1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

শেখ হাসিনার একনায়কত্ব ও বেগম জিয়ার সংগ্রাম: এক ইতিহাসের অমোচনীয় স্মৃতি

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

বেগম খালেদা জিয়ার জয় এবং শেখ হাসিনার পতন:

এক কবিতায়
বেগম খালেদা জিয়া, এক মহীয়সী নারী,
শেখ হাসিনার হাতে যে ক্ষতি হল তার, গলাধাক্কা দিয়ে,

বাসা থেকে বের করে, এক সময়ের ক্ষমতাশালী শাসকের আড়ালে।

কিন্তু ইতিহাস ভুলে না, সময় কখনো মুছে না,
মৃত্যুঞ্জয়ের মতো জ্বলেছিল তাঁর চোখে আশার দীপ।
কথা ছিল জেলে, মিথ্যা মামলায় আটক, তবুও সে অটল,

কৃপার হাতে বেঁচে থাকে জীবন।

শেখ হাসিনার অহংকার ছিল পাহাড়ের মতো,

নিজের জোরে সারা দেশ চুপ করাবে, মনে হতো।
কিন্তু যা ভুলে গেছিল সে,

তাও একদিন দ্যাখে, পতন তার ভাগ্যে। আজ শেখ হাসিনা পালিয়ে চলে, তারই নির্মম হিংসা আজ তাকে শাস্তি দিয়েছে। তার পতন, ইতিহাসের অমোচনীয় ছবি, আর বেগম খালেদা জিয়ার জয়, জাতির গর্ব। ক্ষমতা হারিয়ে, আত্মসম্মান হারিয়ে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে, সঙ্গী তার লজ্জা। যার এককালে ছিল প্রভাবশালী পদ, আজ সে পালিয়ে গিয়েছে, সে জানে তার শেষ। বেগম খালেদা জিয়া আজও দাঁড়িয়ে, সম্মানের সাথে তার পথ চলা, অটল। আল্লাহর বিচার, ইতিহাসের প্রতিফলন, সত্য কখনো হারতে পারে না, সঠিকই ফিরে আসে এক এটাই যেন শিক্ষা, এটাই সবার জন্য মন্ত্র, অহংকার পতন, হিংসার শাস্তি আসে দ্রুত। ক্ষমতা আর অর্থ চিরকাল একভাবে স্থির নয়, সময়ের স্রোতে সব কিছু বদলে যায়, ঠিক যে দিন। বেগম খালেদা জিয়া, তুমি জয়ী, তুমি অমর, শেখ হাসিনা, তুমি ইতিহাসে হারানো, পালানো। ১৩ই নভেম্বর ২০১০, একটি দিন যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গভীর দুঃখজনক অধ্যায় তৈরি করেছে। এটি ছিল সেই দিন, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিরোধী দলীয় নেতা, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাসা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর কখনো ঘটেছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ২০১০ সালের এই ঘটনার পর তা বাংলাদেশের জনগণের স্মৃতিতে একটি কালো দাগ হয়ে চিহ্নিত হয়ে থাকে। বেগম খালেদা জিয়াকে এমন নৃশংসভাবে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা কেবল একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল ছিল না, বরং এটি একটি চরম বৈরিতা এবং একনায়কতন্ত্রের নিদর্শন ছিল। সেই দিনের কৃত্রিম ছবি, যেখানে বেগম খালেদা জিয়া এক কাপড়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে কাঁদছিলেন, তা যেন আকাশে বিদ্যুৎ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার কান্নায় পুরো দেশ ভারী হয়ে উঠেছিল, এবং এই দৃশ্য শুধু বাংলাদেশের জনগণের নয়, বরং বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল। এদিন শুধু বেগম খালেদা জিয়ার কান্না নয়, দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে কাঁদতে হয়েছিল। ২০০৮ সালে, যখন খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি তার পুত্র তারেক রহমানের চিকিৎসা নিয়ে শোকগাঁথা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালের ১৩ই নভেম্বর তার কান্না ছিল আরও গভীর, আরও আঘাতপ্রাপ্ত। তার রাজনৈতিক সংগ্রামের দীর্ঘ যাত্রায় তিনি একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, কিন্তু এই ধরনের অমানবিকতা তাকে কখনও ভেঙে ফেলতে পারেনি।
একনায়কতন্ত্রের মুখোমুখি বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমনে একাধিকবার প্রতিহিংসার পথে হাঁটেছে। বেগম খালেদা জিয়া, যে ছিলেন দেশের একজন অভিজ্ঞান নেত্রী, তাকে নিঃশেষ করতে শেখ হাসিনার প্রশাসন কোন ত্রুটি ছাড়েনি। এই ঘটনার পর সারাদেশে নানা প্রতিবাদ এবং নিন্দা হয়। শহর ও গ্রামে, ছোট থেকে বড় সবাই এই ঘটনাকে অবিশ্বাস্য এবং অমানবিক বলে মন্তব্য করেছিলেন। সমাজের নানা স্তরের মানুষ তখন এক কাতারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাজনৈতিক আদর্শের বিভেদ সত্ত্বেও, জনগণের একত্রিত প্রতিবাদ শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে ছিল। এটা শুধু একটি ব্যক্তি বা একটি দলের বিষয় ছিল না; এটি ছিল দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মর্যাদার বিরুদ্ধে একটি আঘাত। বিরোধী দলের নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এমন অবিচার, একদিন বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে এমন গুরুচন্দ্রিকার পরিণত হবে, এটি যেন সবার জন্য পরিষ্কার হয়ে উঠেছিল। তখনকার দিনে এমন অমানবিকতা, গণতন্ত্রের প্রতি এমন অবহেলা, দেশের মানুষের কাছে ছিল এক ভয়ানক সংকেত।


