1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নিরাপদ সড়ক চাই সফল সামাজিক সংগঠন তারেক রহমান ফিরতে চাইলে একদিনেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব ঘোড়াঘাটে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সীমিত গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ১১মাস ধরে ঘরবন্দী এক পরিবার লামায় ট্রাক্টর মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৪ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড, ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও  আলোচনা সভা  গৌরনদীতে বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড গাইবান্ধা, ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা হত্যার হুমকি থানায় অভিযোগ  ৩২ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীসম্মাননা ২০২৫

সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যাকাণ্ড: এক দুঃখজনক অধ্যায়

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে এই হত্যার বিচার দাবী করে বিগত সময়ে অনেক লেখা লিখেছিলাম। প্রতিটি লেখায় আমি হত্যা ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য দাবি জানিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিগত সরকার এই হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি বা সঠিকভাবে তদন্তের উদ্যোগ নেয়নি। তাদের অগ্রহণযোগ্যতা এবং অবহেলার কারণে হত্যাকারীরা আজও শাস্তির আওতায় আসেনি।
তবে আজকের এই সময়ে, যখন দেশের পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তিত, তখন সময় এসেছে এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচন করার এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার। আমি বিশ্বাস করি, একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার দায়িত্ব এই হত্যার বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জনগণের সামনে সঠিক তথ্য এবং প্রমাণ উপস্থাপন করা। আজকের দিনে, আমি আবারও দৃঢ়ভাবে দাবি জানাচ্ছি, এই হত্যার ন্যায্য বিচার হোক এবং যারা এর পেছনে রয়েছেন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক। ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি, সাংবাদিক সাগর সরোয়ার এবং তার স্ত্রী সাংবাদিক রুনি তাদের নিরপরাধ জীবনে এক মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন। রাজধানী ঢাকায় নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন সাগর-রুনি দম্পতি। একটি নিষ্পাপ শিশু তাঁদের পাশে ছিল, কিন্তু সে কেবল শূন্য দৃষ্টি নিয়ে দেখেছিল পাষাণ হৃদয়ের খুনিদের নিষ্ঠুরতা।
এটি শুধুমাত্র একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি একটি সমাজের জন্য একটি গভীর দুঃখজনক ঘটনা, যেখানে একজন নিষ্ঠুর খুনি নির্মমভাবে দুটি মূল্যবান প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাদের মৃত্যু শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো জাতির জন্য শোক ও বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাগর সরোয়ার এবং রুনি ছিলেন সততা, দায়িত্ববোধ এবং নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রতীক। তাঁদের জীবন ছিল সাংবাদিকতা এবং সমাজের কল্যাণে নিবেদিত। কিন্তু তাঁরা নিহত হলেন—তাদের অপরাধ ছিল তাদের নিরপেক্ষ ও সাহসী মতামত তুলে ধরা। হত্যাকারীরা তাঁদের পরিচিত ছিল, তবে কেন এবং কী কারণে তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল, তা আজও অজানা। তদন্ত সত্ত্বেও খুনিরা আজও গ্রেপ্তার হয়নি, আর তাঁদের পরিবারের জন্য স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়ার কোন আশা নেই।
এটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি আমাদের সমাজের শাসক ও আইনপ্রণেতাদের প্রতি একটি বার্তা ছিল—যতদিন না দোষীদের শাস্তি হবে, ততদিন এই ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ সম্ভব নয়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড আজও আমাদের মনে দাগ কেটে থাকে।
এমন হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া, সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন না হওয়া, এবং তাঁদের পরিবারকে ন্যায়বিচার না পাওয়া—এগুলি আমাদেরকে এই প্রশ্নের দিকে নিয়ে যায়, যে—আমরা কি আদৌ ন্যায়বিচার পাচ্ছি?
