পটুয়াখালীর গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আমরান (১৫) এর মৃত্যুতে এক আবেগঘন সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা সাবেরা সুলতানা লিয়া। তিনি ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রোদেলাকে বিদ্যালয় থেকে টিসি দেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোদেলার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল আমরান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে তাদের ঘনিষ্ঠতা চললেও হঠাৎ করেই রোদেলা সম্পর্ক ভেঙে জানায়— “ব্রো, তোমার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমাকে আর ফোন দিও না।” এসময় ক্ষুব্ধ আমরান বলে, সম্পর্কের মানুষ ‘ব্রো’ হতে পারে না। তখন রোদেলা জবাব দেয়— “তুমি মরো, তুমি মরলে আমার কী?”
আমরানের মা বলেন, “একজন সপ্তম শ্রেণির মেয়ের মুখে এত নির্মম কথা কিভাবে আসে? এই প্রতারণার কারণে আমার ছেলের জীবন শেষ হলো। আমি চাই, এমন মেয়ে সমাজে টিকে না থাকে। যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।”
তিনি আরও জানান, মামলা না করলেও তিনি ওসি-কে বিষয়টি অবহিত করেছেন এবং সামাজিক বিচারের দাবি তুলেছেন। এছাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে রোদেলার টিসি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের পর নিহত আমরানের সহপাঠীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট শনিবার বিকেল ৪টার দিকে গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শের-ই-বাংলা সড়কের ভাড়া বাসা থেকে আমরানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আমরান চরকাজল ইউনিয়নের মৃত অসীম হাওলাদারের ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে সে নানীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল। ঘটনার দিন দুপুরে নানী বাইরে গেলে আমরান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।