কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের সাতপাখিয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মোহাম্মদ আলী (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মোহাম্মদ আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (৪৫) প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে নিয়ে মন্তব্য করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় একই গ্রামের সুনায়ের ছেলে হৃদয় ও শাহিন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তারা তরিকুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তরিকুলের স্ত্রী শাপলা খাতুন জানান, সুনায়ের মেয়ে জিম (৩০) সম্পর্কে নানা ধরনের অবাঞ্ছিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। জিম বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে, সুনায়ের পরিবারের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী ছেলের প্রাণ রক্ষায় এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকেও নির্মমভাবে মারধর করে ও তলপেটে লাথি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিলে ২৪ জুন ভোর সাড়ে চারটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাদের মল্লিক বলেন, “এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। তুচ্ছ কারণে একজন বৃদ্ধ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
খোকসা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, “খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও শোকের সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত বিচার ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।