আজ, সাগর-রুনির মৃত্যু দিবসে আমাদেরকে তাঁদের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার জন্য একত্রিত হতে হবে, যাতে পরবর্তী কোনো পরিবার এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিটি হৃদয়ে থাকবে তাঁদের শোক, তাঁদের স্মৃতি, আর আমাদের প্রতিজ্ঞা—একদিন এই নিষ্ঠুর হত্যার বিচার হবেই।
মো. কামাল উদ্দিনঃ
আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে এই হত্যার বিচার দাবী করে বিগত সময়ে অনেক লেখা লিখেছিলাম। প্রতিটি লেখায় আমি হত্যা ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য দাবি জানিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিগত সরকার এই হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি বা সঠিকভাবে তদন্তের উদ্যোগ নেয়নি। তাদের অগ্রহণযোগ্যতা এবং অবহেলার কারণে হত্যাকারীরা আজও শাস্তির আওতায় আসেনি।
তবে আজকের এই সময়ে, যখন দেশের পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তিত, তখন সময় এসেছে এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচন করার এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার। আমি বিশ্বাস করি, একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার দায়িত্ব এই হত্যার বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জনগণের সামনে সঠিক তথ্য এবং প্রমাণ উপস্থাপন করা। আজকের দিনে, আমি আবারও দৃঢ়ভাবে দাবি জানাচ্ছি, এই হত্যার ন্যায্য বিচার হোক এবং যারা এর পেছনে রয়েছেন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক। ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি, সাংবাদিক সাগর সরোয়ার এবং তার স্ত্রী সাংবাদিক রুনি তাদের নিরপরাধ জীবনে এক মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন। রাজধানী ঢাকায় নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন সাগর-রুনি দম্পতি। একটি নিষ্পাপ শিশু তাঁদের পাশে ছিল, কিন্তু সে কেবল শূন্য দৃষ্টি নিয়ে দেখেছিল পাষাণ হৃদয়ের খুনিদের নিষ্ঠুরতা।
এটি শুধুমাত্র একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি একটি সমাজের জন্য একটি গভীর দুঃখজনক ঘটনা, যেখানে একজন নিষ্ঠুর খুনি নির্মমভাবে দুটি মূল্যবান প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাদের মৃত্যু শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো জাতির জন্য শোক ও বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাগর সরোয়ার এবং রুনি ছিলেন সততা, দায়িত্ববোধ এবং নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রতীক। তাঁদের জীবন ছিল সাংবাদিকতা এবং সমাজের কল্যাণে নিবেদিত। কিন্তু তাঁরা নিহত হলেন—তাদের অপরাধ ছিল তাদের নিরপেক্ষ ও সাহসী মতামত তুলে ধরা। হত্যাকারীরা তাঁদের পরিচিত ছিল, তবে কেন এবং কী কারণে তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল, তা আজও অজানা। তদন্ত সত্ত্বেও খুনিরা আজও গ্রেপ্তার হয়নি, আর তাঁদের পরিবারের জন্য স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়ার কোন আশা নেই।
এটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি আমাদের সমাজের শাসক ও আইনপ্রণেতাদের প্রতি একটি বার্তা ছিল—যতদিন না দোষীদের শাস্তি হবে, ততদিন এই ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ সম্ভব নয়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড আজও আমাদের মনে দাগ কেটে থাকে।
এমন হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া, সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন না হওয়া, এবং তাঁদের পরিবারকে ন্যায়বিচার না পাওয়া—এগুলি আমাদেরকে এই প্রশ্নের দিকে নিয়ে যায়, যে—আমরা কি আদৌ ন্যায়বিচার পাচ্ছি?
আজ, সাগর-রুনির মৃত্যু দিবসে আমাদেরকে তাঁদের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার জন্য একত্রিত হতে হবে, যাতে পরবর্তী কোনো পরিবার এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিটি হৃদয়ে থাকবে তাঁদের শোক, তাঁদের স্মৃতি, আর আমাদের প্রতিজ্ঞা—একদিন এই নিষ্ঠুর হত্যার বিচার হবেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট