বকশীগঞ্জে খাদ্য অধিদপ্তরের ১৬০ বস্তা টিসিবির চাল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলাকে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে তা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চন্দ্রাবাজ মধ্যপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেন ও আল আমিনের পরিবার। তাদের দাবি, জব্দকৃত চালগুলো আসলে টিসিবির ডিলার মাহমুদুর রহমান লাবুর। বৃষ্টির কারণে সাময়িকভাবে চালগুলো তাদের বাড়িতে রাখা হলেও, এখন তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ মধ্যপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগীর বসতবাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন ও আল-আমিনের পরিবারের সদস্য গোলাপি বেগম এবং মোরশেদা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে বলা হয়, উদ্ধারকৃত ১৬০ বস্তা চালের সাথে সাদ্দাম হোসেন কিংবা আল আমিনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। চালগুলো বগারচর ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার মাহমুদুর রহমান লাবু (মেসার্স বিকাশ এন্টারপ্রাইজ), ডিলার সজিব (মেসার্স শরিফা এন্টারপ্রাইজ) এবং চাল ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন জড়িত। অপরপক্ষে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা মূলত পেশায় একজন সাধারণ দিনমজুর এবং তাদের পরিবারের কেউ কালোবাজারি বা চাল মজুতের সঙ্গে জড়িত নয়।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, ঘটনার দিন (১৮ আগস্ট) বিকেলে টিসিবির ডিলার লাবুর লোকজনেরা চালগুলো ইঞ্জিন চালিত ট্রলিভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এবং ভ্যান বিকল হয়ে যাওয়ায়, চালগুলো সাময়িকভাবে তাদের নিজ বসত ঘরে মজুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। মানবিক কারণে তারা চালগুলো ঘরে রাখতে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চাল জব্দের ঘটনার পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ডিলার লাবু, সজিব এবং শামসুদ্দিনের পক্ষ থেকে চাল উদ্ধারের ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলস্বরূপ সাদ্দাম হোসেন ও আল আমিনকে আসামি করে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মূল অভিযুক্ত ডিলারদের আড়াল করতেই সাধারণ নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই মিথ্যা মামলার কারণে তাদের পরিবার চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ডিলারদের আইনের আওতায় আনার জন্য বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে মেসার্স শরিফা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী সজীবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের জানান, ঘটনাটির সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই, এখানে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।