বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদের সামনে স্থানীয় সকল কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ “জুলাই বিপ্লবের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই” প্রাথমিক বৃত্তিতে বৈষম্য কেন? “প্রাথমিক শিক্ষা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন সভাপতি ও আটোয়ারী কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ মোঃ নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আটোয়ারীপদেষ্টা জবাব চাই” বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বিক্ষোভ র্যালিটি আটোয়ারী উপজেলার বিভন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্ত্বরে একটি সমাবেশে শেষ হয়। উক্ত সমাবেশে তোড়িয়া সীমান্ত কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ মোঃ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মূল শ্লোগানের ওপর গুরুত্বারোপ করে এসময় বক্তব্য রাখেন আটোয়ারী মিলেনিয়াম স্টারস স্কুলের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ রমজান আলী, আটোয়ারী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিতিশ চন্দ্র বর্মন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ এমদাদুল হক, আটোয়ারী আদর্শ বিদ্যা নিকেতনের অধ্যক্ষ রুমী আক্তার চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। আটোয়ারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ১১২ টি প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৮২০ জন। এছাড়াও আটোয়ারী উপজেলায় ৩৬ টিকিন্ডারগার্টেন এর মধ্যে পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা ১৩ টি। যেখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারলেও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারছে না বিধায় অভিভাবকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আর যারা কিন্ডারগার্টেন পরিচালনা করছেন তারা খুবই দুঃচিন্তার মধ্যে আছেন। আগামী বছরে অনেক অভিভাবকগন তাদের ছেলেমেয়েদের কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করাতে অনিহা প্রকাশ করবেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। আটোয়ারীর কলেজ পড়ুয়া অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেনে চাকুরীরত আছেন! তাদের কর্মসংস্থান হারিয়ে গেলে তারা অসহায় হয়ে যাবে। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন শেষে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামানের হাতে স্মারকলিপি প্রদানের মধ্যদিয়ে কর্মসূচী সমাপ্ত হয়।