
মাহবুবুর রহমান আনসার বাহিনীতে যোগদান করেন ২০০২ সালে। জন্মগ্রহণ করেন লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার লতবর গ্রামে। বাবা মার তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ছোট সন্তান হলেন, মাহবুবুর রহমান। তিনি পড়াশোনা করেন লতা ‘বর একরামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায়। তিনি দাখিল ও আলিম দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন,লতাবর একরামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে। দাখিল পাস করেই তিনি আনসারে যোগদান করেন। যোগদানের শুরুতে তিনি লালমনিরহাট জেলা রেলওয়ে আর এন বি তে চাকরি জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ঢাকা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জনের বিভিন্ন আনসার ক্যাম্পে দক্ষতার সাথে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যাম্প পি,সি (ইনচার্জ) হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমানের পরিচালনায়, ৯৪ জন কর্মরত আনসারদের সাথে নিয়ে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তায় সদা নিয়োজিত আছেন। পরিশ্রম মেধা এবং গুরুত্বের সাথে নিরাপত্তা জনিত কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুল ইসলাম বিএএমএস এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় মাহবুবুর রহমান তার উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাবার নাম মৃত : আব্দুল গফুর মাতা :মোছাম্মদ মাজেদা খাতুন। মূলত : কৃষি কাজ করেই চার সন্তানকে বড় করেন আব্দুল গফুর এবং মাজেদা খাতুন। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন থাকেন সবসময়। তার ক্যাম্পের আনসারদের সাথে নিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন তদারকি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। হাসপাতাল পরিচালকের নির্দেশনায়, হাসপাতাল এলাকার চোর ছিনতাইকারী ও দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছেন পি,সি /মাহবুবুর রহমান। হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে কোন আপোষ নেই তার। চোর ছিনতাইকারী ও দালালদের ধরে বহুবার পুলিশ বুথে হস্তান্তর করেন ও তিনি।।এরি মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এলাকায় মানবিক আনসার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।