1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নিরাপদ সড়ক চাই সফল সামাজিক সংগঠন তারেক রহমান ফিরতে চাইলে একদিনেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব ঘোড়াঘাটে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সীমিত গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ১১মাস ধরে ঘরবন্দী এক পরিবার লামায় ট্রাক্টর মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৪ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড, ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও  আলোচনা সভা  গৌরনদীতে বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড গাইবান্ধা, ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা হত্যার হুমকি থানায় অভিযোগ  ৩২ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীসম্মাননা ২০২৫

চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় নিজ মেযেকে ধর্ষণের দায়ে পিতা গেপ্তার

শংকর কান্তি দাশ
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ছদাহা এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতাকে আটক করে সাতকানিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা ও আত্মীয়-স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার কেরানিহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত পিতাকে আটক করে সাতকানিয়া থানায় এনে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা হলেন মোহাম্মদ আলী (৪০)। তিনি উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনোহর চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত এমদাদ আলীর পুত্র। ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ের মা অর্থাৎ অভিযুক্তের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর সাথে বাদী নাহিদা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে রয়েছে। ধর্ষণের শিকার বড় মেয়ের বয়স ১২ বছর। সে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের কেফায়েত উল্লাহ কবির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। বিগত ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেট ব্যাথাসহ বমি শুরু হয়। মা নাহিদা আক্তার মেয়েকে বমি ও পেট ব্যাথার কারণ জানতে চাইলে সে ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রেখেছিল।আরও জানা যায়, পরে বাদী (২২ এপ্রিল) তার মেয়েকে অভিযুক্ত পিতা মোহাম্মদ আলীর সাথে উপজেলার কেরানীহাটে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান। ওই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিবাদীর মুঠোফোন থেকে কল দিয়ে বাদীকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। বাদী অর্থাৎ ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসকের কাছ থেকে তার মেয়ের কি হয়েছে জানতে চান। ওই সময় চিকিৎসক জানান, তার মেয়ে গর্ভবতী। মেয়েটি গর্ভবতী হওয়ার কারণে তার পেট ব্যাথাসহ বিভিন্ন ধরনের শরীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে অভিযুক্ত পিতা মোহাম্মদ আলীর অনুরোধে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটির গর্ভপাত করান। পরে বাদী তার মেয়েকে এ ঘটনা কে ঘটিয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, চলতি বছরের (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে ও (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১ টার দিকে দু’দফায় তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তারই পিতা মোহাম্মদ আলী। এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে বাদী তার ভাই মো. নাজিম উদ্দিনকে মুঠোফোনে কল দিয়ে হাসপাতালে ডেকে আনেন। ওই সময় তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে অভিযুক্ত পিতাকে আটক করে সাতকানিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় তার মা ও আত্মীয়-স্বজনরা অভিযুক্ত পিতাকে থানায় এনে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট