চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায় পুলিশের অভিযানে ১৪টি বিদেশি স্বর্ণের বারসহ একজন স্বর্ণ চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে নগরীর ফলমন্ডী এলাকার বসুধা মার্কেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬৩)। তিনি হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত জহির আহমেদের পুত্র।
কোতোয়ালী থানার এসআই মাসুদুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এসআই মাসুদুর রহমান জানান,
“গোপন সূত্রে খবর পাই যে একজন ব্যক্তি অবৈধভাবে বিদেশি স্বর্ণের বার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবেশ করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ফলমন্ডী বসুধা মার্কেট এলাকায় ওঁত পেতে থেকে তাকে আটক করি। তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে বিশেষভাবে লুকানো ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।” প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল ইসলাম স্বর্ণের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
পুলিশের ধারণা, এসব স্বর্ণ পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাপথে আনা হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল করিম বলেন,
“নুরুল ইসলাম নামের একজন ব্যক্তিকে ১৪টি বিদেশি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বর্ণগুলো বাংলাদেশে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা হয়েছে। তিনি কোনো ধরনের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে ‘স্বর্ণ চোরাচালান দমন আইন’ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলো আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম শহর ও বন্দরের আশপাশ এলাকায় চোরাচালান চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনীতিতে চোরাচালান একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এতে বৈধ আমদানি-রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। চট্টগ্রাম নগরীর বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলো এই ধরনের অপরাধের জন্য সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচিত, এবং তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এখন আরও তৎপর।