1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

মেকি বন্ধুত্বের মুখোশ: সুসময়ের পাখি, দুঃসময়ের আকাশ

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে

ছবিটিতে বাঁধা রয়েছে এক মর্মান্তিক নাটক—মুখের হাসি আর বাহুবন্ধনে রচিত মেকি ভালোবাসার গল্প। ছবির দুই মুখ—দুজন মানুষ—যাদের মধ্যে বাহ্যিক সৌহার্দ্য আর সম্পর্কের উষ্ণতা যেন অপার। কিন্তু এ ছবি শুধু আলোকচিত্র নয়, এটি একটি প্রতীক, যেখানে পেছনে লুকিয়ে রয়েছে স্বার্থের কুটিল চক্র। হাস্যোজ্জ্বল মুখ আর বন্ধুত্বের ভান করা হাতগুলো সেই পাখির মতো, যা সুসময়ের মিষ্টি ফল খায়, আর দুঃসময় এলেই পালিয়ে যায় দূর আকাশে। এই সম্পর্কের গভীরে আছে শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি আর সুবিধাবাদী মনোবৃত্তি—নিষ্ঠার কোনো আভাস নেই।

এস আলমের নামটি এখন কতশত বিতর্কের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু পাশে কে আছে? সেই সাংবাদিকেরা কোথায়, যাদের মুখে হাসি আর হাতে ধরা কলম একদিন এস আলমের প্রশংসায় লিখে চলেছিল? তাদের সখ্যতা ছিল যেনো মৌসুমী পাখির মতো, যারা শুধু রোদেলা দিনের অপেক্ষায় থাকে। অজস্র বৈধ-অবৈধ সুযোগ সুবিধা যারা এস আলমের কাছ থেকে নিয়ে গেছে, আজ তারা কী বলবে? কই, তাদের কেউ সাহস করে এস আলমের পক্ষে একটি বাক্য উচ্চারণ করছে না। অথচ তাদের হাত ছিল এস আলমের কাঁধে, মুখে ছিল মিষ্টি হাসি, যা আসলে ছিল এক নীরব কৌশল—একটি স্বার্থান্বেষী প্রকৃতির মুখোশ। এই মুখোশধারী সমাজের ছবিটি আজ আমাদের চোখে জল এনে দেয়। সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় যারা কলম ধরেছেন, তাদের কিছু অংশ যে মেকি ভালবাসা আর সুযোগ সন্ধানীতায় লিপ্ত, তা আজ প্রকাশ পেয়েছে। তারা যখন এস আলমের প্রশংসায় বুলবুলি গান গাইছিল, তখন তাদের ভালবাসা ছিল একটি ব্যবসায়িক লেনদেনের মতো—স্বার্থ মেটানোর একটি মাধ্যম। আর আজ, যখন সময় এসেছে সত্যিকারের বন্ধুর মতো পাশে থাকার, তখন তারা কোথায়? এমন পরিস্থিতিতে, এই সম্পর্কগুলো দেখে মনে হয়—এসব আসলে খাঁটি নয়, কোনো অনুভূতির জায়গা থেকে নয়, বরং কেবলমাত্র সুযোগের জন্য তৈরি একটি নাটক।
এ ছবি যেন এক লজ্জার প্রতীক, যেখানে সাংবাদিকতার নৈতিকতা আর সম্পর্কের পবিত্রতা একসঙ্গে ভেঙে গেছে। একসময় যাদের বাহুবন্ধনে আশ্রয় পাওয়া যেত, আজ সেই হাত নেই। যতই তাদের জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করা হোক, তারা দূরে সরে গেছে, নিজ নিজ মেকি স্বার্থের জালে আবদ্ধ হয়ে।
এ লেখার প্রতিটি শব্দ যেনো সেই সমস্ত মেকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এক কঠিন ধিক্কার—যাদের ভালোবাসা ছিল ফাঁপা, যাদের বন্ধুত্ব ছিল একটি মিথ্যে আবরণের নিচে ঢাকা। এই চিত্রটি দেখে মনে হয়, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, সহানুভূতি—এসব শুধু নামে, আসলে এর ভেতর ছিল খাঁটি স্বার্থান্বেষণ।
এই ছবি এবং এর গল্প মনে করিয়ে দেয়, সত্যিকারের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব চেনা যায় দুঃসময়ে। যারা দুঃসময়ে পাশে থাকে, তারাই প্রকৃত। আর যারা দূরে চলে যায়, তাদের ভালোবাসা, তাদের বন্ধুত্ব সবকিছুই ছিল কৃত্রিম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট