1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবগঞ্জে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে প্রগতি সংস্থার স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ ক্ষেতলালে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন! লাউগাছের চারা খাওয়া নিয়ে গলাচিপায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ১ গৌরবে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবজোন চ্যাম্পিয়ন ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ( পিবিআই ) কালাইয়া বাজারের রাস্তাঘাটে করুণ দশা, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে গোসল করতে নেমে   দ্বিতীয় শ্রেণীর  শিশুর মৃত্যু বান্দরবানে বাজার চৌধুরীর অপসারণ ও বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা! শিবচরে মাদক রোধে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিল উপজেলা বিএনপি

মেকি বন্ধুত্বের মুখোশ: সুসময়ের পাখি, দুঃসময়ের আকাশ

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ছবিটিতে বাঁধা রয়েছে এক মর্মান্তিক নাটক—মুখের হাসি আর বাহুবন্ধনে রচিত মেকি ভালোবাসার গল্প। ছবির দুই মুখ—দুজন মানুষ—যাদের মধ্যে বাহ্যিক সৌহার্দ্য আর সম্পর্কের উষ্ণতা যেন অপার। কিন্তু এ ছবি শুধু আলোকচিত্র নয়, এটি একটি প্রতীক, যেখানে পেছনে লুকিয়ে রয়েছে স্বার্থের কুটিল চক্র। হাস্যোজ্জ্বল মুখ আর বন্ধুত্বের ভান করা হাতগুলো সেই পাখির মতো, যা সুসময়ের মিষ্টি ফল খায়, আর দুঃসময় এলেই পালিয়ে যায় দূর আকাশে। এই সম্পর্কের গভীরে আছে শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি আর সুবিধাবাদী মনোবৃত্তি—নিষ্ঠার কোনো আভাস নেই।

এস আলমের নামটি এখন কতশত বিতর্কের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু পাশে কে আছে? সেই সাংবাদিকেরা কোথায়, যাদের মুখে হাসি আর হাতে ধরা কলম একদিন এস আলমের প্রশংসায় লিখে চলেছিল? তাদের সখ্যতা ছিল যেনো মৌসুমী পাখির মতো, যারা শুধু রোদেলা দিনের অপেক্ষায় থাকে। অজস্র বৈধ-অবৈধ সুযোগ সুবিধা যারা এস আলমের কাছ থেকে নিয়ে গেছে, আজ তারা কী বলবে? কই, তাদের কেউ সাহস করে এস আলমের পক্ষে একটি বাক্য উচ্চারণ করছে না। অথচ তাদের হাত ছিল এস আলমের কাঁধে, মুখে ছিল মিষ্টি হাসি, যা আসলে ছিল এক নীরব কৌশল—একটি স্বার্থান্বেষী প্রকৃতির মুখোশ। এই মুখোশধারী সমাজের ছবিটি আজ আমাদের চোখে জল এনে দেয়। সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় যারা কলম ধরেছেন, তাদের কিছু অংশ যে মেকি ভালবাসা আর সুযোগ সন্ধানীতায় লিপ্ত, তা আজ প্রকাশ পেয়েছে। তারা যখন এস আলমের প্রশংসায় বুলবুলি গান গাইছিল, তখন তাদের ভালবাসা ছিল একটি ব্যবসায়িক লেনদেনের মতো—স্বার্থ মেটানোর একটি মাধ্যম। আর আজ, যখন সময় এসেছে সত্যিকারের বন্ধুর মতো পাশে থাকার, তখন তারা কোথায়? এমন পরিস্থিতিতে, এই সম্পর্কগুলো দেখে মনে হয়—এসব আসলে খাঁটি নয়, কোনো অনুভূতির জায়গা থেকে নয়, বরং কেবলমাত্র সুযোগের জন্য তৈরি একটি নাটক।
এ ছবি যেন এক লজ্জার প্রতীক, যেখানে সাংবাদিকতার নৈতিকতা আর সম্পর্কের পবিত্রতা একসঙ্গে ভেঙে গেছে। একসময় যাদের বাহুবন্ধনে আশ্রয় পাওয়া যেত, আজ সেই হাত নেই। যতই তাদের জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করা হোক, তারা দূরে সরে গেছে, নিজ নিজ মেকি স্বার্থের জালে আবদ্ধ হয়ে।
এ লেখার প্রতিটি শব্দ যেনো সেই সমস্ত মেকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এক কঠিন ধিক্কার—যাদের ভালোবাসা ছিল ফাঁপা, যাদের বন্ধুত্ব ছিল একটি মিথ্যে আবরণের নিচে ঢাকা। এই চিত্রটি দেখে মনে হয়, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, সহানুভূতি—এসব শুধু নামে, আসলে এর ভেতর ছিল খাঁটি স্বার্থান্বেষণ।
এই ছবি এবং এর গল্প মনে করিয়ে দেয়, সত্যিকারের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব চেনা যায় দুঃসময়ে। যারা দুঃসময়ে পাশে থাকে, তারাই প্রকৃত। আর যারা দূরে চলে যায়, তাদের ভালোবাসা, তাদের বন্ধুত্ব সবকিছুই ছিল কৃত্রিম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট