প্রিয় লাল ঠোটী মাছ রাঙা,
দোহাই তোর! অভিশাপের লোনাজলে আমাকে মাখিস না।
গ্রীষ্মের দাবদাহে বহু প্রচেষ্টায় ধৃত পুটি,
শুকনো মাটির ঢেলাঘাতে ঝাপ দিয়েছিল জলে,
দয়া করে আমার প্রতি দাবি রাখিস না।
বাবলা বৃক্ষের মগডালে চড়ুই দম্পতির,
অনুপম নিসর্গ কুটোবাসন।
কোকিল ডাকা দুপুরে গুম হলো,
কিচিরমিচির শব্দের প্রতিবাদ স্পর্শে নি শ্রবনেন্দ্রীয়।
ক্ষমা করে দিস,দিসনা অপরাধীর আসন।
এক সাগর প্রত্যয় নিয়ে আসা ডাহুকী,
ঘরের বাইরে উচু মাটির ঢিবিতে গড়েছিল,
মাতৃত্বের স্বাদে ছোট মৃত্তিকাময় গর্ত।
ঝিঝি ডাকা সন্ধ্যায় ছোটো ছানাদের নিখোঁজ!
ক্ষমা চাই – দিস না দিলের মধ্যে জখম রাখি।
প্রিয় রঙিন প্রজাপতি!
আঙুল টিপে টিপে চেপে ধরে।
৷৷ ৷ হিতসাধক হয়ে দেহাংশ বিলোন পিপড়ার পালে টেনে টেনে নিয়ে গেল খাদ্য সঞ্চয়ের নিমিত্তে।
ক্ষমা করে দিস ;দাবি রাখিস না এক রত্তি।
বাস ঝারে সারস স্ব শব্দে মাতিয়ে রাখতো পাড়া।
জলাধারের মাছ চুরির সশ্রম অপরাধ।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে জায়া ও পতি শৃঙখলিত।
মাফি মাগী ; আশ্রয় চাহি ব্যোমতলে – ফিরাস না ক্ষমা ছাড়া।
তোমাদের সেই দুষ্টু ছেলেটা আজ বিনীত
৷ আতংক আর অশান্তি বাধাবেনা।
চুরি করবে না পঙখ নীড়।
শুধু ক্ষমা করে দিস, – হবে না আর দুর্বিনীত।