বই উপহার দেওয়াকে আমি সর্বোত্তম উপহার বলে মনে করি। কারণ বই পড়া যত সহজ, বই লেখা ততটা সহজ নয়। আমরা প্রায় সবাই বই পড়তে পারি, কিন্তু খুব কম মানুষই বই লিখতে সক্ষম হন। আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারি, যখন আমি আমার রচনা “সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কথা” বইটি বাংলাদেশ পাসপোর্টের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক সাঈদুল ইসলামের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিলাম, তখন তিনি একটি গভীর সত্য বলেন—”বই লেখার ব্যাপারটা আসলেই খুব সহজ নয়। আপনার লেখা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”
সাঈদুল ইসলাম, একজন সুশিক্ষিত এবং বাস্তববাদী মানুষ, যার বাবা ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, পাবনার মাটিতে বেড়ে ওঠা এক গুণী মানুষ। তিনি আমার কাছে জানতে চাইলেন, “ভাই, আপনি কীভাবে এত লেখালেখি করেন? কখন লেখেন? কীভাবে লেখেন?” হাসিমুখে আমি বললাম, “লিখি, সময় পেলেই।” তাঁর এই প্রশ্নে মনে হয়, তিনি কেবল আমার লেখার প্রতি ভালোবাসা থেকেই জানতে চাইলেন, আর তাঁর প্রশ্নের মধ্যে ছিল এক ধরনের শ্রদ্ধা ও আগ্রহ।
তিনি আমার লেখা একজন প্রকৃত ভক্ত। সাঈদুল ইসলাম সাহেবের কাছে এমন সম্মান ও ভালোবাসা পেয়ে আমি সত্যিই ধন্যবোধ করেছি। যখন তিনি আমাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানালেন এবং বইটি গ্রহণ করলেন, তখন মনে হলো—আমার লেখালেখির যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত যেন পূর্ণতা পেল।
এটি ছিল এক অবিস্মরণীয় দিন, যখন একজন মানুষের জীবনে তার লেখার মূল্যায়ন মিলল। বই উপহার দেওয়ার এই ছোট্ট মুহূর্তে যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পেয়েছি, তা চিরকাল মনে থাকবে।