1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামের নাগরিক আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা মঈনউদ্দীন মহসিনের স্মরণে অশ্রুসিক্ত শোকসভা প্রবাসী সাংবাদিকতা য়সাইফুল ইসলাম তালুকদারকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করলো প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদ কালিহাতীতে ১১ বছরের শিশুর বাল্যবিবাহ ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ সাতক্ষীরায় ৭১ টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত চট্টগ্রামে এলএনজি সংকটে গ্যাস বিপর্যয়- আগাম প্রস্তুতির ঘাটতি প্রশ্নবিদ্ধ! হুমকি-ধমকির ছায়ায় কাটানো এক সাংবাদিকের অভিজ্ঞতা–১ গণমানুষের সাহসী কণ্ঠের বিদায়: মঈনউদ্দীন মহসিনকে স্মরণ! ইরান-ফিলিস্তিনের প্রতিরোধে ইসরায়েলের পতনের ঘণ্টা বাজছে! বাকেরগঞ্জের ব্যবসায়ী মোঃ আমির হোসেন(মেকার) ইন্তেকাল করেছেন কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা!

ইরান-ফিলিস্তিনের প্রতিরোধে ইসরায়েলের পতনের ঘণ্টা বাজছে!

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

পৃথিবীতে শক্তির সংজ্ঞা বারবার বদলায়, কিন্তু যারা ঈমানের শক্তিতে বিশ্বাস করে, তাদের জয় চিরন্তন। ইতিহাসের পৃষ্ঠা উল্টালেই আমরা দেখি—বদর, উহুদ, খন্দকের মতো যুদ্ধগুলোতে মুসলমানরা সংখ্যায় ছিল কম, অস্ত্রে ছিল দুর্বল, কিন্তু ঈমানে ছিল দুর্দমনীয়। তাই তারা জয়ী হয়েছিল। আজকের বিশ্বে সেই ইতিহাস যেন নতুন করে লেখা হচ্ছে। যুদ্ধ চলছে আবার, গাজা উপত্যকায়। রক্ত ঝরছে, শিশু মরছে, মা-বোনেরা কাঁদছে, ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। কিন্তু থেমে যাচ্ছে না মুসলমানদের ঈমানি চেতনা। প্রতিরোধ চলছে—এক দুর্নিবার দৃঢ়তায়, যা ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে।

যুদ্ধ শুধু অস্ত্রের নয়, ঈমানের-

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল সংঘাত বিশ্বে নতুন করে আলোড়ন তোলে। পশ্চিমা মিডিয়ার প্রোপাগান্ডার ভেতর দিয়েও সত্য সামনে চলে আসে—ইসরায়েল আজ নিরাপদ নয়। গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের সীমিত অস্ত্র, ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ, টুকরো রকেট দিয়েও যেভাবে ইসরায়েলকে বিপাকে ফেলেছে, তা সামরিক বিশ্লেষকদের হতবাক করেছে।

ইরানের ভূমিকায় ভয়ভীতি ছড়িয়েছে জায়নবাদে- ইসরায়েল সব সময় ভয় পায় একটিই নাম—ইরান। কারণ ইরান তাদের মতো সামরিক আগ্রাসনের রাষ্ট্র নয়, বরং এক আদর্শিক শক্তি। তাদের আছে কুদস ফোর্স, আছে লেবাননের হিজবুল্লাহ, আছে ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন, ইরাক-সিরিয়ায় সশস্ত্র প্রভাব, এবং সবচেয়ে বড় কথা, আছে এক অনমনীয় ঈমান। ইরান বলেছে, “যদি গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হয়, তবে প্রতিরোধ শুধু গাজা নয়—পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে।” এবং বাস্তবেই তা ঘটেছে। ২০২৪ সালের শুরুতে, ইরান সরাসরি ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তাদের সামরিক সক্ষমতাকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই আক্রমণ ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সরাসরি বহিঃশত্রু আক্রমণ। এমনকি আমেরিকা, ব্রিটেনও একপর্যায়ে “সংযম” বজায় রাখার পরামর্শ দিতে বাধ্য হয়েছে। ইসরায়েলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ধস- ইসরায়েল রাষ্ট্রটি বর্তমানে তিনটি বড় সংকটে জর্জরিত— ১. রাজনৈতিক সংকট: নেতানিয়াহুর সরকার দেশের ভেতরেই ব্যাপক অসন্তোষ ও দুর্নীতির অভিযোগে চাপে রয়েছে।২. সামরিক ব্যর্থতা: ফিলিস্তিনিদের উপর মাসের পর মাস বোমাবর্ষণ করেও প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি। বরং হামাসের আক্রমণ নিয়মিত বেড়েছে।৩. মানবিক ও আন্তর্জাতিক সংকট: শিশুহত্যা, হাসপাতাল ধ্বংস, সাংবাদিক হত্যা—এসব ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ধ্বংস করেছে। আইসিসির ওয়ারেন্ট ইস্যু এর স্পষ্ট প্রমাণ।

মুসলিম বিশ্বের জাগরণ

এই যুদ্ধের ভেতরেও মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে এক নতুন আগুন জ্বলেছে। তুরস্ক, ইরান, কাতার, মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া, পাকিস্তানসহ অনেক রাষ্ট্র এবং লক্ষ-কোটি মুসলিম সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। তারা বলেছে—‘ফিলিস্তিন শুধু একটি রাষ্ট্র নয়, এটি আমাদের আত্মার অংশ।’

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে মিশরের বৃদ্ধ—সবার চোখে আজ ইসরায়েল ও তার দোসরদের জন্য ঘৃণা, আর গাজার শহীদ শিশুদের জন্য অশ্রু। এটা নিছক আবেগ নয়—এটাই ইতিহাস রচনার আগুন।মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা ভেঙে পড়ছে-পশ্চিমা মিডিয়া যুগের পর যুগ ফিলিস্তিনিদের “সন্ত্রাসী” বানিয়ে তুলে ধরেছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই প্রোপাগান্ডা আজ আর টেকে না। আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, তুরস্ক ও ইরানের চ্যানেলগুলো এবং সবচেয়ে বড় করে ফিলিস্তিনিদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনই আজ সত্য প্রচারের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাসী আজ বুঝে গেছে—গাজা একমাত্র যুদ্ধ করছে ন্যায় ও মানবতার পক্ষে, আর ইসরায়েল লড়ছে আগ্রাসন ও দখলের জন্য। ইসলামের চূড়ান্ত শিক্ষা—জুলুম কখনো টিকে না-কুরআন বলেছে—”যালিমরা চিরকাল জয়ী হতে পারে না” (সূরা আনআম: ১৩৫) এটি কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়—এটি এক চিরন্তন সত্য। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—নিমরুদ, ফেরাউন, হালাকু, ইয়াজিদের মতো সকল জুলুমশক্তি ধ্বংস হয়েছে। আজ ইসরায়েল সেই জুলুমের আধুনিক প্রতিচ্ছবি—তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ যুদ্ধ শুধু বোমা, গুলি, ক্ষেপণাস্ত্রের যুদ্ধ নয়—এ যুদ্ধ এক বিশ্বাসের, এক অস্তিত্বের, এক স্বপ্নের। মুসলমানের অস্তিত্বের, ঈমানের স্বপ্নের, মানবতার অধিকার রক্ষার যুদ্ধ। ফিলিস্তিন আজ যে যুদ্ধ করছে, তা আমাদের আত্মার যুদ্ধ।

ইরান আজ যে বার্তা দিচ্ছে, তা আমাদের সাহসের ডাক। ইসরায়েলের যে পতন শুরু হয়েছে, তা অন্যায় শক্তির পতনের অগ্রগামী ঘণ্টাধ্বনি। আসুন, আমরা ঈমানকে দৃঢ় করি, সত্যকে ধারণ করি, নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে দাঁড়াই—কেননা পরাজয় তাদের নয়, যারা শহীদ হয়; পরাজয় তাদের, যারা অন্যায় করে, আর একদিন ইতিহাস তাদের মুছে দেয়।

“সত্য যখন উঠে দাঁড়ায়, মিথ্যা নিজেই মুছে যায়।” সেই সত্যের পথে হোক আমাদের দৃঢ় ঈমান। সেই প্রতিরোধের সুরেই হোক আমাদের জয়গান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট