চলতি বছরের শুরুতে গাইবান্ধা জেলার নতুন জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আতাউর রহমান। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন তিনি।
তিনি জানান, জেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকার নির্ধারিত শ্রেণি কার্যক্রমের সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকাল ৯:৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শ্রেণি পাঠ পরিচালনার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের প্রতি।
আতাউর রহমান আরও বলেন, গাইবান্ধার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। আমরা প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছি যেন তারা শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি এবং নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, টিফিন বিরতির পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসে না। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের স্পষ্ট নির্দেশনা, টিফিনের পর যেন সকল শিক্ষার্থী পুনরায় শ্রেণিকক্ষে ফিরে এসে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ক্লাসে অংশ নেয়।
তিনি আরও জানান, জেলা শিক্ষা অফিস প্রতিদিন মাঠপর্যায়ে তদারকিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। নিজে না থাকলেও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদেরকেও এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
আতাউর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গাইবান্ধা জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। জেলা প্রশাসনকেও নিয়মিত এসব কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত রাখা হচ্ছে।