বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে এমন কিছু পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা সততা, পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ওসি মো. আব্দুল করিম। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। একজন পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা-ওসি আব্দুল করিম পুলিশের একজন নিবেদিতপ্রাণ সদস্য, যিনি কখনোই দলীয় রাজনীতির প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করেননি। তাঁর পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে তিনি কেবল আইন, ন্যায়বিচার ও জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। পুলিশিং জীবনের শুরু থেকেই তিনি কঠোর পরিশ্রম, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিগত সময়ে তিনি বোয়ালখালী ও চট্টগ্রাম শহরের ইপিজেড থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিটি স্থানে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তাঁর দক্ষ পুলিশিং কৌশল এবং জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ তাঁকে একজন সফল ওসি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কোতোয়ালি থানার দায়িত্ব গ্রহণ ও সফলতা- ২৮ নভেম্বর ২০২৪ সালে ওসি আব্দুল করিম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থানা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি থানার কার্যক্রমে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনেন। এক সময় যে থানা বিভিন্ন বিতর্ক ও অনিয়মে জর্জরিত ছিল, তা তাঁর হাত ধরে নতুন ধারায় পরিচালিত হতে শুরু করে। কোতোয়ালি থানা একসময় “বাণিজ্য সংস্থা”র মতো পরিচালিত হতো, যেখানে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে ওসি আব্দুল করিম দায়িত্ব গ্রহণের পর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি থানার
কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফেরান এবং জনগণকে দ্রুত ও কার্যকরী পুলিশ সেবা প্রদান নিশ্চিত করেন। তাঁর নেতৃত্বে থানা এখন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের সাথে পরিচালিত হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাঁর ভূমিকা-
ওসি আব্দুল করিম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একের পর এক কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি শহরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে কঠোর নজরদারি বাড়ান এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানায় গ্যাং অপরাধ, ছিনতাই, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছে। তিনি নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ টহল, চেকপোস্ট ও গোপন গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অপরাধীদের দমন করেন। এভাবে কোতোয়ালি থানার অধীনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন।
মানুষের সেবায় অগ্রগামী এক পুলিশ কর্মকর্তা- ওসি আব্দুল করিম শুধু আইন প্রয়োগকারী নয়, বরং জনগণের প্রকৃত বন্ধু হয়ে কাজ করছেন। তাঁর দরজা সবসময় জনগণের জন্য খোলা থাকে। তিনি থানায় আগত প্রতিটি মানুষকে যথাযথ সম্মান ও আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
তাঁর উদ্যোগে থানায় “ওপেন হাউজ ডে” চালু হয়েছে, যেখানে সাধারণ জনগণ সরাসরি এসে নিজেদের অভিযোগ ও সমস্যার কথা বলতে পারেন। এই পদক্ষেপের ফলে থানার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনসাধারণের আস্থা আরও মজবুত হয়েছে।
সততা ও
ন্যায়পরায়ণতার দৃষ্টান্ত-
বাংলাদেশ পুলিশের অনেক কর্মকর্তা রাজনৈতিক চাপের মুখে নিজেদের নীতি বিসর্জন দিতে বাধ্য হন। কিন্তু ওসি আব্দুল করিম ব্যতিক্রম। তিনি তাঁর পুরো ক্যারিয়ারে কখনো রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। তাঁর জন্য আইনের শাসনই প্রধান এবং তিনি আইনের বাইরে কোনো কিছুই গ্রহণ করেন না।
তাঁর সততা ও নিষ্ঠার জন্য তিনি তাঁর সহকর্মীদের কাছেও অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি কঠোর কিন্তু ন্যায়পরায়ণ। তিনি সবসময় তাঁর টিমকে আইন ও শৃঙ্খলা মেনে চলার নির্দেশনা দেন এবং অসাধুতা বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। একজন সাহসী ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা-ওসি আব্দুল করিম কেবল দক্ষ প্রশাসক নন, তিনি একজন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবেও পরিচিত। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছেন এবং বড় বড় অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় এনেছেন। বিভিন্ন সময় তিনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। তাঁর সাহসিকতা ও দৃঢ় মনোবল তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি কখনো কোনো অপরাধীকে ছাড় দেন না এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। জনগণের আস্থা অর্জন ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা- আজকের দিনে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু ওসি আব্দুল করিম সেই আস্থার সংকট দূর করেছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, একজন সৎ, দক্ষ ও পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা কিভাবে জনগণের জন্য কাজ করতে পারেন।
জনগণ চায় ওসি আব্দুল করিমের মতো কর্মকর্তারা পুলিশের উচ্চপর্যায়ে নেতৃত্ব দিন। তাঁরা চান, তাঁর মতো নিষ্ঠাবান ওসি আরও থানায় দায়িত্ব পান, যাতে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হয়।
ওসি আব্দুল করিম একজন আদর্শ পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি সততা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে জনগণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি থানা জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। তাঁর নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানা আজ এক নতুন রূপ লাভ করেছে এবং এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
কোতোয়ালি থানা এলাকার সাধারণ মানুষেরা বলেন-
সরকার পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু ওসি আব্দুল করিমের মতো সৎ ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা সবসময় জনস্বার্থে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। তাঁর এই অবদান চট্টগ্রাম মহানগরীর জনগণের জন্য গর্বের বিষয় এবং ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আমরা আশাবাদী।