1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পঞ্চগড় আদালতে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নির্মাণ করা হলো “স্বস্তি চত্বর” বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী সকল প্রবাসীদের নিবন্ধন ও ভোট গ্রহণের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নিরাপদ সড়ক চাই সফল সামাজিক সংগঠন তারেক রহমান ফিরতে চাইলে একদিনেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব ঘোড়াঘাটে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সীমিত গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ১১মাস ধরে ঘরবন্দী এক পরিবার লামায় ট্রাক্টর মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৪ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড, ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও  আলোচনা সভা  গৌরনদীতে বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড

কারা নির্যাতনের দুর্দমনীয় নায়ক: আসলাম চৌধুরী ও কায়েসের বিজয়গাথা

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দীর্ঘ কারা নির্যাতনের অন্ধকার পেরিয়ে, আজ বিএনপির দুই ত্যাগী মুখ আসলাম চৌধুরী ও কায়েস একত্রিত হয়েছেন। এদের নাম আজ শুধু বিএনপির নয়, বাংলার সংগ্রামী ইতিহাসের পৃষ্ঠায় অমর হয়ে থাকবে। তাঁদের ত্যাগ, সাহস ও লড়াই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় অধ্যায়।
আসলাম চৌধুরী: বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারি আসলাম চৌধুরী, একজন প্রাজ্ঞ নেতা, যিনি বিএনপির সংকটকালে কান্ডারী হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে তাঁকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও জুলুমের মাধ্যমে তাঁর মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রতিকূলতার সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও আসলাম চৌধুরী ছিলেন দৃঢ়, অটল। তাঁর হৃদয়ে ছিল একমাত্র লক্ষ্য—গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম। কারাগারে অসহনীয় সময় পেরিয়েও আসলাম চৌধুরীর লড়াই থেমে থাকেনি। অবশেষে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তাঁর মুক্তি ঘটে। সেই মুক্তির মুহূর্তে, তাঁর গলায় জয়ের মালা পড়ে, আর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি যখন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন, তা যেন এক নতুন সূর্যের উদয়। তাঁর জয়ের হাসি শুধু একজন নেতার নয়, বরং একটি জাতির জয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে।
কায়েস: পটিয়ার তারুণ্যের প্রতীক ও সংগ্রামী মুখ আরেকজন মহান ব্যক্তি, কায়েস, পটিয়ার যুবসমাজের অহংকার। বিএনপির নিবেদিত প্রাণ কর্মী এবং তারেক জিয়ার বিশ্বস্ত সহযোগী কায়েসকে মিথ্যা হত্যা মামলায় ২৩ মাস কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছিল। পটিয়া বুথপুরা ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ার পরেও কেডিএস খলিলের ভাগ্নে, তথাকথিত স্বঘোষিত চেয়ারম্যান কাসেমের অত্যাচারের শিকার হন তিনি।কায়েসের জীবনের এই অধ্যায় ছিল অত্যন্ত কঠিন, কিন্তু তিনি কখনো দমে যাননি। কারাগারে থেকেও তিনি তাঁর সংগ্রামী মনোভাব বজায় রেখেছিলেন, বিএনপির আদর্শে অবিচল ছিলেন। অবশেষে, শেখ হাসিনার পতনের পর তিনিও কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর গলায় জয়ের মালা, এবং মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি ফিরে আসেন, পটিয়ার তারুণ্যের অগ্নিশিখা হয়ে। তাঁদের ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রেরণা
আসলাম চৌধুরী ও কায়েসের এই মহাকাব্যিক জীবন শুধু বিএনপির নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁরা দেখিয়েছেন, কিভাবে সত্য ও ন্যায়ের জন্য নিরলস লড়াই করা যায়, কিভাবে সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়। তাঁদের আত্মত্যাগ ও অটলতা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে। তাঁদের নিয়ে আমি, মো. কামাল উদ্দিন, আগেও লিখেছি এবং তাঁদের সংগ্রামের কাহিনী আরও বিস্তারিতভাবে লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। এই দুই মহান নেতার জয়গাথা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য এক আলোকবর্তিকা, যা আমাদের সামনের দিনের লড়াইয়ে পথ দেখাবে। ইনশাআল্লাহ, আমি তাঁদের ত্যাগ, সাহস এবং লড়াই নিয়ে আরও লিখব, যেন তাঁদের কাহিনী আমাদের জাতির হৃদয়ে চিরকালীন প্রেরণা হয়ে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট