1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামের চেতনার দীপ্ত মশাল: দেশবিদেশে এক আলোকবর্তিকা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন খোকসায় তুচ্ছ ঘটনায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা: এলাকায় শোকের ছায়াঁ জুতার মালার কি রাষ্ট্রীয় উদ্বোধন! চট্টগ্রামের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর:সংকটের আবরণে লুকানো এক সাংস্কৃতিক রত্ন ৪২টি মামলা নয়, রাজপথের পদক! চট্টগ্রামের সংগ্রামী সৈনিক আবু সুফিয়ান ‎কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ  গ্রেফতার “শোক বার্তা “ এসপি কর্তৃক কুষ্টিয়া মডেল থানা বার্ষিক পরিদর্শন চট্টগ্রামের নাগরিক আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা মঈনউদ্দীন মহসিনের স্মরণে অশ্রুসিক্ত শোকসভা প্রবাসী সাংবাদিকতা য়সাইফুল ইসলাম তালুকদারকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করলো প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদ

চট্টগ্রামের চেতনার দীপ্ত মশাল: দেশবিদেশে এক আলোকবর্তিকা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা কেবল সময়ের সন্তান নন, সময়েরও স্রষ্টা হন। যাঁদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে ছড়িয়ে থাকে আদর্শ, প্রেরণা, সাহস ও ত্যাগের উজ্জ্বল আলেখ্য। ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এমনই এক মহীরুহ, যিনি জন্মেছেন বাংলার উপকূলীয় শহর চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ষোলোশহরে, অথচ তাঁর আলো ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে জাতিসংঘের অভিজাত অঙ্গনে, মানবাধিকারের মঞ্চে কিংবা বিলেতের বাংলা মিডিয়ার আলো ঝলমলে স্টুডিওতেও।
তিনি আইনজীবী, তিনি সমাজকর্মী, তিনি এক নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক, আবার তিনি একজন অদম্য স্বপ্নদ্রষ্টা—যিনি নিজের বর্ণিল কর্মজীবন দিয়ে চট্টগ্রামের প্রতিটি স্পন্দনে যুক্ত করে দিয়েছেন প্রবাসের হৃদয়। তাঁর জীবনকাহিনি যেন এক সমৃদ্ধ উপন্যাসের মতো—যেখানে আছে সংগ্রাম, আছে সাফল্য, আছে বিসর্জন, আবার আছে বিশ্ববাসীর ভালোবাসা।
১৯৬১ সালের ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের সেই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মাটি থেকে জন্ম নিয়েছিল এক অসাধারণ প্রাণ, যিনি কৈশোর থেকেই নেতৃত্বে ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নাসিরাবাদ বয়েজ হাই স্কুলের ছাত্র সংসদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থনে নির্বাচিত হয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন—নেতৃত্ব তার মজ্জাগত। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়ে, গণতন্ত্র ও শিক্ষা আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করে, বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন সাহসী সমাজপ্রেমিক হিসেবে। তিনি কেবল একজন ছাত্রনেতা ছিলেন না, ছিলেন নিপীড়িতের মুখপাত্র—এক বুলন্দ কণ্ঠস্বর।
বহির্বিশ্বে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমালেও, দেশের প্রতি ভালোবাসা এক মুহূর্তের জন্যও তার মন থেকে মুছে যায়নি। বরং বিলেতের অভিবাসী জীবন তাঁর দেশপ্রেমকে আরও গভীর, আরও প্রগাঢ় করে তোলে। তিনি বিশ্বাস করতেন, “শিকড়ের টানই মানুষকে করে সত্যিকারের মানুষ।” এই বিশ্বাসেই বিলেতের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন এক বিশাল কমিউনিটির জন্য শক্তিশালী একটি আশ্রয়স্থল—আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পক্ষে অক্লান্ত লড়াকু এক মঞ্চ।
