
হাতে তৈরি শিল্প আজকাল আমাদের দেশের বহুল জনপ্রিয় ও পছন্দনীয় এক কারুশিল্প। অনায়াসে এ কারুকার্য নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারি। এ ধরনের হাতের তৈরি শিল্প বা কারুকার্য যোগ যোগধরে ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে দেশে-বিদেশে। আদিকাল থেকেই এর গুরুত্ব বহনকরে। হাতের তৈরি কারু শিল্পী নিয়ে আজ আমরা তুলে ধরছি লুই জেনা পৃথা অধিকারী এক শিল্পীর কথা। পড়া লেখার পাশাপাশি তার হ্যান্ডিক্রাফট ও বিভিন্ন চিত্রপ্রদর্শনীতে কাজ করে অল্প বয়সেই বেশ সুনাম অর্জন করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের হস্ত শিল্প বা কুটির শিল্প হিসেবে হ্যান্ডি ক্রাফটের কাজও করে যাচ্ছেন।
লুইজেনা পৃথা অধিকারী’র সৃষ্টির কিছু চিত্র…


লুইজেনা পৃথা অধিকারী নিজে শিল্প, অঙ্কন এবং কারুশিল্পের প্রতি বেশ আগ্রহী। বছরের পর বছর ধরে, অসংখ্য কলেজ উৎসব এবং শিল্প প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে আসছেন, তার সৃজনশীল কাজের জন্য অনেক পুরস্কার এবং স্বীকৃতি অর্জন করেন। দক্ষতার ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে: প্রতিকৃতি স্কেচ অ্যাক্রিলিক প্রতিকৃতি চিত্রক্স জল রঙের অঙ্কন ক্সকাস্টমাইজড কারুশিল্প মাটির পুতুল তৈরি তেল প্যাস্টেল অঙ্কন। লুইজেনা পৃথা অধিকারী সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলিং স¤পন্ন করে এসএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জন করেছেন। পরে, হলিক্রস কলেজে পড়াশোনা করে এবং এইচএসসিতেও জিপিএ ৫ অর্জন করেন। শৈশব থেকেই শিল্পী লুইজেনা পৃথার সব চেয়ে বড় স্বপ্ন, আবেগ,নিষ্ঠাও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সুনাম অর্জন করে আসছেন।শিল্পী লুইজেনা পৃথা বলেন,আমার হস্ত নির্মিত শিল্প কর্মগুলি অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমার ছোট ব্যবসা গড়েতুলেছি। আমার ব্যবসায়িক পৃষ্ঠাগুলির মাধ্যমে আমার শিল্পকর্মগুলি অন্বেষণ করতে বা কিনতে পারেন: হস্তনির্মিত কারু শিল্প লিঙ্ক নিচে দেয়া আছে:
আমাদের দেশে দিন দিন অঙ্কনের ব্যবহার বেড়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে স্থান পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান গুলো ও উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করছে। গ্রাম বাংলা বা শহরে মেয়েরা ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের স্বল্প মূল্যের উপকরণ দিয়ে অল্প খরচেই তৈরি করে ফেলতে পারেন হ্যান্ডিক্রাফটের শোপিচ। নতুন নতুন পুতুল, ঘর, বিভিন্ন জীবজন্তু, ব্যাগ, ফুল, ঝুঁড়ি, গাছ,মাথারক্লিপ, হ্যান্ডব্যাগ, শপিং ব্যাগসহ ইত্যাদি শোপিচ গুলো।এগুলো টি-টেবিল বা ডাইনিং টেবিলে বেশ সৌন্দর্য বর্ধন ও দৃষ্টি নন্দন বহন করে। হাতের এ কারুকার্য তৈরি করতে যে সমস্ত উপকরণ গুলো লাগছে সেগুলো হচ্ছে, পাট, পাটজাত দ্রব্য, সুতা, কাগজ, রং পেন্সিল, টুকরো কাপড়, মাটি, বাঁশ, বেত ও বিভিন্ন খড়কুটা।শিল্পীর শিল্প শুধু কাগজেই নয় পোশাকেও এর ব্যবহার ফুটে উঠেছে।
ধীরে ধীরে এ পণ্য বিদেশে পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আরও বেশিপণ্য বিদেশে রপ্তানি জরুরি। আমাদের দেশে হ্যান্ডিক্রাফটের কোন বাজার আজকাল চোখে না পড়লেও বিদেশে এর বেশ কদর রয়েছে। কাজেই এ সমস্ত পণ্য বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের শিল্প উদ্যোক্তাদের আরো নজর দিতে হবে যাতে করে এ পণ্য বিদেশে পাঠানো যায়। হস্তশিল্পের প্রতি আমাদের সরকারকেও আরো সুদৃষ্টি দিতে হবে। প্রয়োজনে ঋণের সুদের হার কমিয়ে উদ্যোক্তাকে আগ্রহী ওউৎসাহ প্রদান করতে হবে যাতে সহজ ভাবে এ শিল্প অগ্রসর হতে পারে। যারা আর্থিক ভাবে দুর্বল তাদের শহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে এর ভূমিকা আরো জোড় দার হবে ও অর্থনৈতিক ভাবে আত্মনির্ভরশীল হবে,পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে এবং দারিদ্র বিমোচনে বেশ অবদান রাখবে।