
গত ১৬/১১/২০২৫ইং রোজ রবিবার ঢাকা থেকে আগত বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাইতং এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মানিক পুরে ইটের ভাটা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে ইটভাটা মালিক-শ্রমিক এবং স্থানীয় লোকজন গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।তারা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে; অনেকে রাস্তায় কাফনের কাপড় পরে শুয়ে পড়ে। বিক্ষোভ কারিগণ বলেন – হাজার হাজার ইট ভাটা শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে ইটের ভাটা ভেঙ্গে দেওয়া আর গরিবের পেটে লাথি মারা একই কথা। আমাদের দাবী মানতে হবে,মানি না মানবো না ইত্যাদি বলে তারা স্লোগান দিতে থাকে।
ইট ভাটা নিয়ে বর্তমান সরকারের দ্বীমুখী নীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একদিকে কথিত অবৈধ ইটভাটা গুলো থেকে সরকার যথারীতি ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করে পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে অন্যদিকে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটা গুলোতে জরিমানা করছে, আবার ভেঙ্গে ও দিচ্ছে। এতে করে ভাটার মালিকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তারা ছয় হাজার টাকার ইট দশ থেকে বারো হাজারে বিক্রি করছে।ফলে সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের জন্য বাড়তি দামে ইট কিনতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সরকারের ও বাড়তি খরচ হচ্ছে।
এভাবে চলতে থাকলে দেশ এবং জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। আইনের দোহায় দিয়ে সবকিছু এড়িয়ে যাওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে- আইন মানুষের জন্য, আইনের জন্য মানুষ নয়। হয়তো ইটভাটা গুলোকে বৈধতা দেওয়ার জন্য সময়োপযোগী আইন তৈরি করতে হবে অন্যথায় ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।