1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মুরাদনগরে চাচার উপর ভাতিজার হামলা; বাড়িঘর ভাংচুর কুষ্টিয়ায় ব্জ্রপাতে কৃষক ও ট্রলি চালকের মৃ’ত্যু মানবিকতার অভাবে উৎপলের মৃত্যু: গার্মেন্টস খাতে আর কত জীবন ঝরবে! ১৯৯১-এর সেই বিভীষিকাময় ২৯ এপ্রিল: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ” আলোর দীপ্তি: এক নারী শিক্ষকের জীবনচিত্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি অনুমোদিত — ফরহাদুল হাসান সভাপতি, সাহেদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক প্যাকেজ ব্যবসার আড়ালে পতিতাবৃত্তি, চোলাই মদ ও অস্ত্র সরবরাহে ওয়াসীমের অপরাধ সাম্রাজ্য! চট্টগ্রামে ওয়াসার পানিতে কেচু! জনস্বাস্থ্যের হুমকি, নাগরিক ফোরামের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান! হামিদচরে শোকের ছায়া: কিশোর গ্যাংয়ের অমানবিক আগ্রাসন চট্টগ্রামে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে ১৪টি বিদেশি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার ১

পটিয়া থানার নিরবতায় আহত পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়!

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

“পটিয়া থানার নিরবতায় আহত পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়: পূর্ব মালিয়ারা জামে মসজিদে রক্তাক্ত হামলার তিনদিনেও মামলা রুজু হয়নি”

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ৭নং জিরি ইউনিয়নের পূর্ব মালিয়ারা গ্রামে গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) জুমার নামাজের পরপরই সংঘটিত এক নির্মম হামলার ঘটনা এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। “বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ”-এর ভেতর প্রবেশ করে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিরীহ তিনজনের উপর নৃশংসভাবে আক্রমণ চালায়। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও পটিয়া থানা এখনো মামলা রুজু করেনি, বরং অভিযোগ রয়েছে—থানা প্রশাসন এজাহার গ্রহণে টালবাহানা করছে এবং অভিযুক্তদের রক্ষা করছে।
ঘটনার বিবরণ: ভুক্তভোগী মোঃ আবদুল্লাহ (৩৮), প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব মালিয়ারার বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একটি পক্ষ নিয়মিত মসজিদে জুমার নামাজ পড়া, মসজিদের স্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাসেবী তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাইলেও অপরপক্ষ রাজনৈতিক মদদে নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় মসজিদের প্রশাসনিক কাঠামো।
এই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে, ১৮ এপ্রিল শুক্রবার, দুপুর আনুমানিক ২টা ০৫ মিনিটে নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ৬ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়
হাজী ছৈয়দুল হক (৭৫), তার জামাতা আলী আজগর (৫০) এবং জেঠিমা মরিয়ম বেগম (৬০)-এর ওপর।
অভিযুক্তদের পরিচয়:
১. সাখাওয়াত হোসেন (৩৪), ২. সেকান্দর হোসেন ডেবিট (৩০), ৩. সোলায়মান (৪৫),
৪. মোঃ মুন্না (৩৩), ৫. মোঃ সেলিম (২৫),
৬. মোঃ হাবিব (৩৪) সবাই পূর্ব মালিয়ারা গ্রামের মাওলানা অছিউর রহমানের বাড়ির বাসিন্দা। হামলার সময় হাতে ছিল রড, দা, লাঠি। ছৈয়দুল হকের বাম হাতে কোপ পড়ে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়। আলী আজগরের হাঁটুর নিচে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। মরিয়ম বেগমকেও রেহাই দেওয়া হয়নি—তাকে ঘাড়ে ও পিঠে মারাত্মকভাবে পেটানো হয়।
লুটপাট ও ভয়ভীতির অভিযোগ:
ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলার সময় ৪ ও ৫ নম্বর অভিযুক্ত মুন্না ও সেলিম আহতদের পকেট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া তাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়, “মামলা করলে আর রেহাই নাই, এবার যা হয়েছে সামান্য, পরের বার খুন করে ফেলবো।” চিকিৎসা ও প্রাথমিক উদ্ধার: স্থানীয়দের সহায়তায় আহতরা প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তিনজনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন।
থানার নিষ্ক্রিয়তা ও নিরবতা:
১৮ এপ্রিল ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ লিখিতভাবে একটি বিস্তারিত এজাহার নিয়ে পটিয়া থানায় যান। অভিযোগ রয়েছে, থানা কর্তৃপক্ষ তার অভিযোগ গ্রহণ না করে ঘুরাতে থাকে। তাদের বক্তব্য, “উপরের নির্দেশ ছাড়া আমরা কিছু করতে পারি না।” এ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ বলেন, “থানায় যাইতেছি ন্যায়বিচারের আশায়, অথচ ওরা অপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মধ্যে।” ডিআইজির নিকট আবেদন: পটিয়া থানার এই উদাসীন আচরণের পর ২১ এপ্রিল চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন আবদুল্লাহ। আবেদনে তিনি অনুরোধ জানান— ১. অবিলম্বে মামলা রুজুর নির্দেশ, ২. ঘটনার তদন্ত ও চার্জশিট প্রক্রিয়ার দ্রুততা, ৩. অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং ৪. আহতদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
জনগণের প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ:
এলাকাবাসী মনে করছেন, পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয়তা সন্ত্রাসীদের উৎসাহ দিচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের আইনের উপর আস্থা নষ্ট করছে। মসজিদকে কেন্দ্র করে এমন রক্তাক্ত হামলা এবং তাতে প্রশাসনের নিরবতা দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য অশনিসংকেত।
থানার বক্তব্য: এই প্রতিবেদক থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং দ্রুত পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপত্তা ও আস্থার প্রধান অবলম্বন। পটিয়ার পূর্ব মালিয়ারার এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্নের জবাব, এবং আক্রান্তদের ন্যায়বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা এখন সময়ের দাবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট