সকালে বিকালে কভু-নাওয়া হলে পরে, আঁচলে ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে, বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে, বধুরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে’। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা- ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতার লাইনের মতো এখন আর নদীতে নাওয়ার (গোসল) দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। গৃহস্থালির কাজেও নদীতে আসতে দেখা যায় না গৃহবধূকে। নানাভাবেই স্বকীয়তা হারানো নদীর প্রতি যেন মানুষের টান দিন দিন কমছে।
দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাতে বসা সেই নদীতে আসার ডাক দেয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ‘গণগোসল’ নামে কর্মসূচির মাধ্যমে এ ডাক দেয়া হয়। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ‘নদী বাঁচাতে নদীতে আসুন’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে তরী বাংলাদেশ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচি উপলক্ষে ভাদুঘর বাজার ঘাটে তিতাস নদে গণগোসলের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) রঞ্জন চন্দ্র দে। এসময় তিনি বলেন, ‘নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেছেন উচ্চ আদালত। রেকর্ড অনুসারে যেখানে নদীর চিহ্ন আছে সেটিতে রক্ষার আদেশ দিয়েছেন। নদী রক্ষায় আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তরীর এ আয়োজন প্রশংসনীয়।’
তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, ‘তিতাস আমাদের প্রাণ। অথচ দখল-দূষণে এর দম বন্ধ হয়ে আসছে। বিশ্ব নদী দিবসকে সামনে রেখে আমরা মানুষকে আবারজ নদীর দিকে ফেরাতে চাই। মানুষ যতো নদী মুখী হবে, নদীতে আসবে নদী ততই প্রাণবন্ত ও দখল-দূষণ মুক্ত থাকবে।’