
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এ দিবসের মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের ত্যাগ,
সাহসিকতা এবং একতাকে সম্মান জানাই। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬
ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারই পলপ্রসু আজকের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে এ বাংলাদেশ অভ্যুদয় ঘটে। ফিরে পাই বিজয়ের এক লাল সূর্য। আজ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর এই দিবসটিকে স্মরণ করতে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিজয় দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রত্যেক মানুষ চায় স্বাধীনতা, প্রত্যেক জাতি চায় স্বাধীনতা। স্বাধীনতা দিবস একটি জাতির স্বাধীন হওয়ার ইতিহাসকে তুলে ধরে। এই ইতিহাসকে তুলে ধরতেই চল” চিত্র , কবিতা, নিবন্ধ ইত্যাদিতে বিভিন্নভাবে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের মত এবারও ‘ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বিএনসিসি প্যারেড, কুচকাওয়াজ, বিশেষ আলোচনা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কনের আয়োজন করা হয়। তবে এবারের আয়োজন একটু ভিন্নমাত্রায় যোগ হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ভাবনার কথা জানিয়েছেন প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। জানিয়েছেন তাদের মুক্তি, চেতনা ও শহীদের রক্তে রঞ্জিত ইতিহাসের এক নতুন স্বপ্নের কথা। জানিয়েছেন সোনার বাংলায় কোন বৈষম্য না থাকার কথা। জানিয়েছেন শিক্ষায়, কর্মক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি না থাকার কথা। তাহলেই সত্যিকারের বিজয়ের সম্মান রক্ষা পাবে। পাবে আমাদের অহংকার, আমাদের মর্যাদা। আমরাও যেন হতে পারি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই অদম্য, দৃঢ়তা, সাহস নিয়ে বর্তমানের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে। এটাই ‘ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এর প্রত্যাশা।