1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এর এডহক কমিটির আত্মপ্রকাশ আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত ওসি সোলাইমান: জনবান্ধব পুলিশিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি! বিশ্ব সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস ও সংবাদ পত্র নিয়ে কিছু কথা! বাকলিয়া থানার আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন! আইজিপি ব্যাজে ভূষিত পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতীক! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে আইজিপি ব্যাজ: নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক! কোতোয়ালি থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা

চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন!

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

গুম-খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, লাগামহীন দুর্নীতি এবং কথিত গণহত্যার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২ মে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে আন্দরকিল্লা হয়ে চেরাগী পাহাড় মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী জনতার আওয়াজ’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে এনসিপির নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ আজ জনগণের আস্থার বাইরে চলে গেছে। তারা একদিকে যেমন গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দুর্নীতির অভয়ারণ্য বানিয়েছে।
সমাবেশে বক্তৃতা প্রদান করেন দলের কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠক মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজ বলেন,
“পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যা, প্রতিটি ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা রাষ্ট্রবিরোধী। এ সরকার নিজেরাই প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রের শত্রু।”
জাওয়াদুল করিম বলেন,
“শাপলা চত্বরের গণহত্যা ছিল ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। এরপর বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজন হলে আবারও গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।”
জোবায়েরুল আলম বলেন,
“আওয়ামী লীগের বাকশালি রাজনীতি এখনো বিদ্যমান। আজকের তরুণ প্রজন্ম এই স্বৈরাচারের অবসান ঘটাবে। আমাদের প্রয়োজন একটি নতুন সংবিধান, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা।”
দক্ষিণাঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সংগঠক ইমন ছৈয়দ বলেন,
“গত ১৬ বছরে হাজারো পরিবার হারিয়েছে তাদের সন্তান, স্বামী কিংবা ভাইকে—গুম, ক্রসফায়ার আর রিমান্ডের নামে। শহীদ পরিবার, নির্যাতিত জনগণ, প্রান্তিক মানুষের মুখেই এখন একটি কথা—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
জোবায়রুল হাসান আরিফ বলেন,
“যতদিন আওয়ামী লীগ থাকবে, ততদিন কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে একটি গণভোটের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
শাগুফতা বুশরা মিশমা বলেন,
“আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে ফেলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং, শেয়ারবাজার—সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি চরমে। এমনকি সীমান্তে নিরীহ নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদও তারা করতে পারে না।”
সমাবেশে আরও বলা হয়,
“আওয়ামী লীগের রাজনীতি বহাল রাখা মানে বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করা। আমরা এই দুর্নীতিবাজ শাসকদের পতনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে নতুন রাজনৈতিক কাঠামো গড়তে হবে।”
দাবি ও ঘোষণা:
সমাবেশ থেকে দলটির নেতারা ঘোষণা দেন, তারা দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ’ আন্দোলন ছড়িয়ে দেবেন। এই আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ হবে গণস্বাক্ষর অভিযান, জাতীয় গণভোটের দাবিতে গণজমায়েত এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে রিপোর্ট পেশ করা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট