1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

“ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে পাহাড়তলী থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার : ধৃত ‘ব্লেড মাসুম’ জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত থাকার স্বীকারোক্তি”

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার সাহসী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাবুল আজাদ-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এক চৌকস অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে থানা হতে লুণ্ঠিত একটি চাইনিজ পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন ও একটি পিস্তলের প্রসেস। এই অভিযানে কুখ্যাত অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী পরিচয়ে পরিচিত সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ব্লেড মাসুম গ্রেপ্তার হয়েছে—যিনি অতীতে থানা লুট, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ছিনতাইসহ নানা সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের প্রতীক: ওসি মো. বাবুল আজাদ-ওসি বাবুল আজাদের কর্মনিষ্ঠা ও নির্ভীক নেতৃত্ব আজ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে এক উজ্জ্বল উদাহরণ। পাহাড়তলী থানার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি নিরলসভাবে এলাকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক কারবার এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ নির্মূলে একাধিক সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। এবারের এই চাঞ্চল্যকর অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানটিও ছিল তাঁর নেতৃত্বে গঠিত একটি দক্ষ অপারেশন টিমের সাফল্যের প্রতিফলন। ১৯ জুন ২০২৫, রাত ১২টা ৩০ মিনিট থেকে জেলেপাড়া রাশমনিঘাট ওভারব্রিজের নিচে বিশেষ চেকপোস্ট বসান ওসি বাবুল আজাদের নির্দেশে এসআই (নিঃ) জসীম উদ্দীন এবং এএসআই ইব্রাহিম সরকার, টিপু সুলতান, মনজুর আলম মজুমদার, নুর কবির বাহাদুরসহ টহল টিম সিয়েরা-৪৩-এর সদস্যরা। মাত্র ২০ মিনিট পর, রাত ১২টা ৫০ মিনিটে, সন্দেহজনকভাবে এক ব্যক্তি পায়ে হেঁটে চৌরাস্তার দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। পুলিশের চ্যালেঞ্জে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে ধৃত হয় কুখ্যাত অপরাধী ব্লেড মাসুম।অস্ত্র, গুলি ও সন্ত্রাসের স্বীকারোক্তি-তল্লাশিতে মাসুমের কোমর থেকে উদ্ধার হয় একটি ৭.৬২ এমএম চাইনিজ পিস্তল (SEMI AUTO PISTOL T-54, YEAR-2003), যার ম্যাগাজিনে লোড করা ছিল চার রাউন্ড গুলি। এছাড়া উদ্ধার হয় একটি খালি ম্যাগাজিন ও পিস্তলের প্রসেস।


উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ধৃত আসামি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে—সে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া থানা লুট, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্রাগার ভাঙচুরের ঘটনায় সশরীরে জড়িত ছিল। সে এবং তার সহযোগীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করে ছিনতাই, ডাকাতি, এবং সশস্ত্র হামলায় ব্যবহার করত। ওসি বাবুল আজাদের ভাষায়, “চট্টগ্রাম শহরকে নিরাপদ রাখতে আমরা দিনরাত কাজ করছি। এই অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে আমরা থানা লুটের ঘটনার একটি বড় সূত্র ধরে এগিয়ে যেতে পারবো। অপরাধীরা যতই চতুর হোক, পুলিশের হাতে ধরা পড়বেই।”
পতেঙ্গা ও বন্দরকেন্দ্রিক পরিকল্পিত ডাকাতি চক্রের সদস্য মাসুম- গ্রেপ্তারকৃত ব্লেড মাসুম একাধিক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। সে ও তার সহযোগীরা পতেঙ্গা সৈকতে আগত দর্শনার্থী, এয়ারপোর্ট গামী যাত্রী, এবং বন্দর এলাকা থেকে বের হওয়া লরি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করত। অনেকক্ষেত্রে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির মালিক ও বিত্তবান ব্যক্তিদের টার্গেট করে মূল্যবান মালামাল, নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হতো।
মামলা ও পরবর্তী ব্যবস্থা-
ঘটনার পর পাহাড়তলী থানায় অস্ত্র আইন ১৮৭৮-এর ১৯(এ) ধারা অনুযায়ী মামলা নম্বর-০৪, তারিখ ১৯/০৬/২০২৫ রুজু করা হয়। ধৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, পাহাড়তলী থানায় মাসুমের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা নং-২৩, তারিখ ২৭ মে ২০২৫, ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি-তেও সে এজাহারনামীয় আসামি। অপরাধ রোধে ওসির উদ্যোগ-
ওসি মো. বাবুল আজাদের এই সাহসিক অভিযান শুধু পাহাড়তলী থানা নয়, পুরো চট্টগ্রাম শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এক বড় অর্জন। তাঁর নেতৃত্বে পাহাড়তলী থানা এখন ক্রমশ অপরাধমুক্ত, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ এলাকায় রূপ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরবাসী আশাবাদী, পুলিশের এমন সুশৃঙ্খল, পেশাদার এবং নিবেদিতপ্রাণ অফিসারদের মাধ্যমে অপরাধ দমন আরও গতিশীল হবে। ওসি মো. বাবুল আজাদ কেবল একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন, বরং একজন কর্মঠ, সাহসী ও দূরদর্শী পুলিশ অফিসার হিসেবে ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাহাড়তলী থানায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি সন্ত্রাস দমন, মাদকবিরোধী অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারে ধারাবাহিক সাফল্যের পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তিনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেমন কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, তেমনি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছেন।
এর আগেও তিনি একাধিক অভিযানে থানা থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রশংসা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে সংঘটিত থানা লুট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর, যখন অনেক আগ্নেয়াস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায়—তখন তিনিই প্রথম ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় তাঁর নেতৃত্বে গঠিত টিমের তৎপরতা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি পুরস্কৃতও হন।
বাবুল আজাদ দায়িত্ব পালন করেন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে। তাঁর নেতৃত্বে পাহাড়তলী থানা এখন একটি সুশৃঙ্খল ও দক্ষ বাহিনীর প্রতীক হয়ে উঠেছে। নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং সন্ত্রাসী চক্র চিহ্নিত করে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার—সবগুলোতেই তাঁর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনতার আস্থা অর্জন, পুলিশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে তিনি যেভাবে কাজ করে চলেছেন, তা নিঃসন্দেহে পুলিশ বাহিনীর গর্বের বিষয়। তাঁর কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, আন্তরিকতা থাকলে কীভাবে একজন ওসি থানাকে একটি মডেল ইউনিটে পরিণত করতে পারেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট