প্রতিদিনই চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতার উদ্দিনের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে এবং থানার আওতাধীন এলাকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তার অবিচলিত নেতৃত্ব ও কঠোর মনোভাবের কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীর এই এলাকা এখন এক নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। গত কয়েক মাসে, আফতার উদ্দিন থানায় যোগদানের পর থেকে অপরাধ দমনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে তার পরিচালিত অভিযানগুলো স্থানীয় জনগণের মধ্যে এক ধরনের আশ্বাস সৃষ্টি করেছে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, আফতার উদ্দিন কখনোই মিথ্যা মামলা বা অনৈতিক উপায়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তার পুলিশিং নীতি হচ্ছে: অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর, কিন্তু ন্যায্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তার এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত নয়, বরং পুলিশের প্রতি আস্থাশীল করেছে। সেই সঙ্গে, তিনি সবসময় মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং নিশ্চিত করছেন যে, কোনো অপরাধী আইনের বাইরে নয়। আজকের এই লেখাটি, মূলত আফতার উদ্দিনের ক্রমবর্ধমান সফলতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, যা প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামে আসছে। তার অপরাধ নিধনে অসামান্য কার্যক্রম ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার কারণে চান্দগাঁও থানা বর্তমানে একটি সফল পুলিশিংয়ের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্হানীয়রা যা বলেন-
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) আওতাধীন চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতার উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অপরাধ দমনে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, জুয়াড়ি, প্রতারক, ভূমিদস্যু এবং রাজনৈতিক অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় অপরাধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
ওসি আফতার উদ্দিনের সবচেয়ে বড় গুণ হলো তিনি সত্যের পক্ষে থেকে কাজ করেন। তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে আপোষহীন মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন এবং কোনো ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করেন না। মামলা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে চান্দগাঁও থানায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গাজীপুর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় যোগদানের পর থেকেই তার পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি অপরাধ দমনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন, যা চান্দগাঁও থানা এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিশেষ করে, আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ রোধ, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্তদের আইনের আওতায় আনতে ওসি আফতার উদ্দিন কঠোর ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া, তিনি চাঁদাবাজি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা অপরাধীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য জনবান্ধন পুলিশিং বাস্তবায়নে কাজ করছে। থানায় আসা সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত ও ন্যায্য সেবা পায়, সেজন্য তিনি নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
বর্তমান সময়ে অপরাধ দমনে কঠোর ও জনবান্ধন পুলিশিংয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। ওসি আফতার উদ্দিন তার কর্মদক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে চান্দগাঁও থানায় একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার মতো দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, যা জনসাধারণের আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। তার পুলিশিং দায়িত্ব পালন সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যথেষ্ট সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর, পুলিশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে আফতার উদ্দিন তার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি থেকে পরিত্রাণ এনে তিনি দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে এক আস্ত্বাশীল পুলিশ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে চান্দগাঁও থানা এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এসেছে এবং এলাকার মানুষ পুলিশের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধার করেছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ, মিথ্যা মামলা রোধ এবং পুলিশিং সার্ভিসে স্বচ্ছতা আনার জন্য তার বিশেষ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি যে ধরনের দায়িত্বশীলতা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছেন, তা পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।