জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোঁচা গিয়াস মাষ্টারের বাড়ীর সামনে ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন এবং ককটেল বিস্ফোরণ মামলা হলেও ঘটনাটি পুরোটাই উল্টো প্রমান দিলো এলাকাবাসী।
গত ১৩/০৬/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১১ ঘটিকায় ফুলকোচা গিয়াস মাষ্টার বাড়ী মোড় পাঁকা রাস্তায় এ ঘটনাটি ঘটে। কেও বলে এক্সিডেন্ট আবার কেউ বলে মারধর কোনটা সঠিক? ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ীর মহিলারা জানায় মাঝেমধ্যেই এইখানে এক্সিডেন্ট হয়, ওই দিন রাতেও আমরা বরাবরের মতই চিৎকার শুনে তাৎক্ষণিক দৌড়ে যায় এবং গিয়ে দেখি একজন মোটরসাইকেল এর নিচে পড়ে আছে ঐ লোককে তাড়াতাড়ি ওখান থেকে বের করে মাথায় পানি দিয়ে হাসপাতালে পাঠাই। ঘটনা স্থলের সাথেই থাকা ডাক্তার কালাম জানান ঐ রাতে চিৎকার শুনা মাত্রই গিয়ে দেখি মোটরসাইকেলের নিচে একজন পড়ে আছে মারামারির কোন আলামত পাইনি তবে মাঝে মধ্যেই এই মোড়ে এক্সিডেন হয়। ঘটনা স্থলের সাথেই থাকা ঘরের গিয়াস উদ্দিন মাষ্টার জানান, মাঝে মাঝেই এই জায়গায় এক্সিডেন্ট হয় ঐরাতেও চিৎকার শুনে আমি ও আমার স্ত্রী সাথে সাথেই গিয়ে দেখি একজন মোটর সাইকেল এর নিচে পড়ে আছে তবে পাশ থেকে বাবু নামে একজন এসে বলল এক্সিডেন না মারামারি, তাকে জিজ্ঞেসা করলে সে বলল তাদেরকে চিনি বলল কিন্তু ঐ মুহূর্তে কারর নামও বলেনি বাবু। তিনি আরও জানান,বাবুর কাছে মারামারীর কথা শুনে ঐখান থাকা অন্যান্য লোকজনের কাছে শুনে জানতে পাই এখানে কোন মারামারির আলামত পাওয়া যায়নি। এদিকে বাদী মিনহাজ উদ্দিন বাবু ও হুসেন বলেন পাঁকা রাস্তার উপর পৌছাইলে পূর্ব হইতে উৎ পেতে থেকে বিবাদীগণ আমাদের মারধর করে এই নিয়ে মেলান্দহ থানায় ১। সুমন (৩০), পিতা-বেলাল আকন্দ, ২। রোমান (৩০), পিতা-শাহজাহান আকন্দ, কুব্বাত সহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন কে আসামি করে তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তারা আরও জানান, আমাদের ডাক চিৎকার শুনে সাথে সাথেই আশেপাশের লোকজন এসে বিবাদীগণদের হাত থেকে আমাদের প্রাণে রক্ষা করে। বিবাদীগণ চলে যাওয়ার সময় আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইলে আশেপাশের স্থানীয় লোকজন আমাদের ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার করিয়া জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন এবং ককটেল বিস্ফোরণ এসবের কথা আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বললে তারা পুরোটাই অস্বীকার করেন এবং বলেন আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম মারামারির কোন আলামত নেই তবে ধারণা করলাম এক্সিডেন্ট, মারামারি হতে পারে কিন্তু কাউকে আমরা দেখিনাই। বিবাদী, সুমন, রোমান, কুব্বাত সহ আরও অনেকের সাথে যোগাযোগ করলে , তারা বলেন আমাদেরকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপণ্য করার জন্য সাজানো হচ্ছে এসব নাটক, তবে মারামারি না এক্সিডেন্ট আমরা কিছুই জানি না,এটি পরিকল্পিত আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, তাই প্রশাসনে কাছে হোসেন ও মিনহাজ উদ্দিন বাবুর পূর্বের কৃতকর্মের তদন্ত সহ এ মামলার সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবিও করেন তারা।
এ মামলার তদন্তকারী অফিসার মেলান্দহ থানার এস আই রাশেদ কে ফোন দিলেও মিলেনি তার দেখা।