শেখ হাসিনার পতন: ইতিহাসের মুখোমুখি তবে, ইতিহাস কখনো কারও প্রতি অবিচার করে না। সময়ের পরিক্রমায়, ১৩ বছর পর সেই শেখ হাসিনা, যিনি বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন, আজ নিজেই দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিহাসের এই পর্যায়টি যেন এক করুণ প্রতিফলন। যারা অন্যদের নিঃশেষ করতে চেয়েছিল, তাদের নিজেদের শেষ কখনও সুখকর হয় না। আল্লাহর বিচারও এই দুনিয়াতেই ঘটে, এবং শেখ হাসিনার পতন তারই নিদর্শন।
আজ বেগম খালেদা জিয়া তার সম্মানিত অবস্থানে আছেন, তিনি আজও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত। বহু চড়াই-উতরাই পার করে, বহু অত্যাচারের সম্মুখীন হওয়ার পরও, বেগম খালেদা জিয়া আজও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম হয়ে আছেন। তিনি তার শক্তি, সহিষ্ণুতা, এবং একাগ্রতার মাধ্যমে দেশের জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার পতন বিশ্বের সামনে স্পষ্ট হয়েছে। সেই দিনটি যখন তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তখন তাকে নিয়ে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভবিষ্যৎ কল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু সেই সমস্ত আকাঙ্ক্ষা আজ শূন্য। শেখ হাসিনার ক্ষমতা, একসময় যে ছিল দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক অবস্থান, এখন তা শুধুমাত্র একটি ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাস তাকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য বিচার করবে, এবং সেই বিচার কঠোর হবে। আলোর পথে বেগম খালেদা জিয়া বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন এক ইতিহাস হয়ে থাকবে, যেখানে তিনি শুধু নিজের দেশের জন্য নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার সংগ্রাম কেবল নিজের জন্য ছিল না, বরং দেশের ভবিষ্যতের জন্য ছিল। তবে ইতিহাসে একদিন এই সিদ্ধান্তটি স্থির হয়ে যাবে: বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম দেশের ইতিহাসে একটি অমলিন চিহ্ন রেখে গেছে। তিনি যখন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনার ক্ষমতা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন তা ছিল দেশের গণতন্ত্রের একটি মহান যাত্রা। তিনি এখনও দেশের মানুষের কাছে একটি নিঃস্বার্থ নেত্রী হিসেবে মূল্যায়িত হন। আজ, যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক নতুন সূর্যের উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছে। ইতিহাস কখনো কারও জন্য ক্ষমা করেনি, এবং আল্লাহর বিচারও সময়মতো হয়ে থাকে। ঢাকা সেনানিবাস থেকে খালেদা জিয়ার উচ্ছেদ: প্রতিহিংসার রাজনীতি নাকি আইনের শাসন?
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাসভবন থেকে উচ্ছেদের ঘটনা দেশজুড়ে এবং আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। এই পদক্ষেপ সরকারের আইন-সম্মত কাজের অংশ ছিল নাকি প্রতিহিংসাপরায়ণতার বহিঃপ্রকাশ—এই বিতর্ক আজও বহমান। প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ মনে করেন, ঘটনাটি শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদাহরণ নয়; বরং এটি জাতির মর্যাদা এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পেশাজীবীদের মতামত থেকে স্পষ্ট যে, তারা এ ঘটনায় মর্মাহত। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এমন আচরণকে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার শামিল বলে মনে করেন। তারা উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের প্রতি সম্মানের কথা উল্লেখ করেন। তাদের মতে, রাজনৈতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও পশ্চিমা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাবেক নেতাদের ব্যক্তিগত মর্যাদা রক্ষিত থাকে। আইনি প্রক্রিয়া এবং প্রতিহিংসার অভিযোগ
সরকারের দাবি, উচ্ছেদ আদালতের রায় অনুসারে হয়েছে। তবে প্রবাসীদের মতে, আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে শেষ হওয়ার আগেই এই পদক্ষেপ কার্যকর করা হয়। তাদের দাবি, খালেদা জিয়া যদি বেআইনি দখলেই থেকেছিলেন, তবে শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি কেন? কেন এ বিষয়টি ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়নি? প্রবাসীরা মনে করেন, এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব ছিল। বিশেষত, উচ্ছেদের দিন তার পরিবারের সদস্যদের স্থানান্তর, সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা, এবং সেলফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করা সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং প্রতিক্রিয়ার পার্থক্য সরকারি দল এ ঘটনাকে ‘আইনের শাসন’ প্রতিষ্ঠার উদাহরণ হিসেবে দেখালেও, বিরোধী শিবির এটিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি হিসেবে অভিহিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার পক্ষ খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি দখলের বিষয়টিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে, প্রবাসীরা দাবি করেন, খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত কোনো সুবিধা নেননি; বরং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাসভবন তাকে দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও ভাবমূর্তি এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও আইএসপিআরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। প্রবাসীদের মতে, আইএসপিআরকে সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের এই প্রবণতা দেশের স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত অনেক প্রবাসী বিশ্বাস করেন, এই ঘটনা কেবল অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ফল নয়; বরং এটি একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। ভারতীয় রাজনীতিকদের অতীত মন্তব্য এবং বিডিআর বিদ্রোহের সময় ভারতের হস্তক্ষেপের প্রস্তাব—এসবের মাধ্যমে প্রবাসীরা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ইঙ্গিত খুঁজে পান। তাদের মতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা বহুকাল ধরেই সক্রিয়। খালেদা জিয়ার উচ্ছেদের ঘটনা রাজনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়ার সীমারেখা নিয়ে গভীর বিতর্ক তৈরি করেছে। সরকার এই পদক্ষেপকে আইনের শাসনের উদাহরণ হিসেবে দাবি করলেও, এর বাস্তবায়নের অস্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এ দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। প্রবাসীদের মতে, এ ঘটনা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক ছাপ ফেলতে পারে।
আমি আজ বাস্তবতার নিরিখে লিখতে চাই-বেগম খালেদা জিয়া, তুমিই রাজমুকুটের রানী,
তোমার দুঃখ, তোমার কান্না, ছিল অনন্ত বিরহের কাহিনী।
শেখ হাসিনা একদিন তোমাকে বাসা থেকে বের করে,
তোমার অশ্রুর সঙ্গী ছিল মধুর স্মৃতি, ছিল শক্তির চিহ্ন,
কিন্তু ইতিহাস জানে, তুমি যে অটল, তুমি যে চিরকালীন।
কষ্টে ভরা দিনগুলো, তোমার দুঃসহ রাত,
শেখ হাসিনার হিংসা, ছিল তার অহংকারের নিদর্শন।
কিন্তু সে কখনো জানেনি, সত্যের মাটি কখনো হারায় না,
তোমার লড়াই ছিল শেষ পর্যন্ত জয়ী,
শক্তি আর সাহসের চূড়ায় উঠেছিল তোমার পদচিহ্ন।
শেখ হাসিনা, আজ কোথায়? কোথায় তার সে জৌলুস?
যে একদিন হেঁটে ছিল তোমাকে অপমানের পথে,
আজ সে পালিয়ে গেছে, দেশের বাইরে, লজ্জায় চুরমার।
এটাই কি তার শাস্তি? যে আজ নেই দেশে,
সে কি জানে, ক্ষমতার অহংকার একদিন তাকে ছেড়ে চলে যাবে?
বেগম খালেদা, তুমি আজও দাঁড়িয়ে আছো,
সম্মানের সঙ্গে, মাথা উঁচু করে চলছো।
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে আছে শূন্যতা ভরা সাহস,
শেখ হাসিনার পতন, তোমার জয়ই ইতিহাস হয়ে থাকবে।
এখন শেখ হাসিনার পথ, স্রোতে ভেসে চলে,
কিন্তু তোমার জয়, অটল, সেও একদিন যাবে,
এই পৃথিবী, এই আকাশ জানে তোমার সংগ্রামের কথা,
বেগম খালেদা, তুমি জয়ী, তুমি অমর, তুমি চিরকালীন।
লেখকঃ যুগ্ম সম্পাদক-দৈনক ভোরের আওয়াজ ও The Daily banner, এবং টেলিভিশন উপস্থাপকঃ

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট