৫ই আগস্টের পর, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহাসান হাবিব এবং পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ কঠিন পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের নেতৃত্বে, চট্টগ্রাম পুলিশ বাহিনী সংকটের মধ্যে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছে। ডিআইজি আহাসান হাবিব এবং কমিশনার হাসিব আজিজ নিজেদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা এবং সাহসিকতার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিশ্বাস সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের সময়ে, জনগণের সাথে পুলিশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে, এবং অনেক জায়গায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিদ্যমান নেতিবাচক ধারণা দূর করা সম্ভব হয়েছে। তারা জনসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সমাজে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন, এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতিতে বিশেষ নজর দিয়েছেন। পুলিশের এই ধরনের দায়িত্বশীলতা ও সক্ষমতার কারণে, চট্টগ্রামবাসী আজ আগের চেয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত বোধ করছে। এই সফলতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তাদের প্রতি সমর্থন ও উৎসাহ অতি প্রয়োজনীয়। তাদের নেতৃত্বের প্রশংসা এবং তাদের কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।এই প্রতিবেদনে, আহাসান হাবিব এবং হাসিব আজিজের সফলতা ও সাহসিকতার প্রশংসা জানিয়ে আমরা আরও আশা করি, তাদের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম পুলিশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
“নতুন বছরে সকল মতভেদ ভুলে দেশসেবায় একযোগে এগিয়ে চলার আহ্বান জানালেন ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশ”
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে একটি শক্তিশালী এবং মানবিক পুলিশ বাহিনী গঠনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের উচিত সকল মতভেদ ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থে একযোগে কাজ করা। বিশেষ করে আমাদের গৌরব উজ্জ্বল পুলিশ বাহিনীকে জনবান্ধন পুলিশ হিসেবে গড়েতোলার জন্য দলমত নির্বিশেষে ভূমিকা পালন করতে হবে।” ডিআইজি পলাশ তার বক্তব্যে আরও বলেন, “পুলিশ বাহিনী সবসময় দেশের মানুষের নিরাপত্তা এবং শান্তির জন্য কাজ করে থাকে। কিন্তু তা নিশ্চিত করতে হলে পুলিশকে শুধু শক্তিশালী নয়, আরও মানবিক ও জনবান্ধন হতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করা একান্তভাবে জরুরি, এবং এর জন্য আমাদের নিরলস কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন, “নতুন বছরে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে একটি আধুনিক, দক্ষ এবং জনগণের কাছে আরও সুনাম অর্জনকারী পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা। পুলিশের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি করতে, আমাদের আরও পারদর্শী, আরও সহানুভূতিশীল হতে হবে, যাতে জনগণ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধা না করে।” ডিআইজি পলাশ আরও যোগ করেন, “দেশের যেকোনো সংকট বা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনী সর্বদা প্রথম সারিতে থাকে। আমরা একে অপরকে সহায়তা করে নতুন বছরকে নতুন উদ্দীপনায় শুরু করতে চাই, যেখানে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। আমাদের দায়িত্বের চেতনা যেন প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিফলিত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” এছাড়া, তিনি বলেন, “যতদিন আমাদের মধ্যে আন্তরিকতা, দায়িত্বশীলতা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে, ততদিন পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা অটুট থাকবে। আমরা যদি আমাদের কাজে পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারি, তাহলে আমাদের পুলিশ বাহিনী হবে এক সফল এবং জনবান্ধন বাহিনী।” এভাবে, নতুন বছরে একটি শক্তিশালী, মানবিক এবং জনগণের পাশে থাকা পুলিশ বাহিনী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশ, যিনি মনে করেন, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে একত্রিত হয়ে সমাজ ও দেশের সেবা করা সবচেয়ে বড় কর্তব্য।
“চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজের নতুন বছরের প্রতিশ্রুতি: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন ও নাগরিক সেবায় নয়া উদ্যোগ”
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ নতুন বছর উপলক্ষে চট্টগ্রাম শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “নতুন বছর শুরু হলে আমাদের লক্ষ্য থাকবে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করা এবং নাগরিকদের জন্য উন্নত পুলিশিং সেবা নিশ্চিত করা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা প্রস্তুত। আগামী বছরে পুলিশিং সেবায় নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, যা শহরের প্রতিটি এলাকার মানুষকে কার্যকর সেবা পৌঁছে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশিং সেবা আরও আধুনিকীকরণ এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হবে, বিশেষ করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সড়ক দুর্ঘটনা কমানো এবং অপরাধ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন প্রযুক্তি, ড্রোন এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি ব্যবস্থা আরও কার্যকর করা হবে।”কমিশনার হাসিব আজিজ চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, “প্রযুক্তিগত পদক্ষেপের পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। আমাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পুলিশকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। নাগরিকদের সচেতনতা, আইন মানার অভ্যেস এবং সহানুভূতির মাধ্যমে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ শহর গড়ে তুলতে পারব। অপরাধী বা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং পুলিশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিনিয়ত জনগণের সেবায় নিবেদিত এবং আমাদের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে রয়েছে জনগণের নিরাপত্তা। জনগণের কাছে আমাদের আহ্বান, কোনো ধরনের অপরাধ বা অনিয়ম ঘটলে তা পুলিশকে জানানো হোক, যেন আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি। পুলিশের কাছে সবার মতামত এবং অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।”কমিশনার হাসিব আজিজ চট্টগ্রামবাসীকে আরও বলেন, “আমরা চাই প্রতিটি নাগরিক এই শহরে নিরাপদে বাস করুক, তাদের সন্তানরা সুরক্ষিত থাকুক এবং প্রতিটি পরিবার শান্তিতে থাকুক। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি উন্নত, নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ চট্টগ্রাম গড়ে তুলি।” নতুন বছরের জন্য তাঁর আহ্বান, “চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় নগরবাসীর পাশে থাকবে। আমরা চাই আগামী বছর এই শহরের আইনশৃঙ্খলা আরও শক্তিশালী, নাগরিক সেবা আরও উন্নত এবং সমাজ আরও নিরাপদ হোক। আপনাদের সহযোগিতায়, চট্টগ্রাম হবে একটি মডেল শহর যা গোটা দেশবাসীর জন্য গর্বের বিষয় হবে।” কমিশনার হাসিব আজিজ চট্টগ্রামবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের সহযোগিতা ও সমর্থনের আহ্বান জানান।
“ডিসি ফরিদা খানমের প্রতিশ্রুতি: নতুন বছরে চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ”
আগামী নতুন বছর চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, এমন বিশ্বাস পোষণ করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম শহরের সামগ্রিক উন্নয়ন, নাগরিক সেবা, এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আর তাই এ অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনগণের সেবার মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফরিদা খানম বলেন, “আমরা ২০২৪ সালে চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক, সুশৃঙ্খল ও উন্নত শহরে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন সড়ক, পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং আইন-শৃঙ্খলা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সকল পদক্ষেপ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম হবে দেশের অন্যতম উন্নত শহর।” তিনি আরও জানান, জনগণের প্রতি সরকারের অঙ্গীকার হচ্ছে তাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করা। জেলা প্রশাসক হিসেবে তার দায়িত্ব হচ্ছে, জনগণের প্রয়োজনীয় সেবা দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার ও অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে প্রতিটি নাগরিকের জন্য উন্নত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিবেদিত। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু উন্নয়ন করা নয়, জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ও তাদের সমস্যার সমাধান করা।”এছাড়া, ফরিদা খানম জানান, প্রশাসন জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং তাদের আস্থা অর্জন করতে সচেষ্ট থাকবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি তিনি জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশ রক্ষা, এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, “জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সকলের সমর্থন ও সহযোগিতায় আমরা চট্টগ্রামকে একটি উন্নত, আধুনিক ও সবদিক থেকে কল্যাণমুখী শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।” ডিসি ফরিদা খানম দৃঢ় প্রত্যয়ে জানান, ২০২৪ সালে চট্টগ্রামে সব ধরনের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, যাতে চট্টগ্রাম শহরের জীবনযাত্রা আরও উন্নত হয় এবং এটি দেশের উন্নয়নের অগ্রভাগে স্থান পায়। “চট্টগ্রামবাসীর সুখ-সমৃদ্ধির জন্য আমরা একসাথে কাজ করতে চাই এবং ২০২৪ হবে চট্টগ্রামের জন্য নতুন সম্ভাবনার বছর।”