চেরাগি চকের আড্ডায় নুসরাত—রন্ধনের মায়াবতী, আলোকিত জীবনের প্রতিচ্ছবি-
চেরাগি চক—চট্টগ্রামের প্রাণের আড্ডাঘর। বহু গল্প, গান, কবিতা, রাজনীতি আর সংস্কৃতির মিশেলে এ জায়গা হয়ে উঠেছে এক অবিনশ্বর স্মৃতিসৌধ। আজকের দিনটিও যেন তেমনই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেল, যখন প্রিয়ভাজন জাকির উল্লাহ ভাই, তার সহধর্মিণী নুসরাত ভাবী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে এসে বসেছিলেন চায়ের টেবিলে।
মূলত চা আর আড্ডার টানে একত্রিত হলেও আলোচনার প্রসঙ্গ ছুঁয়ে গেল অনেকদূর— সাংবাদিকতা, পত্রিকার দায়িত্ব, জীবনের টানাপোড়েন, স্বপ্নপূরণের লড়াই। সম্প্রতি জাকির উল্লাহ ভাই আমাদের দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগের ডেপুটি ব্যুরো প্রধানের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই দায়িত্ব তাকে যেমন সাংবাদিকতার পরিসরে দৃঢ় অবস্থান দিচ্ছে, তেমনি আড্ডায় এনে দিল নতুন মাত্রা।
তবে আজকের আড্ডার আসল আলো ছড়ালেন নুসরাত ভাবী। তিনি শুধু একজন সহধর্মিণী নন, তিনি নারী শক্তির প্রতীক, একজন উদ্যোক্তা, একজন রন্ধনশিল্পী, যিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত হাতে-কলমে গড়ে তুলছেন সাফল্যের গল্প। তার রান্নাঘর যেন এক জাদুঘর, যেখানে প্রতিটি পদে মিশে থাকে সৃজনশীলতা, ভালোবাসা ও নিপুণতা।
নুসরাত ভাবীর রান্না এখন আর শুধু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; অসংখ্য মানুষের নাশতার টেবিল প্রতিদিন ভরে ওঠে তার হাতের ছোঁয়ায়। প্রতিটি পদ শুধু খাদ্য নয়, শিল্পের প্রকাশ। তাই তিনি যথার্থই রন্ধন প্রতিযোগিতায় সেরা রাঁধুনী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
জাকির ভাই মৃদু হাসি দিয়ে বললেন, “কামাল ভাই, আপনার ভাবীর রান্না এত সুস্বাদু যে, শরীরের বাড়তি ভর নিয়ন্ত্রণ করা আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না।” কথাটিতে যেমন মজার ছল, তেমনি লুকিয়ে আছে গর্ব ও প্রশংসার এক অমূল্য স্বরলিপি।
চেরাগি চকের আলো-আঁধারি আড্ডায় আমরা নুসরাত ভাবীর কথা শুনলাম, তার সাফল্যের গল্পে ডুবে গেলাম। তিনি কেবল একজন রাঁধুনি নন, তিনি এক অনুপ্রেরণা—আধুনিক, স্মার্ট, রুচিশীল এক আলোকিত নারী। যার শিল্পের পরিচয় পাওয়া যাবে “পাঁচ ফোঁড়ন” নামের পেজে, যেখানে প্রতিটি খাবার যেন হয়ে ওঠে কবিতার মতো সুমিষ্ট।
আজকের এই ক্ষণিক আড্ডা যেন এক দীপ্ত অভিজ্ঞতা। মনে হলো, নুসরাত ভাবী শুধু রান্নাঘরের চৌহদ্দি ভেঙে জীবনের প্রতিটি প্রান্তে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তার সাফল্যের গল্প আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।
এই লেখা শেষ নয়— আবারও লেখা হবে। তবে তখন টেবিল সাজানো থাকবে নুসরাত ভাবীর হাতের তৈরি রকমারি পদে, আর আমাদের আড্ডা হবে আরও রঙিন, আরও প্রাণবন্ত, আরও স্মরণীয়।