1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

বই পড়ার গুরুত্ব এবং সাহিত্যিকদের প্রতি মূল্যায়ন: ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের দৃষ্টিকোণ থেকে

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

একজন সেনা কর্মকর্তাকে বই উপহার দিয়ে আনন্দিত হয়ে আমি কবি ভাষায় বলতে চাই–বইয়ের পাতায় বন্দী রয়ে যায় জ্ঞানের জোয়ার,
এখন সেই বই হাতে পেলেন সেনা, তাঁর সাহসের তরবার।
উপহার হলো এক নতুন প্রেরণা, নতুন পথের সন্ধান,
যত গড়বেন সামনে, বই হবে সঙ্গী, দেবে শক্তির খোঁজান।
এটি এখন কবিতার ভাষায় লেখা হয়েছে, যেখানে বই উপহার দেওয়ার আনন্দ এবং সেনা কর্মকর্তার জন্য তা একটি প্রেরণা হয়ে উঠেছে। বিশ্বের ইতিহাসে অসংখ্য সেনা কর্মকর্তা আছেন, যারা শুধু যুদ্ধের ময়দানে নয়, সাহিত্য চর্চায়ও এক অনন্য অবদান রেখেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো সেনাবাহিনীর খাতিরে নয়, বরং সাহিত্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই কলম ধরেছেন। তাদের লেখনীতে যেমন রয়েছে যুদ্ধে বিজয়ের গল্প, তেমনি রয়েছে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি, সমাজের প্রতিকূলতা, আর সৃষ্টির অমৃত রস। সেনাবাহিনীর কঠিন বাস্তবতার মধ্যে থেকেও তাদের সাহিত্যিক সত্তা কখনো অপ্রকাশিত থাকেনি। এমন একজন কিংবদন্তি ছিলেন আলেক্সান্ডার ডুমা (পিতা), ফরাসি সেনা কর্মকর্তা, যিনি তাঁর জীবনের এক বিপ্লবী যুদ্ধের সঙ্গে সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় মিলন ঘটিয়েছেন। তাঁর সৃষ্ট অমর সাহিত্যকর্ম “দ্য থ্রি মুস্কেটিয়ারস” ও “কোন্ত ডি মোন্টে ক্রিস্টো” শুধু উপভোগ্য নয়, তা সেনাবাহিনীর জীবনযাত্রা ও নৈতিক সংগ্রামের গভীর চিত্রও ফুটিয়ে তুলেছে। যুদ্ধের ময়দানকে তিনি যেমন চিত্রিত করেছেন, তেমনি ভালোবাসা, প্রতিশোধ, বন্ধুত্বের মতো মানবিক বিষয়গুলোও তার কলমে এক মহৎ সৌন্দর্য পেয়েছে।
ভারতের রুদ্রাকেশ রোহিত, এক সেনা কর্মকর্তা, যিনি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন। তাঁর কবিতা, গল্প ও রচনাগুলিতে সেনাবাহিনীর কঠিন বাস্তবতার পাশাপাশি, মানুষের সংগ্রাম, বেদনা, আর আত্মত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে। তার লেখায় রয়েছে এমন এক দ্যুতি যা পাঠককে যুদ্ধের পাশাপাশি জীবনযুদ্ধে সংগ্রামী এক দৃঢ়তার বার্তা দেয়। সেনাবাহিনীর কনকনে ঠাণ্ডা, কঠিন পরিবেশে থেকেও তিনি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাহিত্যের প্রতি তার প্রগাঢ় অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। এমনই আরও অনেক সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা আছেন, যারা সাহিত্যের প্রতি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে লিখেছেন। তাঁদের লেখায় রয়েছে যুদ্ধের ভয়াবহতা, আর্থ-সামাজিক অস্থিরতা, জীবনের বিভিন্ন আঙ্গিক, কিন্তু তাদের ভাষার মাধুর্য, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনবোধ পাঠককে চিরকাল স্পর্শ করে।এতসব কাহিনীর মধ্যে, এমন একজন ব্যক্তি, মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, যিনি শুধু তাঁর দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক নয়, সাহিত্য প্রেমী হিসেবেও সবার মধ্যে একটি আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর সাহিত্যপ্রীতি, মানুষকে তাঁর লেখায় নিত্য নতুন ভাবনার দিকে এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করে। তাঁর মতো ব্যক্তিত্বরা দেখিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধের ময়দান, চাপের জীবন, কিংবা কঠিন দায়িত্বের মাঝেও সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি অগাধ ভালোবাসা বজায় রাখা যায়। সাহিত্যের রসে ভরা তাদের প্রতিটি শব্দ যেন হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতিকে স্পর্শ করে, এবং একটি নতুন দিগন্তের দিকে পাঠককে নিয়ে যায়।এভাবে, পৃথিবীর একান্ত মানবিক সংগ্রামে সেনাবাহিনীর অবদান শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ থাকে না যুদ্ধের ময়দান পর্যন্ত, বরং সাহিত্যের মাধ্যমে তারা মানবতা, প্রেম, ত্যাগ, আর শৌর্যের নতুন ভাষা সৃষ্টি করে, যা চিরকাল বেঁচে থাকে।

আর এই সাহিত্যের প্রগতিশীলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কবি নজরুল ইসলাম। যিনি শুধু একজন সাহসী সৈনিকই ছিলেন না, বরং সাহিত্য জগতে তার অমর রচনাগুলির মাধ্যমে সংগ্রামী চেতনা ও মানবিকতার উজ্জ্বল এক চিহ্ন রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্য, এবং এই সেনা জীবন তাকে সাহিত্যের প্রতি এক অদম্য আগ্রহ ও শক্তি দান করেছে। তাঁর লেখা “চল চল চল” বা “বীর” এর মতো কবিতাগুলি শুধু যুদ্ধের তীব্রতা নয়, মুক্তির এক অমলিন আহ্বানও ছিল। তাঁর রচনায় যে সংগ্রামী মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে, তা তার সৈনিক জীবনের চেতনারই অংশ।কবি নজরুলের কলম ছিল শুধুমাত্র স্বাধীনতা, সংগ্রাম, এবং প্রতিবাদের অস্ত্র। তাঁর লেখায় যেখানে যুদ্ধের তীব্রতা ছিল, সেখানে প্রেম, মানবতা, এবং সমাজের প্রতি তার নিঃশর্ত ভালোবাসাও ফুটে উঠেছে। নজরুল যেমন কবিতা ও গান রচনা করে মানবতার মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, তেমনি তাঁর সাহিত্যে আছেঃ “বিদ্রোহী” কাব্যের মতো মহান সৃষ্টি, যা আজও তরুণদের মাঝে সাহস ও প্রেরণা দেয়। এভাবে, কবি নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যিক জীবন ও সৈনিক জীবনের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তিনি শুধু একজন লেখক ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক সাহিত্যের প্রেমিক, যিনি যুদ্ধের ময়দানে যেমন সংগ্রাম করেছেন, তেমনি সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার পক্ষে এক অপ্রতিরোধ্য আওয়াজ তুলে ধরেছেন।প্রকৃতপক্ষে, মানুষ যে আকাশের মতো অসীম, সে আকাশের মধ্যে যে অসীম আলো ছড়িয়ে আছে, তা হলো জ্ঞান, বোধ এবং সংস্কৃতি। এই জ্ঞান বা শিক্ষা অর্জনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল বই। বই হলো সেই অমূল্য রত্ন, যা সময়ের সীমা অতিক্রম করে, প্রতিটি যুগে এবং প্রতিটি সমাজে মানুষকে এক নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বইয়ের পাতা, তার অক্ষর, তার শব্দ—সব কিছু যেন এক একটি ধ্রুবতারা, যা অন্ধকারে আলোর পথ দেখায়।যতই দিন গড়ায়, মানুষ যতই বয়স বাড়ায়, ততই তার শারীরিক শক্তি কমে যায়, কিন্তু মনের শক্তি বাড়াতে পারে একমাত্র জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা। আর এই জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা লাভের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী উপায় হলো বই পড়া। সাহিত্যের নানা রঙে ডুবে যাওয়া, ইতিহাসের পাতা উল্টানো, সমাজের নানা দিক দেখে আসা—এই সব কিছু একমাত্র সম্ভব বইয়ের মাধ্যমে।কবি নজরুলের কবিতায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই, যেখানে তিনি মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং মুক্তির পথের সন্ধান দিয়েছেন:
“বইয়ের মাঝে খুঁজে পাবো, যা হারিয়েছে সেদিন,
নতুন পথের সন্ধানে, হেঁটে যাবো স্বপ্নের বিন।”
এখানে কবি স্পষ্টতই বলেছেন যে, বই আমাদের নিত্য নতুন পথ দেখায়, আমাদের দিকনির্দেশনা দেয়। বই শুধু আমাদের কল্পনার জগৎকে প্রসারিত করে না, বরং আমাদের চিন্তা এবং মননের ক্ষেত্রেও এক গভীরতা নিয়ে আসে। এই দিক থেকে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।তবে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করাটা শুধু আমাদের একার দায়িত্ব নয়। এটি আমাদের সমাজ, পরিবার এবং জাতির দায়িত্বও বটে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। যে জাতি বই পড়তে জানে না, যে জাতি সৃজনশীল চিন্তাধারা বিকাশিত করতে পারে না, সে জাতি কখনোই উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না। এখানে, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের অবদান এক অনন্য। তিনি নিজে একজন সেনা কর্মকর্তা, কিন্তু তার মধ্যে লেখালেখি এবং বই পড়ার প্রতি যে গভীর ভালোবাসা রয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি বুঝতে পেরেছেন, বইয়ের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা এবং তার ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার এই মনোভাব শুধু একজন সেনা কর্মকর্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তিনি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবেও সমাজে বই পড়ার প্রতি উৎসাহ এবং আগ্রহ সৃষ্টি করতে চান।ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, একজন সুশিক্ষিত এবং সমাজের প্রতি সচেতন ব্যক্তি হিসেবে, লেখকদের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, লেখকরা আমাদের সমাজের আয়না, যারা বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে কাজ করেন এবং সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করেন। তাদের লেখার মাধ্যমে নতুন চিন্তা-ভাবনা এবং ধারণা সৃষ্টি হয়, যা সমাজকে এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যায়।সম্প্রতি, তিনি আমার লেখা “সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের কথা” বইটি অত্যন্ত আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছেন এবং তার সমর্থন ও প্রশংসা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একজন লেখক যখন তার কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হন, তখন তার লেখার মূল্য আরো বৃদ্ধি পায়। তাঁর এই মন্তব্য আমার জন্য এক বিশাল পুরস্কার, যা আমাকে আরও ভালোভাবে লেখালেখি করার জন্য প্রেরণা যোগাচ্ছে।এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের মতো ব্যক্তিত্বের সমর্থন আমাদের লেখকদের জন্য একটি বড় ধরনের প্রাপ্তি। তাদের এই সমর্থন এবং মূল্যায়ন আমাদেরকে সাহিত্যে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়। তিনি মনে করেন, লেখকের কাজ শুধুমাত্র শব্দের সাজানো নয়, বরং তা সমাজের চেতনা ও উন্নতিকে প্রভাবিত করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এই প্রসঙ্গে, তিনি বই উপহার হিসেবে “সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের কথা” গ্রন্থটি গ্রহণ করে আমার প্রতি যে মূল্যায়ন এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন, তা শুধু আমাকে নয়, বরং পুরো সাহিত্য সমাজকেও এক নতুন দিশা দেখিয়েছে। বই পড়া, বই লেখা এবং বইয়ের প্রতি সম্মান—এই তিনটি উপাদান একে অপরের সঙ্গে জড়িত এবং একে অপরকে প্রভাবিত করে। একজন লেখক যখন তার লেখা পাঠকদের কাছে পৌঁছায়, তখন তা শুধু তার নিজস্ব আত্মবিশ্বাস বাড়ায় না, বরং পাঠকদের মনে নতুন ভাবনার জন্ম দেয়। ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের মতো প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে পাওয়া মূল্যায়ন এবং শুভেচ্ছা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তার এই মূল্যায়ন আমাকে আরও ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহিত করে এবং লেখার পথে একটি নতুন উদ্যম নিয়ে আসে।
বইয়ের প্রতি তার আগ্রহ এবং লেখকদের প্রতি শ্রদ্ধা শুধু তার নিজের ব্যক্তিগত অভ্যেসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তিনি এক সামাজিক দায়িত্বও পালন করেন। তার মতো মানুষ যদি লেখকদের মূল্যায়ন না করতেন, তবে হয়তো সমাজে সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি এমন এক গুরুত্ব সৃষ্টি হতে পারত না। তিনি দেখিয়েছেন যে, একজন সৈনিকও বইয়ের মাধ্যমেই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষা অর্জন করতে পারেন এবং সেই শিক্ষা সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারেন।
ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের এই মনোভাব আমাদের সমাজের সকল মানুষের জন্য একটি বড় শিক্ষা। বই পড়া এবং সাহিত্য সৃষ্টি শুধু লেখকের নয়, বরং সমগ্র সমাজের একটি দায়িত্ব। একজন লেখক সমাজে যে পরিবর্তন আনতে সক্ষম, তার মূল্যায়ন শুধুমাত্র তার লেখার মাধ্যমে হয় না, বরং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাধ্যমে হয়, যারা লেখককে মূল্যায়ন করে, তার কাজকে প্রশংসা করে। শেষে, আমি বলতে চাই, বই আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা আমাদের মনকে শুদ্ধ করে, চিন্তা-ভাবনাকে পরিশীলিত করে এবং সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা অনুভব করায়। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা একজন ভালো নাগরিক হতে পারি, একজন ভালো লেখক হতে পারি, এবং সর্বোপরি, একজন ভালো মানুষ হয়ে সমাজে অবদান রাখতে পারি। এছাড়া, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের মতো মহান ব্যক্তিত্বের সমর্থন আমাদের লেখকদের জন্য এক অমূল্য প্রাপ্তি। তিনি যেমন বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করেন, তেমনি আমাদের সকলকে বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাতে আমরা আরও ভালভাবে গড়ে উঠতে পারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট