1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সাদুল্লাপুরে ঝোপের ভেতর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বজনরা জিজ্ঞাসাবাদে হেফাজতে গাইবান্ধার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রতিবেদন চুড়ান্ত বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত  ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুহুল কবির রিজভী বলে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা হাসিনার প্রেতাত্মারা সরব! চকরিয়ায় মহাসড়কে ট্রাক চাপায় সিএনজি চালক নিহত বিধিবিধান না মেনে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করা যাবে না অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা ! কুমিল্লার সীমান্তে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটের চিত্র শিল্পী মাহবুব ও মারুফের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন দুয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে : আমিনুল হক বাসর ঘরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিলো নববধূ!

লালনের তিরোধান দিবস জাতীয় দিবস ঘোষণায় কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের অভিনন্দন

শাহ আলম, টাঙ্গাইল
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫

গত ২৭ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার পর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া বাজারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সাধু সংঘে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। ঘোষণার খবর পাওয়া মাত্রই কেন্দ্রীয় সাধু সংঘে এক স্বতঃস্ফূর্ত উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশে দ্রুত এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় সাধু সংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পাল, প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম, নির্বাহী সভাপতি ছোবাহান তালুকদার, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আল কামাল হুসাইন রতন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিল্পী খোকন, পাঠাগার সভাপতি শাহানুর রহমান শাহীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধু-সজ্জনবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় সাধু সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম আবেগঘন কণ্ঠে বলেন—
“আজ আমাদের জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। লালনের দর্শন মানবতাকে পথ দেখায়, সেই দর্শন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলো। আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

সভাপতি হরি মোহন পাল বলেন—
“লালন আছেন তার গান ও দর্শনের মধ্যে। জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে তার শিক্ষা ধারণে অনুপ্রাণিত করবে।”

নির্বাহী সভাপতি ছোবাহান তালুকদার অভিমত ব্যক্ত করেন—
“এটি কেবল সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি নয়, বরং মানবতার জয়গান। আজকের এই স্বীকৃতি লালনপ্রেমীদের আত্মতৃপ্ত করেছে।”

সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আল কামাল হুসাইন রতন বলেন—
“লালনের গান আমাদের সত্য, সরলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ শিখিয়েছে। জাতীয় দিবসের মর্যাদা আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবে।”

শিল্পী খোকন জানান—
“জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হলে শিল্পীরা নতুন অনুপ্রেরণা পাবে। লালনের গান বাংলার চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

পাঠাগার সভাপতি শাহানুর রহমান শাহীন বলেন—
“আমরা লালন সাহিত্য সংরক্ষণে নতুন কর্মসূচি নেবো। শিগগিরই পাঠাগারে বিশেষ কর্মশালা আয়োজন করা হবে।”

এসময় স্থানীয় শিল্পীরা গান গেয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন—
“আমরা লালনের গান গেয়ে বড় হয়েছি। আজকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আমাদের জন্য এক গৌরবের ও প্রেরণার দিন।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—এই কেন্দ্রীয় সাধু সংঘ জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার লালন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে এবং গত ১০ বছর ধরে তিনদিন ব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজন করে আসছে।

সংবাদে আনন্দঘন পরিবেশ প্রতিফলিত হয়—ঘোষণার খবরে শুধু কেন্দ্রীয় সাধু সংঘ নয়, সারাদেশে লালন ভক্তনুরাগী, বাউল, ফকির, সাধু, গোসাই, পীর মাশায়েক সহ অসাম্প্রদায়িক সাধারন মানুষরা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সবার দাবি, আগামী ১৭ অক্টোবর লালনের তিরোধান দিবসে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সারাদেশে ছুটি ঘোষনা, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালিত হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট