আমি নাছিম—ফটিকছড়ির আজাদী বাজারের সেই মানুষ, যে জীবনের বহু সময় অসহায়-গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাটিয়েছে। পথহারা মানুষদের পথ দেখিয়েছি, না খেয়ে খাইয়েছি, নিজের সুখ বিলিয়ে দিয়ে অন্যকে সুখী করেছি। যাদের সুখে-দুঃখে একাকার হয়েছিলাম, তারাই আজ আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার পিঠে ছুরি মেরেছে।
যখন আপন ভাই স্ত্রীর কথায় পর হয়ে যায়, তখন রক্তের সম্পর্কও ভেঙে পড়ে। ভাই যখন ঘরের মানুষ হয়েও শত্রুর সাথে হাত মেলায়, তখন বুঝি আপন বলতে কিছুই থাকে না। আর সেই ফাঁকে মোনাফেকরা সুযোগ খোঁজে আমার সর্বনাশের।
বন্ধু! যাকে একদিন নিজের চেয়ে বেশি আপন ভেবেছিলাম, যে বন্ধুকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছি, সে-ই আজ টাকার লোভে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে! সেই বন্ধু এখন খুনের পরিকল্পনায় অন্যজনের সহযোগী। ভাবা যায়?
কআমার জীবনে এমন বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা ঘটেছে, যা শুধু আমাকে নয়—আমার বিশ্বাস, আমার আত্মাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আজ একলা, কারণ আমার ভাই, আমার বন্ধু, এমনকি আমার পরম আস্থার মানুষরাও বেঈমানির খাতায় নাম লিখিয়েছে।
তবুও, আমি ভয় পাই না। কারণ আমি সত্যের পক্ষে। আমি জানি—মিথ্যা কখনোই চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। সত্য যতই একা হোক, একদিন সে-ই জয়ী হয়।
আমি আপোষ করি না। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি কখনো, করবও না। আমি বাঘের মতো লড়াই করতে শিখেছি। যারা মোনাফেক, যারা কাপুরুষ, তারা আমার সামনে দাঁড়ানোর সাহস রাখে না। তারা পালানোর পথ খোঁজে, কারণ তারা জানে—সত্যর সামনে মিথ্যার কোনো দাম নেই।
আমার একটাই ভুল ছিল—সবাইকে নিজের মতো করে ভালোবাসা, বিশ্বাস করা। কিন্তু আজ বুঝি, সবাই তা পাওয়ার যোগ্য নয়। তবুও আমি আশাবাদী। আমার ভরসা আল্লাহ। ইনশাআল্লাহ, একদিন এই বেঈমানদের মুখোশ খুলে যাবে, আর আমি জিতব—কারণ আমি সত্যের পথে আছি, ছিলাম, থাকব।