রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব মাহিনুল ইসলাম বলেছেন,ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রনালয়ের বাজেট বরাদ্দে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজেট বরাদ্দ কম হওয়ায় প্রয়োজনীয় পরিমাণ সাপোর্ট দিতে পারছিনা। তবে নানা
সীমাবদ্ধতার মধ্যে যে বরাদ্দ আছে তার মধ্যেও আমরা এই সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠান রেলের মাধ্যমে মানুষকে নানাভাবে সেবা দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
গত রবিবার দুপুরে ঈশ্বরদী লোকোসেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,রেলের জন্য লোকোসেড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেখানে ইঞ্জিন ঘোড়ানোর জন্য একটি টার্ণটেবিল স্থাপন করা জরুরি। ইতিমধ্যএইবিষয় নিয়ে অবগত হয়েছি। এটা বাস্তবায়নেরজন্য যে বাজেটের প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে।এছাড়াও লোকোসেডসহ অন্যান্য যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোও জনস্বার্থে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকবে।
বস্তনিষ্ঠ তথ্য পাবার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি আরও বলেন,প্রধান প্রকৌশলীর সাথে বসে রেলগেটে ফ্লাইওভার করার বিষয়টি এবং কম খরছে বিকল্প হিসেবে রেলগেট টানেল নির্মানের বিষয় ও হার্ডিঞ্জব্রীজের উভয় পাড়ের ফেন্সিং নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা সাপেক্ষে কাজ করার চেষ্টা করা হবে।সরেজমিনে আসার বিষয়টি উল্লেখ করে সচিব বলেন,ভালভাবে বোঝার সুবিধার্থে সরেজমিনে এসেছি। রেলগেট থেকে পাকশী পর্যন্ত সড়ক এবং পাকশী বিভাগীয় অফিস এলাকার সকল সড়কের অবস্থা দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করা হবে।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জব্রীজের নির্মাণের বিষয়টি আরসিপি আই এর মিটিংয়ে উপদেষ্টা মহোদয়ের উপস্থিতিতে পাশ করা
হয়েছে।এসময় পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম ফরিদ আহমেদ, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান পরিবহণ কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ ভূ্ধঁসঢ়;ইয়া, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার সাহা, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান টেলিকমিউনিকেশন কর্মকর্তা শাহিদুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান
মেকানিক্যাল অফিসার সাদেকুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মোঃ আনিসুল হক ও পশ্চিমাঞ্চল রেলের চীফ কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলাম এবং পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মীর লিয়াকত শরীফ, ডিসিও গৌতম কুমার,পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী এক আব্দুল হানিফ, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী দুই নাজিব কায়সার,ডিএমই ক্যারেজ রবিউল ইসলাম, ডিএমই লোকো ময়েন উদ্দিন,ডিএসটিই রাজিব বিল্লাহ,ডিটিও হাসিনা বেগমসহ সকল বিভাগের কর্মকর্তাসহ লোকোসেডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রেল সচিব পাবনা শহরের বুলবুল কলেজের মিটিং শেষ করে সড়ক পথে ঈশ্বরদী লোকোসেডে আসেন। লোকোসেড,ক্যারেজ,
ঈশ্বরদী জংসন স্টেশন পরিদর্শন শেষে গ্যাংকারে পাকশীতে রওনা হন। ঈশ্বরদী রেলগেট থেকে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা পর্যবেক্ষণ করেন। বিকেলে তিনি পাকশীতে পশ্চিমাঞ্চল রেল ও পাকশী
বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন।#