগোলিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও গণমানুষের অধিকারের জন্য বিএনপি অতীতেও কাজ করেছে, বর্তমানেও করছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে। নতুন বছরটি হবে বিএনপির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের বছর, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, শহীদ জিয়ার আদর্শ, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের কৌশলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো।”

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব গড়ে উঠছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও নিবিড়ভাবে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৪ সাল হবে বিএনপির রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের বছর।”

এরশাদ উল্লাহ ও নাজিমুর রহমান আশা প্রকাশ করেন, নতুন বছর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে পরিবর্তনের সূচনা করবে। চট্টগ্রামের জনগণ বরাবরের মতো বিএনপির পাশে থাকবে এবং বিএনপি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে থাকবে। তারা বলেন, “আমরা চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। জনগণই বিএনপির শক্তি এবং এই শক্তির ওপর ভর করেই বিএনপি চট্টগ্রামে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে।”

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা নতুন বছরের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং চট্টগ্রামে বিএনপির অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না

“আমি আবারও রাজনীতিতে ফিরছি: আসলাম চৌধুরীের চোখে আগামী বছরের প্রত্যাশা”

আমি দীর্ঘ আট বছর কারাগারে কাটিয়েছি। এই সময়ে অনেক কিছুই বদলে গেছে, কিন্তু আমি কখনোই আমার রাজনৈতিক আদর্শ ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্ব ভুলে যাইনি। আজ আমি মুক্ত, কিন্তু আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল চট্টগ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জন্য কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক সংগ্রামে কখনোই হার মানা উচিত নয়। কারাবাসের অভিজ্ঞতা আমাকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। আমি এখন আরও পরিণত, আরও সাহসী। দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট, শোষণ, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে।

আমার প্রথম লক্ষ্য হলো বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা। আমি জানি, দলের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামে অনেক সংগ্রাম করেছেন। এখন সময় এসেছে, আমরা একত্রিত হয়ে জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করব। আমি চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, যাতে আমি আরও সক্রিয়ভাবে জনগণের সেবা করতে পারি। আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। বিশেষ করে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা আমার মূল লক্ষ্য। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করে আমরা একটি শক্তিশালী দেশ গঠন করতে পারব।তবে, আমি জানি, পথটি সহজ হবে না। সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের চক্রান্ত করছে। আমি এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমাদের সংগঠন, আমাদের দল এবং আমাদের জনগণ একত্রিত হয়ে এসব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করবে। আগামী বছরগুলিতে আমার প্রতিজ্ঞা হচ্ছে, আমি জনগণের আস্থা অর্জন করতে থাকব এবং তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব। বিএনপি যদি আমাকে আরেকটি সুযোগ দেয়, তবে আমি সীতাকুণ্ডের মানুষের জন্য আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করব। মনে রাখবেন, রাজনীতি মানে শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকা নয়, মানুষের ভালোবাসা ও আস্থার মাঝে থাকতে হয়। আমি জনগণের জন্য, দেশের জন্য কাজ করতে ফিরে এসেছি।

“আবু সুফিয়ানের দৃঢ়তা: জিয়ার আদর্শে অবিচল এক সৈনিক”

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান আজও সেই শপথে অবিচল, যা তিনি নিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে। বিএনপির প্রতিটি সংগ্রাম, প্রতিটি বাধা পেরিয়ে তিনি নির্ভীক সৈনিকের মতো সামনে এগিয়ে চলেছেন। আবু সুফিয়ানের রাজনীতির মূল মন্ত্র একটাই – গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শহীদ জিয়ার পথ অনুসরণ করা এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সুসংহত করা।

আবু সুফিয়ানের প্রতিটি ভাষণে জিয়ার অবদান প্রতিফলিত হয়। তিনি মনে করেন, শহীদ জিয়া কেবল একজন রাষ্ট্রপতি নন, তিনি ছিলেন একটি স্বাধীন জাতির প্রকৃত স্থপতি। দেশের স্বার্থরক্ষায় এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান যে আদর্শ রেখে গেছেন, সেটিই আবু সুফিয়ানের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রতিকূল সময় পাড়ি দিয়েছেন, আবু সুফিয়ান ছিলেন তার পাশে। চট্টগ্রামের রাজপথে তিনি সবসময় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আওয়াজ তুলেছেন। তারেক রহমান যখন দেশ ও দলের জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তখন আবু সুফিয়ান চট্টগ্রামে সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। তিনি মনে করেন, তারেক রহমান বিএনপির ভবিষ্যৎ এবং তার হাত ধরেই জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ নেবে। তারেক রহমানের প্রতিটি সিদ্ধান্তে আবু সুফিয়ানের অবিচল সমর্থন রয়েছে। আবু সুফিয়ান চট্টগ্রামে বিএনপির ভিত্তি মজবুত করতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন এবং তার দৃঢ় বিশ্বাস – একদিন জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশে আবারো গণতন্ত্রের সূর্য উঠবে। আবু সুফিয়ান শুধু একজন নেতা নন, তিনি বিএনপির হৃদয়ে থাকা এক নির্ভরযোগ্য নাম। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি আজও শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। শহীদ জিয়ার দেখানো পথে থেকে, খালেদা জিয়ার সংগ্রামকে সমর্থন করে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে আবু সুফিয়ান চট্টগ্রামকে বিএনপির দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলার শপথে অবিচল থাকবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট