
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ১৪৬ নং চোকদার কান্দি নিজাম উদ্দিন মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা ও মাঠ দখলের লিখিত অভিযোগ করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক । ১৪ ডিসেম্বর ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এই অভিযোগ করা হয় ।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের চরসেনসাস ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে চোকদার কান্দি গ্রামে নিজাম উদ্দিন মোল্লার নামে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । মোঃ জালাল উদ্দিন বিদ্যালয়ের নামে ৩৫ শতাংশ জমি ১১৮নং দলিলে দান করেন । যার মধ্যে ৪ শতাংশ চলাচলের রাস্তা এবং ৩১ শতাংশ বিদ্যালয়ের ভবন ও মাঠ । ইতিপূর্বে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে মাঠ ভরাট করা হলেও বর্তমানে খরশু আলম সরদার গং বিদ্যালয়ের রাস্তা এবং মাঠের দক্ষিণ অংশে ১৮ ফুট জোর করে দখল করার পায়তারা করিতেছে া গত ৭ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের চলাচলের রাস্তাসহ উত্তরপাশে পিলার স্থাপন করলে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি আবেদন করেছিলেন । বিদ্যালয়ের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম গত ১৪ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম বলেন, এই স্কুলের জমি দাতা আমার ভাই। ২০১৫ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে জমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন খরশু আলম সরদার। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কারণে সেটি নিতে পারেনি। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে দলবল নিয়ে স্কুলটির ৩৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১৮ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। পাশাপাশি স্কুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। আমি বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু বিএনপির রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে আমাকে হুমকিধামকি দিচ্ছে। আমি বিষয়টি দ্রæত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
স্থানীয় আব্দুল কাদির মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। স্কুলের জমি দখল হয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ ও শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দ্রুত স্কুলের দখল হওয়া জমি ও রাস্তা উদ্ধার করে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু হউক। এবিষয়ে অভিযুক্ত খরশু আলম সরদার বলেন, আমি স্কুলের জমি দখল করি নি। ওখানে আমার জমি আছে আমি আমার জমি দখলে নিয়েছি। আমি স্কুল কমিটির কাছে জমি পাবো। অভিযোগ দিতেই পারে এটা সমস্যা নাই। আমি বিএনপি নেতা পরিচয় দেই নি। আমি সাধারণ মানুষ আমাকে সবাই চিনে। আপনি খোঁজখবর নিয়ে দেখেন আমি কে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুল হক বলেন,”বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”