1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

শিক্ষানবীশ সাংবাদিকতার পথে: বুদ্ধিমত্তা, গোপনীয়তা এবং সঠিক তথ্য প্রদানের গুরুত্ব”

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আজকের এই লেখাটি আমি শুরু করতে যাচ্ছি একটি ছোট অথচ চমৎকার ধাঁধা দিয়ে। ছোট হলেও, এর গভীরতা এবং এর মধ্যে লুকানো বুদ্ধির মন্ত্র অবিস্মরণীয়। যখনই আমরা কোনো ধাঁধার সম্মুখীন হই, তখন তা আমাদের মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতার পরীক্ষা নেয়। আজকের ধাঁধাটি তেমনি এক ধরনের মেধার চ্যালেঞ্জ।
ধাঁধাটি এমন:
“যে দেয় সে বলে না, যে নেয় সে জানে না, যে জানে সে নেয় না। বলুন-তো তার উত্তর কি?” এটি একটি বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন, যা সহজ মনে হলেও, এর উত্তর খুঁজতে আমাদের চিন্তা করতে হয় গভীরভাবে।এখন, ধাঁধার উত্তর খুঁজতে আমরা একটি ক্ষণিকের জন্য থামি এবং ভাবি—এটা কেমন কোনো গোপন তথ্য, যা কাউকে দেওয়ার সময় মুখে কিছু বলা হয় না, কিন্তু সেই তথ্য যে গ্রহণ করে, সে আসলে জানে না যে এটি গোপন। আর যে জানে, সে সেই তথ্য গ্রহণ করে না, কারণ সে জানে এই তথ্যটি প্রকাশের উপযুক্ত সময় নয়।তাহলে, এর উত্তর কী? গোপন কথা।
এটা নিঃসন্দেহে একটি সৃজনশীল এবং চমৎকার প্রশ্ন, যা আমাদের চিন্তা শক্তিকে উত্তেজিত করে তোলে। ঠিক তেমনই, সাহিত্যের পৃথিবীতেও রয়েছে নানা ধরনের ধাঁধা, যে ধাঁধাগুলি আমাদের মস্তিষ্কের খোরাক যোগায় এবং আমাদের চিন্তার দিগন্তকে প্রসারিত করে।বর্তমানে ‘শিক্ষানবীশ সাংবাদিক’ বলতে আর কেউ বিশেষভাবে পরিচিত নয়। এক সময় যারা সাংবাদিকতার প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলেন, তাদেরকেই এই তকমা দেওয়া হতো। তবে এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। আজকাল সবাই নিজেকে সাংবাদিকতার মহাপণ্ডিত হিসেবে দাবি করে, এবং তাদের কাছে শেখার কিছু নেই—এটা অনেকেরই বিশ্বাস। তবে বিষয়টি তেমন নয়। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবিধানিকতা বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও সাংবাদিকতা পেশায় আছেন, তাদের কথা এখানে নয়। আমি বলছি, সেসব মানুষদের কথা, যারা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না নিয়ে, শুধুমাত্র কিছু ধারণা বা আগ্রহ নিয়ে কাজ করেন।আমার মতো অজ্ঞান, অশিক্ষিত সাংবাদিকদের জন্য, যারা প্রকৃত সাংবাদিকতার জ্ঞান থেকে অনেক দূরে, তাদের জন্য কিছু কথা বলা প্রয়োজন। আমাদের দেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ফারুক ইকবাল ভাই সম্প্রতি সাংবাদিকতার ওপর একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেখানে কিছু ক্লাস নেবার সুযোগ হয়েছিল। ক্লাসগুলোতে যা দেখলাম, তাতে স্পষ্ট হলো—শিক্ষার প্রতি আগ্রহের অভাব। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সেখানে আসে শুধুমাত্র রুটিন সাংবাদিকতা করার উদ্দেশ্যে, মন থেকে শেখার তেমন কোনো আগ্রহ নেই। অথচ এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক সাংবাদিকতা শেখার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।

সাংবাদিকতা সঠিকভাবে শিখতে হলে কিছু মৌলিক বিষয় বুঝতে হবে। প্রথমত, দক্ষ সাংবাদিক হতে হলে সাংবাদিকতার খুঁটিনাটি জ্ঞান থাকতে হবে। সাংবাদিকতা শুধুমাত্র খবর সংগ্রহ বা প্রতিবেদন লেখার বিষয় নয়, এটি একটি কুশলী কাজ, যেখানে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং যথাযথ বিবেচনার প্রয়োজন হয়। কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতির উপর সাংবাদিকতা করতে গেলে নিজের চিন্তা-ভাবনা ও বিচারশক্তি ব্যবহার করে সঠিক তথ্য বাছাই এবং উপস্থাপন করতে হয়। আমাদের উচিত এই পেশার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা ও গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেওয়া। শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা নয়, সঠিক শিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একজন সফল সাংবাদিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। বুদ্ধির ধাঁধা: “যে দেয় সে বলে না, যে নেয় সে জানে না, যে জানে সে নেয় না।” — উত্তরের বিশ্লেষণ এবং সাংবাদিকতার গুরুত্ব
উত্তর: গোপন কথা
এই ধাঁধাটি শুধু একটি মজার প্রশ্ন নয়, বরং আমাদের চিন্তাভাবনা এবং মনস্তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ করার একটি সুযোগ। এটি একটি চিন্তা-provoking ধাঁধা, যেখানে আমাদের মস্তিষ্কের যুক্তি ও বুদ্ধির পরীক্ষা নেওয়া হয়। চলুন, একে বিশ্লেষণ করি: যে দেয় সে বলে না: যখন কোনো কিছু গোপন রাখা হয়, তখন সেটি প্রকাশ করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, যখন কেউ একটি গোপন কথা কাউকে দেয়, সে সেই কথা প্রকাশ করে না, কারণ এটি তার কাছে একটি গোপনীয় বিষয়। যে নেয় সে জানে না: যে ব্যক্তিটি সেই গোপন কথাটি নেয়, তার কাছে সঠিকভাবে তা পৌঁছায় না বা সে জানে না যে এটি একটি গোপন তথ্য। যে জানে সে নেয় না: যে ব্যক্তি জানে যে এটি একটি গোপন তথ্য, সে সেই তথ্য গ্রহণ করে না, কারণ এটি তার কাছে আগেই পরিষ্কার যে এটি গোপন রাখতে হবে। এই ধাঁধাটি মূলত গোপনীয়তার ধারণা, সঠিক তথ্যের আদান-প্রদান এবং মানবিক মনস্তত্ত্বকে বিশ্লেষণ করার একটি মাধ্যম।

বুদ্ধিমত্তা ও সাংবাদিকতার সম্পর্কঃ
এখন, এই ধাঁধার উত্তর গোপন কথা এবং বুদ্ধিমত্তার ধারণা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন সাংবাদিকের কাজ শুধুমাত্র খবর সংগ্রহ করা নয়, বরং তথ্যের সত্যতা যাচাই করা, গোপনীয়তা বজায় রাখা এবং জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো।
বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব সাংবাদিকতায়: সাংবাদিকতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেশা যেখানে দ্রুত এবং নির্ভুল তথ্য প্রদান করা হয়। সাংবাদিকদের কাছে বুদ্ধিমত্তা একটি অপরিহার্য গুণ। তারা শুধুমাত্র সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে না, বরং তা উপস্থাপনেও সাবধানতা অবলম্বন করে। একজন সাংবাদিক যদি গোপনীয় বা সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেন, তবে তা কীভাবে এবং কখন প্রকাশ করতে হবে, সে বিষয়ে একটি বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। গোপনীয়তা এবং সাংবাদিকতা: একটি সাংবাদিককে কখনও কখনও এমন তথ্য হাতে আসে, যেগুলি গোপন রাখতে হয় অথবা সেই তথ্যের প্রকাশে সময় বা পরিস্থিতির পক্ষে সুবিধাজনক হতে হয়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা, একজন সাংবাদিকের বুদ্ধিমত্তা এবং দক্ষতার পরিচায়ক সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণকে সঠিক এবং সময়োপযোগী তথ্য প্রদান করা। তবে, কখনও কখনও কিছু তথ্য আপাতত গোপন রাখতে হতে পারে বা সেগুলিকে নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে প্রকাশ করা উচিত, যেন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি না হয়। এজন্য একজন সাংবাদিকের বুদ্ধিমত্তা, একাগ্রতা এবং সঠিক মূল্যবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুদ্ধির ধাঁধাগুলো, যেমন গোপন কথা, আমাদের মনস্তত্ত্ব এবং চিন্তাভাবনার গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়। সাংবাদিকতা ক্ষেত্রেও, এই ধরনের বিশ্লেষণ আমাদের দেখায় যে, তথ্যের আদান-প্রদান শুধু জানতে বা বলার বিষয় নয়; বরং এটি একটি সঠিকভাবে পরিচালিত এবং দায়িত্বশীল প্রক্রিয়া। একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব শুধু সঠিক তথ্য সরবরাহ করা নয়, বরং তা সঠিক সময় ও সঠিক প্রেক্ষাপটে পৌঁছানো, যাতে জনগণ তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা না করে।
সুতরাং, বুদ্ধিমত্তা কেবল একটি মেধার বিষয় নয়, এটি সম্পর্কিত একটি গভীর মানবিক গুণ, যা একজন সাংবাদিকের কাজকে আরও সঠিক, নির্ভুল এবং দায়িত্বশীল করে তোলে।কৌশলী ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সাংবাদিকতা: করণীয় ও শিক্ষণীয় পরামর্শ সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যেখানে সঠিক তথ্য প্রদান, বিশ্লেষণী চিন্তা এবং নৈতিকতার মিশ্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সাংবাদিককে কেবল মাত্র তথ্য সংগ্রহ করা নয়, বরং সেই তথ্যগুলো সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে এবং সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হতে হয়। এই পেশায় সফল হতে হলে কৌশলী ও বুদ্ধিমত্তার সাথে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হল:
১. সত্য ও নির্ভুল তথ্যের গুরুত্ব:
সাংবাদিকতার প্রথম এবং সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা। কৌশলী সাংবাদিকতা মানে কখনোই মিথ্যা বা অর্ধসত্য তথ্য প্রকাশ করা নয়। তথ্যের সত্যতা যাচাই করা এবং ভুয়া খবর থেকে দূরে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বুদ্ধিমত্তা এখানে কাজ করে—কখনও তাড়াহুড়া না করে ধীরে ধীরে বিশ্লেষণ করে সত্য উদঘাটন করা।
২. গোপনীয়তা বজায় রাখা:
এক্ষেত্রে, যেমন একটি ধাঁধায় বলা হয়েছিল “যে দেয় সে বলে না”, একজন সাংবাদিককেও তথ্য প্রদানকারী বা সূত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হয়। কখনও কখনও সাংবাদিকদের এমন তথ্য হাতে আসে, যা প্রকাশ করা ঠিক নয়। বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের মাধ্যমে, এমন পরিস্থিতিতে গোপনীয়তা রক্ষা করা উচিত। সূত্রের আস্থা হারালে সাংবাদিকতার পেশাগত মর্যাদা কমে যেতে পারে।

৩. সঠিক সময় ও প্রেক্ষাপটে তথ্য প্রকাশ:
কৌশলী সাংবাদিকরা জানেন কবে, কোথায় এবং কীভাবে একটি সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। কিছু সংবাদ এমনও থাকে, যেগুলি অত্যন্ত সেনসিটিভ এবং তার প্রকাশের সময় এবং পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রেক্ষাপট বুঝে, সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারা একজন সাংবাদিকের বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।
৪. নিরপেক্ষতা এবং অটুট নৈতিকতা:
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। কোন পক্ষের পক্ষপাতিত্ব না করে, কেবলমাত্র তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করা প্রয়োজন। বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একজন সাংবাদিক তার ব্যক্তিগত ধারণা বা মতামতকে খবরের মধ্যে প্রবাহিত না করে, ন্যায় এবং সত্যের পথে চলতে পারেন।
৫. বিশ্লেষণী চিন্তা এবং সৃজনশীলতা:
শুধুমাত্র সংবাদ সংগ্রহ করা নয়, বরং সংবাদে নতুন দৃষ্টিকোণ এবং বিশ্লেষণ যোগ করা প্রয়োজন। একজন কৌশলী সাংবাদিক বিশ্লেষণী দৃষ্টিকোণ দিয়ে ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হন, যা পাঠকদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে। সৃজনশীলতার মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশনও পাঠকদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।৬. তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা:
একটি তথ্য এক জায়গায় পাওয়া যায় না, এজন্য বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। একজন সাংবাদিককে দক্ষভাবে সোর্স খুঁজে বের করতে হয়, যা কৌশলী সাংবাদিকতার একটি অপরিহার্য অংশ। একই সময়, একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে একটি নির্ভুল সংবাদ উপস্থাপন করা প্রয়োজন।
৭. সামাজিক দায়িত্ববোধ:
সাংবাদিকতার কাজ কেবলমাত্র সংবাদ পরিবেশন করা নয়, বরং এটি একটি বৃহৎ সামাজিক দায়িত্বও পালন করে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো এবং অসত্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একজন সাংবাদিকের মৌলিক দায়িত্ব। বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাজের প্রতি সাংবাদিকের দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়, এবং তারা তাদের কাজের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন।
৮. টেকনোলজির ব্যবহার:
আধুনিক সাংবাদিকতা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। কৌশলী সাংবাদিকরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য টুলসের মাধ্যমে আরও দ্রুত এবং কার্যকরভাবে তথ্য সংগ্রহ এবং বিতরণ করেন। এই ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সাংবাদিকদের কাজে ব্যাপক সুবিধা এনে দেয়।
সাংবাদিকতা একটি কৌশলী ও বুদ্ধিমত্তার খেলা, যেখানে সঠিক তথ্য, নিরপেক্ষতা, নৈতিকতা এবং বিশ্লেষণী চিন্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সাংবাদিকের কাজ কেবল মাত্র সংবাদ সংগ্রহ নয়, বরং সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করা, সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা। সুতরাং, কৌশলী এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে সাংবাদিকতা করার জন্য সত্য, গোপনীয়তা, নিরপেক্ষতা, এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট