
পুঞ্জীভূত ভালোবাসা
তবু্ও ভালোবাসা —
জোয়ার ভাটার পূর্ণ আলিঙ্গনে,
ভালোবাসার স্টেচে ভর করে
ভাসবে অনাদিকাল।
আঁধারের গায়ে লেপ্টে থাকা,
জোনাকিদের উদ্দাম নৃত্যে প্রণয় উল্লাস।
তন্দ্রাহারা অক্ষি যুগল সুনসান নীরবতায়
প্রহর গুণে আর তন্দ্রাঘোরে
উচ্চারিত করে ভালোবাসার নাম।
ঘাড় ঘুরিয়ে কামুকতার স্পর্শ
মুষ্টি বদ্ধ করে বেঁধে রাখে,
এনালগ ঘড়ির সময় নির্দেশক কাটায়!
নাসিকার ডগায় মৌ মৌ করে
ঘর্মাক্ত দেহের নোনতা ঘ্রাণ।
অতঃপর দিঘির স্বচ্ছ জলে
রক্ত পলাশের মুঞ্জরিত পাপড়ি এলিয়ে,
বুকের বাম পাঁজরে ব্যালেট পেপারে
সঞ্চিত রাখবে পুঞ্জীভূত ভালোবাসা।
“হেমন্ত”
নতুন ধানের ডালি নিয়ে
এলো হেমন্ত;
খুশির জোয়ার কৃষাণ মনে
বইছে বসন্ত।
সুখ পাখিটা আনবে এবার
নবান্নের উৎসব;
দিক-দিগন্তে আনন্দের
পড়বে কলরব।
কৃষাণ বধু দেখবে এসে
গোলাভরা ধান;
খুশি মনে, কৃষাণ হাতে
দিবে খিলি পান।
ধান বেচিয়া কৃষাণ এবার
আনবে সব গয়না;
পূরণ করবে নতুন বধুর
যতো তার বায়না।