পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নাশির মণ্ডল হাট ছালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) শিক্ষা বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালিত পিবিজিএসআই প্রকল্পের আওতায় মাদ্রাসাটি ৫ লাখ টাকা অনুদান পায়। এর মধ্যে ৪ লাখ টাকা সংস্কারের জন্য এবং ১ লাখ টাকা গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি হিসেবে বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সুপার ইউসুফ আলী ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জনকে মনোনীত করেন। অভিযোগ রয়েছে—মনোনীতদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন মাদ্রাসার ৩ শিক্ষকের সন্তান ও ভাতিজা।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হলেও, অভিযোগ অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে ফেরত নেন সুপার। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি টাকা ফেরত দেন। একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সরাসরি অভিযোগ করেছেন বৃত্তির টাকা থেকে অর্থ ফেরত নেওয়ার বিষয়ে। অভিযোগ অস্বীকার করে সুপার ইউসুফ আলী বলেন, “আমি কারও কাছ থেকে এক টাকাও নেইনি। হয়তো ভুল বোঝাবুঝি বা অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে।” তবে আত্মীয়স্বজনকে বৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, “তারা সবাই যোগ্য ও মেধাবী হওয়ায় নির্বাচিত হয়েছে।” মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজিমুল আহসান প্রধান জানান, অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটি ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুলন ইসলাম বলেন, “প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”