
রংপুরের মাহীগঞ্জ থানাধীন বিহারী গ্রামে ভাই ভাতিজার মধ্যে জমিজমার বিষয় ও ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির বিষয়ে সংঘর্ষের ঘঠনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে “দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার”পত্রিকার রংপুর মহানগর প্রতিনিধি, মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে এক পক্ষ মিথ্যা,বানেয়াট,ভুয়া,উদ্দেশ্য মুলক মিথ্যা মামলায় হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,গত ০৫ই ডিসেম্বর ২৫ ইং সকাল আনুমানিক সকাল ৮ টার সময় পাভেল নামে এক লোক সাংবাদিক জাহিদুল কে তার বাড়ীতে এসে খবর দেয় কবিরাজের বাড়ীর সামনের মাঠে ভাই ভাতিজার মধ্যে জমি জমা ও ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া বেধেছে,সেই খবর শুনে সাংবাদিক জাহিদুল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে মোবারক কবিরাজ তাহার বড়ভাই শাহজানের অন্ডোকোশ চিপে ধরে টানা হেচরা করতেছে ,ও তাহার এক ছেলে সাজ্জাদুল সুজন (৩০) আলু রোপনের লাংগল দিয়ে তাহার বড় চাচা রহিম চৌধুরী’র (৬৫) মাথায় আঘাত করতেছে। এবং মোবারকের আরেক ছেলে সজল (২৫) বাশের লাঠী দিয়ে সরোয়ার চৌধুরীর মুখে আঘাত করে কিছুক্ষনের মধ্যেই শাহজাহান অজ্ঞান হয়ে পড়লে, মোবারক ও তাহার ছেলেরা সাংবাদিক জাহিদুল কে ভিডিও করতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তাহার হাতে থাকা ডিএসএলআর ক্যানোন ইওএস ৩০০০ ডি ক্যামেরাটি তিনজনে মিলে কেরে নেয় এবং ভেংগে ফেলে এবং সাংবাদিকের উপর ও আক্রমণ করে সাংবাদিকের বাম হাতের একটি আংগুল ভেংগে দেয় আর হুমকি দেয় যে তোর সাংবাদিকতা বের করে দেবো তোর নামেও মামলা করবো। ক্যমেরাটি নষ্ট করাতে ভিডিও ডকুমেন্ট গুলোও নষ্ট হয়ে যায় তবে পাশে থাকা একজনের মোবাইলে ছবি তোলা ছিলো তাহার কাছ থেকে ধারন করা কিছু ছবি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ঘঠনার দুই দিন পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ০৯ই ডিসেম্বর সাংবাদিক মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানতে পারে তাকে ২ নং আসামী করে মোট ৮ জনকে বিবাদী দেখিয়ে মোবারক কবিরাজের ছেলে সাজজাদুল সুজন মাহীগঞ্জ মেট্রো থানায় একটি মামলা দায়ের করে যাহার নং-২/৭৮। পরে সাংবাদিক জাহিদুল মহামান্য কোর্টের মাধ্যমে আগাম জামীন নিয়ে মাহীগঞ্জ মেট্রো থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর সাথে দেখা করে মামলার বিষটি নিয়ে কথা বার্তা বললে অফিসার্স ইনচার্জ বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে,সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠীক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুলত এলাকাবাসী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষ জন ও মামলার সাক্ষিগনের সাথে কথা হলে তারা বলেন যে সাংবাদিক জাহিদুল ও বাকি ৭ সাত জনকে উদ্দেশ্য প্রনিত ভাবে এই মামলায় ফাসানো হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক তো ঔ ঝঘড়া’র সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গেছে, তাহলে তাহার নামে মামলা কি করে হয়। সাংবাদিক ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করতে বলাতে হয়ত তাকে এই মামলায় তাহার ভাতিজা জরিয়েছে বলে মনে হয়। মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার সাক্ষী কপিল উদ্দিন (৬৫) পিতা মৃত-ইমান আলী ও লালমিয়া (৩০) পিতা আইয়ুব নবী বলেন আমরা এই ঘঠনা সম্পর্কে যতোটুকু জানি মামলার বাদীর চাচা জেঠারা সাতভাই দুই বোন, ৮ জনেই চায় মোবারকের ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করতে আর জমিজমা তো বন্টন দলিল মুলে সবাই সমান সমান ভাগ করে নিয়েছে আসলে যে জমি নিয়া সমস্যা সে জমি তো নামজারী ও বন্টন দলিল মুলে সরোয়ার চৌধুরীর। আসল ঘঠনা হলো মোবারক কবিরাজ তাহার ভন্ড কবিরাজী বন্ধ হবে মুলে এই ঝঘড়ার সুত্রপাত ঘঠায়। জমি জমা এখানে কোন বিষয় না। কারন মোবারক কবিরাজের ইতিপূর্বে অনেক নারী কেলেঙ্কারি এমনকি পশু বলাৎকার কেলেঙ্কারির মতো এমন ঘঠনাও ঘঠীয়েছে তাই এলাকার লোক তাহাকে ভন্ড কবিরাজ হিসেবে চেনে ও জানে তাই তাহার সাথে কেউ তেমন একটা মেশে না। আমাদেরকে সে আমাদের অগোচরে এই মামলার সাক্ষি বানিয়েছে ঘঠনা সম্পুর্ন ভুয়া,মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা এটা,বিষয়টিকে নিয়ে মোবারক ও তাহার বখাটে দুই ছেলে বাড়াবারী করতেছে। এ বিষয়ে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আফজাল হোসেন খানের সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি বলেন মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে, তদন্ত শেষ হলে কোর্টে চার্জসিট দাখিল করা হবে।