1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
হাটহাজারীতে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ মোঃ শওকত আলী,‎নবীনগরে বিনামূল্যে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ মানিকগঞ্জ ঘিওরে  মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফাইনাল ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত       হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিধবা নারীকে জামায়াত নেতৃবৃন্দের নগদ সহায়তা সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় অন্তত ৫ আইএস সদস্য নিহত আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা জাতীয় নির্বাচন : মনোনয়ন দাখিল ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, আপিলের সময় কমিয়ে নিষ্পত্তি ২ দিন বাড়ল হাদি চিরদিন বাংলাদেশের মানুষের বুকের ভেতর থাকবে: জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা উৎসবমুখর পরিবেশে বাউফল প্রেস ক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন খুলনায় শতাধিক জিগজ্যাক ইটভাটার অধিকাংশই পায়নি পরিবেশ ছাড়পত্রের নবায়ন

খুলনায় শতাধিক জিগজ্যাক ইটভাটার অধিকাংশই পায়নি পরিবেশ ছাড়পত্রের নবায়ন

আব্দুল কাইয়ুম খান
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫

খুলনা জেলার রুপসা, তেরখাদা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা ,কয়রা ,পাইকগাছাতে প্রায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে । বিভিন্ন সময়ে ইট ভাটাগুলো পরিবেশের ছাড়পত্র পেলেও বর্তমানে অধিকাংশ ইটভাটার ছাড়পত্র নবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে । ফলে ইটভাটা মালিকেরা তাদের প্রতিষ্ঠানসমূহে বিপুল অংকের বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ,উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে । জেলার ইটভাটাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ইটভাটাই রয়েছে আঠারোবেকী নদীর পাড়ে । খুলনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার এর সাথে কথা বলে জানা যায় , ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার আঠারোবেকী নদীর পাড়ে ইটভাটা স্থাপন ও কার্যক্রম শুরু হয় । প্রথম অবস্থায় ব্যারেল চীমনি , তারপর আইন অনুযায়ী ফিক্সড চিমনি ,এবং পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী সকল ইটভাটাকে জিগজ্যাক ইটভাটায় রূপান্তর করা হয় । এখানে সবগুলো ইটভাটা বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসন, পরিবেশের ছাড়পত্র সহ সকল বৈধতা পেয়েছে । বর্তমান সময়ে বেশ কিছু ইটভাটা পরিবেশ ছাড়পত্রের নবায়ন এখনো পায়নি । পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে ইটভাটা মালিকদের আলোচনা হয়েছে । অধিদপ্তর তদন্তপূর্বক ছাড়পত্র সমূহের নবায়ন করবেন বলে নিশ্চিত করেছে। খুলনার ইটভাটার বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে খুলনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম জমাদ্দার বলেন খুলনার ইটভাটাগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে । খুলনা অঞ্চলে এক সময় পাটকল গুলো ছিল কর্মসংস্থানের বড় উৎস । কালের পরিক্রমায় বিভিন্ন জটিলতায় ধীরে ধীরে পাটকল গুলো বন্ধ হয়ে যায় । খুলনার কর্মসংস্থানে ব্যাপক ভাটা পড়ে এবং বেকারত্বের হার বেড়ে যায় । শুরু হয় চিংড়ি শিল্পের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান । খুলনায় গড়ে ওঠে প্রায় ৫০ টি ফিস প্রসেসিং ফ্যাক্টরি । একই সাথে প্রসেসিং ফ্যাক্টরিগুলোতে মাছের যোগান দেওয়ার জন্য জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলাতে সহস্রাধিক মাছের ডিপো এবং শতাধিক বরফ কল গড়ে উঠে। শুরু হয় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ।খুলনার অর্থনীতিতে যা নতুন মাত্রা যোগ করে । সময়ের ব্যবধানে চিংড়ি শিল্প তার জৌলুস হারাতে থাকে । একের পর এক বন্ধ হতে থাকে ফিস প্রসেসিং ফ্যাক্টরিগুলো। প্রতিনিয়ত বেকার হতে থাকে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকেরা । ইটভাটা গুলো নতুন কর্মসংস্থানের হাল ধরে । বর্তমানে ৫০হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে খুলনা জেলার ইটভাটা গুলোতে । এই বিরাট কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে সর্বস্তরের প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন । তিনি আরো বলেন , জেলার অধিকাংশ ইটভাটা সরকারের বিধি-বিধান প্রতিপালনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । সার্বিক বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা জেলার সহকারি পরিচালক মোঃ হারুন অর রশীদ এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন । পরিবেশ আইন অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই । যে সমস্ত ইটের ভাটা পরিবেশের ছাড়পত্রের নবায়নের জন্য আবেদন করেছে যথাযথ তদন্ত-পূর্বক ছাড়পত্রের নবায়ন প্রদানে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা জেলার পক্ষ থেকে সার্বিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট