1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নিরাপদ সড়ক চাই সফল সামাজিক সংগঠন তারেক রহমান ফিরতে চাইলে একদিনেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব ঘোড়াঘাটে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সীমিত গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ১১মাস ধরে ঘরবন্দী এক পরিবার লামায় ট্রাক্টর মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৪ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড, ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও  আলোচনা সভা  গৌরনদীতে বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড গাইবান্ধা, ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা হত্যার হুমকি থানায় অভিযোগ  ৩২ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীসম্মাননা ২০২৫

৪২টি মামলা নয়, রাজপথের পদক! চট্টগ্রামের সংগ্রামী সৈনিক আবু সুফিয়ান

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

রাজনীতিতে কেউ কেউ হঠাৎ করে আলোয় আসেন আবার কেউ কেউ দীর্ঘদিনের ত্যাগ প্রতিজ্ঞা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেন মানুষের হৃদয়ে। সময়ের সাথে সাথে অনেক মুখ হারিয়ে যায়, অনেক নাম বিস্মৃত হয়—কিন্তু যারা রাজপথে দলের দুঃসময়ে ছায়ার মতো পাশে থাকেন, ঝড়-তুফানের মধ্যে হাল ধরেন, তাদের নামই ইতিহাসে টিকে থাকে। এমনি একজন সময়ের সাহসী সৈনিক হলেন আলহাজ্ব মোঃ আবু সুফিয়ান—চট্টগ্রাম-৮ আসনের এক নিবেদিতপ্রাণ, নীতিশীল ও জননন্দিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমার সঙ্গে তার পরিচয় আশির দশকের উত্তাল ছাত্র-আন্দোলনের রাজপথে। সেই রাজপথের লড়াকু আবু সুফিয়ানকে আমি চিনেছি, দেখেছি এবং আজো জানি একই দৃঢ়তা ও আদর্শ নিয়ে তিনি চলছেন। সাংবাদিকতা জীবনে আমি বহু রাজনীতিকের সান্নিধ্যে এসেছি, কিন্তু আবু সুফিয়ানের মতো অমায়িক, শিষ্টাচারপূর্ণ ও কর্মীবান্ধব নেতা খুব কমই দেখেছি। বিশেষ করে বাংলা টিভিতে প্রচারিত আমার উপস্থাপনায় চট্টগ্রাম ভিত্তিক টকশো “ চট্টগ্রাম সংলাপ ” অনুষ্ঠানে একাধিকবার তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং সরাসরি তার বিশ্লেষণ, বক্তব্য ও আচরণে মুগ্ধ হয়েছি। জনতার ভাষায় কথা বলা, কর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা, স্পষ্ট মতামত ও আত্মবিশ্বাস তাকে আলাদা করে চিহ্নিত করেছে।

তাকে নিয়ে আমি এর আগেও কয়েকবার লিখেছি—আজ আবার কলম হাতে তুলে নিলাম, একজন পরীক্ষিত রাজনৈতিক কর্মীর ন্যায়সঙ্গত অবস্থান, ত্যাগ ও বাস্তবতার কথা বলার তাগিদে। রাজনীতি কখনো ফুলশয্যার পথ নয়। বিশেষ করে যারা দেশের জন্য, দলের জন্য এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেন—তাদের জীবনকে ঘিরে থাকে মামলা, হামলা, নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র। তেমনি একজন অকুতোভয়, নীতিবান ও নির্ভীক নেতার নাম আলহাজ্ব মোঃ আবু সুফিয়ান—চট্টগ্রামের  বোয়ালখালী-চান্দ গাঁও, পাঁচ লাইশ, বায়েজিদ আসনের গণমানুষের একান্ত প্রতিনিধি। তিনি কেন আলাদা?

বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ৪২টি। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয়, একটিও মামলা নিজের স্বার্থ বা পারিবারিক সুবিধা হাসিলের জন্য নয়। সবগুলোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রতিপক্ষ সরকারের দমননীতির অংশ হিসেবে তৈরি। যখন অনেকে দলের দুর্দিনে ঘরে ঢুকে পড়েছেন, তখন তিনি দলের পতাকা হাতে রাজপথে থেকেছেন। তারই ফলস্বরূপ তিনি আজ “৪২ মামলার আসামি”—কিন্তু তিনি কোনো দিন গা ঢাকা দেননি, পলায়ন হননি, বরং নিয়মিত হাজিরা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে।  যারা আদালতের হিসাব রাখেন, তারা জানেন…একাধিক মামলায় তিনি খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন। অনেকগুলো মামলায় ‘Not Sent Up’ হওয়ায় তদন্ত পর্যায়েই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।বাকিগুলোর অনেকেই স্বাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে, যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়নি।মামলাগুলোর বেশিরভাগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা হলেও, তার বিরুদ্ধে কোনো সহিংস কর্মকাণ্ড বা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  এই মামলা তাঁর দুর্বলতা নয়—তাঁর ত্যাগের পরিচয়

