1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঘোড়াঘাটে ৩৪ টি পূজা মন্ডপে নগদ অর্থ প্রদান করেন ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহত্তর কুমিল্লাকে কুমিল্লা বিভাগ করার জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত! গাইবান্ধায় সেবামূলক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত নবীনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন নবীনগরে অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে বিদায় সংবর্ধনা বোদায় দূর্গাপুজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হালদায় বিষপ্রয়োগকারীদের তথ্য দিলেই পুরস্কার ঘোষণা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে গলাচিপায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত কালিহাতীর বল্লায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ব–এম. জহির উদ্দিন স্বপন

নুরু হত্যার দায় এড়াতে পারেন না ওসি কেফায়েত

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রামের রাউজানে ২০১৭ সালে ওসি কেফায়েতের নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর নির্মম হত্যা সংঘটিত হয়। নুরুর স্ত্রী সুমি আকতার গত ১ সেপ্টেম্বর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ১, তাং ১/৯/২০২৪, ধারা ৩০২/৩৬৪/৩৪ দণ্ডবিধি)। মামলায় উল্লেখ করা হয়,
এম পি ফজলুল করিমেসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়, পরিচয় অজ্ঞাত রয়েছে আরো ৩০/৪০জন- আসামির তালিকা
এই মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন ফজলুল করিম, এসআই শেখ জাবেদ, বাবুল মেম্বার, নাসের ওরফে টাইগার নাসের, মো. লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ ওরফে বাছইন্যা, সেকান্দর, জসিম, খালেক, বাবুল, মো. রব্বানী, হাসান মোহাম্মদ নাসির, মো. মোরশেদ এবং এসআই শেখ জাভেদ ওসি কেফায়েতের নির্দেশে নুরুকে গ্রেপ্তারের পর রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে। এরপর নুরুর লাশ কর্ণফুলী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
মামলায় বলা হয়, ২৯ মার্চ রাত ১১:৪৫ মিনিটে চন্দনপুরার মিন্নি মহল থেকে সাদা রঙের মাইক্রোবাস (নং চট্টমেট্রো ১১-৩১৭৭ ও ১১-২৪৩৩) ব্যবহার করে নুরুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সন্ত্রাসী খলনায়ক ফজলুল করিমের পরিকল্পনায় নুরুকে রাউজান কলেজ মাঠে নিয়ে গিয়ে সারারাত অমানবিক নির্যাতনের পর মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, নুরু হত্যার পুরো প্রক্রিয়া এসআই জাভেদ টাইম টু টাইম ওসি কেফায়েতকে অবহিত করেছিল।
এখানে অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি থানার এসআই কোনো ভাবেই ওসির নির্দেশ ছাড়া গ্রেপ্তার বা হত্যার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারে না। শহর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় না এনে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় হত্যা করা কোনোভাবেই ওসির নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়। তাই নুরু হত্যার মামলায় ওসি কেফায়েতের নাম বাদ যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক হলেও তিনি কোনোভাবেই এই হত্যার দায় এড়াতে পারেন না। ওসি কেফায়েত বর্তমানে পাহাড়তলী থানায় দায়িত্বরত আছেন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, তার বাড়ি নোয়াখালীতে, এবং তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যার কারণে তিনি পুলিশের চাকরির সময় আইনকে তোয়াক্কা করতেন না। নুরু হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ওসি কেফায়েতসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
তবে এই মামলায় মূল আসামি ওসিসহ অনেকে বাদ পড়লেও কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আসামি করা হয়েছে, যাবতে ভবিষ্যতে এই মামলা বিচারের প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে বিজ্ঞাজনেরা মনে করেন।
(বিস্তারিত আরো প্রকাশিত হবে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট