ঠাকুরগাঁও২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আউটসোর্সিং বিভাগের কর্মচারীদের চাকরিতে পূনবহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মাচারী ঐক্য পরিষদ, ঠাকুরগাঁও।
এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ঠাকুরগাঁও মানব কল্যাণ এর হল রুমে।জানাজায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬২ জনকে আউটসোর্সিং বিভাগে কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ দেয় একটি বেসরকারি মেসার্স শরমী ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ৪ বছর নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছিলো বাদ যাওয়া ৩৫ জন বিভিন্ন পদে কাজ করা কর্মী’রা। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো নোটিশ বা ঘোষণা পত্র না দিয়ে চলতি বছরের আগষ্ট মাস থেকে সেই ৩৫ জন কে রোস্টার খাতায় সাক্ষর করতে নিষেধ করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এ বিষয়য়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তারা জানান,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি ডেঙ্গু ও জুলাই যোদ্ধাসহ অন্যান্য দুর্যোগেও সেবার জায়গা থেকে এক মুহূর্ত পিছু হাটিনি। যখন অনেকেই ঘরবন্দী ছিলেন তখন আমরা ছিলাম রোগীদের পাশে অথচ আজ সেই অভিজ্ঞ নিষ্ঠাবান কর্মীরাই অবহেলার শিকার। এখন আমরা কি করব? কি ভাবে চলবো, এই কাজ করে আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি।আউটসোর্সিং কর্মচারা বলেন,আমরা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছি, কোন রাজনৈতিক মহলের তদবিরে চাকরি নেইনি। বিগত সরকারের সময়ে আমার চাকরি হয়। আমি তো কাজ করেই টাকা উপার্জন করি। হটাৎ করে আমাদের পেটে লাঠি মারা হলো কেনো? জানতে চাই।আহসান হাবিব নামে আরেক জন বলেন, বিগত সরকারের সময় শুধু কি আমরাই চাকরি নিয়েছি। আরো কত মন্ত্রনালয়ে কতজনে চাকরি করে। তারা তাহলে সবাই রাজনৈতিক তদবিরে চাকরি নিয়েছে।আমরা তো কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে চাকরি নেইনি।তাহলে কি আমাদের এটাই অপরাধ। চাকরি করতে হলে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে চাকরি পেতে হবে।দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে যদি আমাদের এই অবস্থা হয়।তাহলে আমাদের পরিবর্তনে যাদের নেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আপনারা সাংবাদিক আপনারা খুঁজে বের করুন।এ বিষয়ে মেসার্স শরমী ট্রেডার্স নামে সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া জায়নি।এবং কি তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানান জায়।