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ছিলেন সেই দুর্লভ মানুষ, যিনি বিচারালয়ের কাঠগড়ায় যেমন ন্যায়ের জন্য লড়েন, তেমনি বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিনা পারিশ্রমিকে। তিনি ছিলেন আইনের আশ্রয়ে নিপীড়িত মানুষের এক আলোকিত পথপ্রদর্শক। ব্রিটেনের বুকে “আপন ঠিকানা” হয়ে ওঠা এই মানুষটি প্রমাণ করেছেন, প্রবাসে থেকেও কেউ যদি মন থেকে দেশকে ভালোবাসে, তাহলে তার হৃদয় বাংলাদেশেই বাঁধা পড়ে থাকে।
‘ল উইথ ব্যারিস্টার মনোয়ার’ বা ‘ইউর রাইটস’—শুধু টিভি শো ছিল না, ছিল মানুষের মাঝে অধিকারবোধ জাগিয়ে তোলার এক বাস্তব পাঠশালা। তিনি আইনকে জনপ্রিয় ও বোধগম্য করে তুলেছিলেন—তার সাহসী, কিন্তু সদালাপী উপস্থাপনায়। সেই মানুষটির প্রতিটি বাক্য ছিল যুক্তি আর মানবিকতার সুরে বাঁধা। তিনি টিভির পর্দা থেকে উঠে এসেছিলেন মানুষের অন্তরে।
সামাজিক দায়িত্ববোধের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটেছে তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ফোরামের কর্মকাণ্ডে। জাতিসংঘের সভাগৃহে দাঁড়িয়ে তিনি যখন মানবাধিকারের প্রশ্নে দৃপ্ত কণ্ঠে কথা বলেন, তখন সেখানে শুধু এক ব্যারিস্টার কথা বলেন না—কথা বলেন একটি জাতির বিবেক, একটি অঞ্চল বিশেষের আত্মসম্মান। তিনি হয়ে ওঠেন প্রবাসে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের আরেক রূপ।
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নাগরিকদের অন্তর্নিহিত চাওয়া-পাওয়াকে রূপ দিয়েছেন আন্দোলনের ভাষায়, গড়েছেন উন্নয়নের দাবি। তাঁর নেতৃত্বে শুধু চট্টগ্রামের সমস্যা চিহ্নিত হয়নি, তার সমাধানের রূপরেখাও তৈরি হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেন এক কাণ্ডারির মতো—যিনি শুধু কথা বলেননি, করেও দেখিয়েছেন।
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্তৃত—নিউইয়র্কের বিজনেস আমেরিকায় “বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী প্রবাসী বাংলাদেশি”র তালিকায় তাঁর নাম, ব্রিটিশ মন্ত্রী কিথ বেস্টের কাছ থেকে “স্টার অ্যাচিভার ইন দ্য লিগ্যাল প্রফেশন” পুরস্কার, দুবাইয়ের “বেস্ট এনআরবি প্রফেশনাল অফ দ্য ইয়ার”—এসব কেবল পুরস্কার নয়, এগুলো ইতিহাসের পাতায় লেখা তাঁর কৃতিত্বের স্বাক্ষর।
আর এতসব কৃতিত্বের মাঝেও তিনি থেকেছেন অমায়িক, বিনয়ী ও হাস্যোজ্জ্বল—একজন সজ্জন ব্যক্তিত্ব। লিভারপুল বাংলা প্রেস ক্লাবের কাছে যখন তিনি বই উপহার দেন, তখন সেই উপহার শুধু বই নয়, সাংবাদিকতা ও লেখালেখির প্রতি এক অদৃশ্য ভালোবাসার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলেন, “সাংবাদিকরাই পারে জাতিকে পথ দেখাতে।” তাঁর চিন্তা-চেতনায় সততা ছিল প্রধান মন্ত্র, আর দেশপ্রেম ছিল প্রতিটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে গাঁথা।
তিনি বিশ্বাস করেন—“সততা ছাড়া দেশপ্রেম অর্থহীন।” তাই তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি কর্মেই সততার ছাপ রেখেছেন। তাঁর পিতৃসূত্রের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, পারিবারিক ঐতিহ্যের মহত্ত্ব, সবকিছু মিলিয়ে তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান, এক ইতিহাস।
এই মহত্‍প্রাণ মানুষটি আজো কর্মময়, দীপ্ত, দৃঢ় ও অনন্য। তিনি প্রমাণ করেছেন—কাজের মাধ্যমেই মানুষ অমর হয়, মননের মাধ্যমেই একজন মানুষ পরিণত হন ‘আইকন’-এ।
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন—
একজন সাহসী চট্টলার সন্তান,
একজন আন্তর্জাতিক শ্রদ্ধাভাজন আইনবিদ,
একজন নির্ভরতার প্রতীক,
একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজদর্শী,
আর সর্বোপরি—চট্টগ্রামের উন্নয়ন আন্দোলনের এক মহান রূপকার।
তিনি কেবল ব্যারিস্টার নন—তিনি প্রবাসের প্রেরণা, দেশের দীপ্ত আয়না।
চট্টগ্রাম তাঁকে শ্রদ্ধা করে, বাংলাদেশ তাঁকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখে,
আর বিশ্বমঞ্চ তাঁকে চিনে নেয় একজন সত্যিকারের আন্তর্জাতিক চট্টগ্রামিয়ান হিসেবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট