পটুয়াখালীর গলাচিপায় লাউগাছের তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় আমখোলা ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া গ্রামে এ নৃশংস হামলায় মো. আলমগীর মাদবর (৪৫), পিতা আফছের মাদবর, গুরুতর জখম হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমগীর মাদবর অন্যের জমিতে লাউ গাছের চারা রোপণ করেন। এসময় একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে সাইদুলের গরু চারাগুলো খেয়ে ফেলে। এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব থেকে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় আলমগীর মুদিরহাট থেকে ফেরার পথে হারুন মাঝির বাড়ির সামনে পৌঁছালে সাইদুল ও তার ভাই সোলাইমান তাকে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলমগীর প্রাণ বাঁচাতে হারুন মাঝির ঘরে আশ্রয় নিলেও সন্ত্রাসীরা সেখানেও ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হামলায় আলমগীরের মাথা, পিঠ, পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত লাগে। তার একটি পাঁজরের হাড় ভেঙে যায় বলে চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন। হামলার সময় হারুন মাঝির স্ত্রী ভুক্তভোগীকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধরের শিকার হতে হয়।
আলমগীরের অভিযোগ, নির্মম হামলার পাশাপাশি সাইদুল তার কাছে থাকা নগদ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার এসআই আব্দুল হাকিম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত করি। অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। অতি শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এদিকে লাউগাছের চারা নিয়ে শুরু হওয়া এই তুচ্ছ বিরোধ এখন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেওয়ায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।