আবু সুফিয়ান যখন রাজপথে লাঠিচার্জের মুখে দাঁড়িয়েছেন, তখন অনেকে মিডিয়ার সামনে মুখ দেখাতে ব্যস্ত ছিলেন। যাদের হাতে টাকা ছিল, তারা বিদেশে আত্মগোপন করেছেন। কিন্তু এই মানুষটি দলের কর্মীদের মুখোমুখি হয়েছেন, নিপীড়নের মুখে থেকেও রাজনীতিকে ছাড়েননি। তিনি মিছিল করেছেন, মামলা মাথায় নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছেন, নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। যারা রাজপথে ছিলেন, তারা জানেন, কাকে সত্যিকার নেতার আসনে বসানো উচিত। মনোনয়ন কাদের প্রাপ্য? বিএনপি কি শুধু ক্লিন ইমেজ, ব্যবসায়ী ক্ষমতা, বড়লোকদের জন্য মনোনয়ন রাখবে? নাকি দুঃসময়ের বিশ্বস্ত সৈনিক, মাঠের নেতা, ত্যাগী মানুষের হাতে সেই দায়িত্ব তুলে দেবে? আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাধারণ জনগণ ও তৃণমূল কর্মীদের একটাই দাবি—আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দিন। কারণ তিনি পরীক্ষিত, নির্যাতিত ও ত্যাগী। তাঁর মতো লোকই রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে সঠিক পথে রাখতে পারেন।

একজন নেতা কতটি জনসভা করেছেন, তা দিয়ে নয়—তিনি কতটি নির্যাতন সহ্য করেছেন, তাতে তাঁর গুরুত্ব নির্ধারিত হয়। আবু সুফিয়ানের নাম যখন বলা হয়, তখন তা মামলার সংখ্যা দিয়ে নয়, দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করার প্রতীক হিসেবে উচ্চারিত হয়। আজ সাধারণ মানুষ আর মুখস্থ বুলি কিংবা কাগুজে নেতা চায় না। তারা চায় এমন একজন প্রতিনিধি, যিনি দুঃসময়ে পাশে থাকেন, বিপদের দিনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান, নিজের স্বার্থ ভুলে দলের ও জনগণের জন্য লড়াই করেন।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রতিটি অলিগলি জানে—কে রাজপথে ছিল, কে পুলিশের লাঠির আঘাত সহ্য করেছে, কে কর্মীদের আগলে রেখেছে। আলহাজ্ব মোঃ আবু সুফিয়ান কোনো মিডিয়ায় কেনা মুখ নয়, তিনি মানুষের হৃদয়ের নেতা। তার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা আছে ঠিকই, কিন্তু প্রতিটি মামলা তাঁর সাহস ও ত্যাগের প্রমাণ—নিজের জন্য একটিও নয়, সবই দলের জন্য, দেশের জন্য। গণমানুষের একটাই দাবি—সাধরণ মানুষ  চাই দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে সত্যিকারের নেতৃত্বের,তারা চাই এমন একজনকে যিনি কথা নয়, কাজ দিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন।সেই হিসেবে মানুষ চাই আবু সুফিয়ানকে।আজ সময় এসেছে রাজপথে ন্যায্য অধিকারের লড়াই করা নেতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার। এটাই কর্মীদের কণ্ঠস্বর, এটাই সাধারণ মানুষের স্পষ্ট বার্তা

“আবু সুফিয়ানকেই চাই চট্টগ্রাম-৮-এর মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে।” সত্যিকারের নেতৃত্ব দলের গর্ব গণমানুষের প্রার্থী তৃণমূলের প্রত্যাশা রাজপথের যোদ্ধা নেতৃত্ব তুলে দিন—এটাই সময়। আলহাজ্ব মোঃ আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দিন, জনগণের হয়ে কথা বলার সুযোগ দিন। আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম ৮ বিএনপি নেতা মামলাননয় ত্যাগের প্রমাণ মনোনয়ন২০২৬ রাজপথের পদক দুঃসময়ের নেতা সত্যিকার নেতৃত্ব

লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট