1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

অবৈধ টাকার অভিশাপ: ক্ষমতার মোহ, পরিবারে পতন এবং সত্যিকারের সম্মানের শিক্ষা

মো.কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে
Bangladeshi Taka banknotes in a cash fan mosaic pattern. Bangladesh BDT 1000 money notes. Abstract concept of bank, finance, economy decorative design background 3d illustration.

অবৈধ টাকার অভিশাপ
টাকা, ক্ষমতা ও পতন শহরের এক প্রান্তে গড়ে উঠেছিল বিশাল এক অট্টালিকা, যার মালিক ছিলেন রফিক সাহেব। এক সময় সাধারণ চাকরিজীবী ছিলেন, কিন্তু অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই তার হাতে বিপুল সম্পদ এসে যায়। এলাকায় নতুন বিলাসবহুল বাড়ি, ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা, দামি গাড়ি—সবই তার ছিল। সবাই তাকে “সমাজসেবক” বলে ডাকত, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হতো। তবে তার সম্পদের উত্স ছিল অস্বচ্ছ। ঘুষ, দুর্নীতি, জমি দখল, অসাধু ব্যবসা—এসব করেই তিনি রাতারাতি কোটিপতি বনে গিয়েছিলেন। তার চারপাশে ছিল কিছু তোষামোদকারী, যারা দিনরাত তার প্রশংসায় ব্যস্ত থাকত।
টাকার মোহ রফিক সাহেব বুঝতে পারেননি, তার টাকার মোহই একদিন তার কাল হবে। তার সন্তানরা বিলাসিতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, নৈতিকতা তাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। তার স্ত্রীও একসময় পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন, কিন্তু অঢেল অর্থ পেয়ে তিনিও বদলে যান—প্রতিদিন দামি শপিং, পার্টি আর বিদেশ ভ্রমণেই মেতে থাকতেন। একদিন, হঠাৎ তার বড় ছেলে জুয়া খেলতে গিয়ে বিশাল অঙ্কের ঋণে জড়িয়ে পড়ে। সে বাবার কাছ থেকে টাকা দাবি করলে রফিক সাহেব রাগারাগি করেন। কিন্তু তখন তো তার সন্তানরা শিখে গেছে—”টাকা দিয়েই সব মেলে।” এক রাতে, ছেলেটি বন্ধুদের নিয়ে বাবার ঘরে ঢুকে, লকার ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

অবৈধ টাকার অভিশাপ
এরপর একের পর এক দুর্যোগ নেমে আসে রফিক সাহেবের জীবনে।
ছোট ছেলেটি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়, কারণ তার কাছে এখন স্বামী নয়—টাকাই আসল।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যে জায়গাগুলো দখল করেছিলেন, আদালতের রায়ে সেগুলো ফেরত দিতে হয়। তারই এক বিশ্বস্ত কর্মচারী একদিন তার দুর্নীতির সব প্রমাণ ফাঁস করে দেয়, এবং তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
এক সময় যাদের টাকা দিয়ে কাছাকাছি রেখেছিলেন, তারা সবাই দূরে সরে যায়। তোষামোদকারীরা নতুন টাকার মালিক খুঁজে নেয়।

শেষ পরিণতি

জেলখানার নির্জন কক্ষে বসে রফিক সাহেব ভাবতে থাকেন—
“এই টাকা কি আমাকে সুখ দিয়েছিল? আমার পরিবার কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসত, নাকি কেবল আমার অর্থের জন্য?”
তার মনে পড়ে সেই পুরোনো দিনগুলোর কথা, যখন স্বল্প বেতনের চাকরি করলেও স্ত্রী-সন্তানদের ভালোবাসায় ঘরটা ছিল শান্তির আশ্রয়। কিন্তু অবৈধ টাকার মোহে পড়ে তিনি সেই সুখের সংসারকে ধ্বংস করেছেন।
আজ তার কাছে টাকা নেই, সম্মান নেই, পরিবার নেই—শুধু একাকিত্ব আর অনুশোচনা। অবৈধ টাকার উত্থান যত দ্রুত হয়, তার পতনও তত দ্রুত ঘটে। এই সমাজে টাকার মূল্য থাকলেও, সত্যিকারের সম্মান আসে সততা ও নৈতিকতা থেকে। তাই অঢেল টাকা নয়, মানুষের ভালোবাসা ও সৎ জীবনই আসল সম্পদ। শিক্ষণীয়: টাকা দিয়ে সব কেনা যায় না, বিশেষ করে সুখ ও শান্তি। টাকা দিয়ে সব কেনা যায় না, বিশেষ করে সুখ ও শান্তি টাকা মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয়, কিন্তু সেটাই যদি জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়, তাহলে একসময় সেই টাকা হয়ে ওঠে দুর্ভাগ্যের কারণ। টাকা দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমি-সম্পত্তি কেনা যায়, কিন্তু শান্তি কেনা যায় না। টাকা দিয়ে চিকিৎসা কেনা যায়, কিন্তু সুস্থতা কেনা যায় না।
টাকা দিয়ে বিছানা কেনা যায়, কিন্তু ঘুম কেনা যায় না।
টাকা দিয়ে নকল বন্ধু কেনা যায়, কিন্তু আসল বন্ধুত্ব কেনা যায় না।
টাকা দিয়ে সম্পর্ক গড়া যায়, কিন্তু ভালোবাসা কেনা যায় না।
টাকা দিয়ে অভিনয় করা সম্মান পাওয়া যায়, কিন্তু সত্যিকারের মর্যাদা পাওয়া যায় না।
অবৈধ টাকা সাময়িক ক্ষমতা ও সুখ এনে দিতে পারে, কিন্তু সেটার স্থায়িত্ব নেই। অন্যায় পথে উপার্জিত অর্থ একসময় মানুষের জীবন থেকে শান্তি, বিশ্বাস ও সত্যিকারের আনন্দ কেড়ে নেয়। তাই, প্রকৃত সুখ খুঁজতে হলে টাকা নয়—সততা, নৈতিকতা ও ভালোবাসার মূল্য বুঝতে হবে।
“শুধু টাকার পেছনে ছুটলে হয়তো অনেক কিছু পাওয়া যায়, কিন্তু জীবনের আসল সম্পদ—সুখ, শান্তি ও ভালোবাসা হারিয়ে যায়।”টাকার মোহ এবং সমাজের বাস্তবতা টাকা বড়ই আজব এক জিনিস। যার কাছে টাকা আছে, সমাজে তার কদরও বেশি। টাকা থাকলে মানুষ সবকিছু পেতে পারে, কিন্তু যখন টাকা ফুরিয়ে যায়, তখন সে অনেক কিছুর অর্থ বুঝতে শেখে। টাকা থাকলে, তুমি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, কিন্তু টাকা শেষ হলে আমন্ত্রণপত্রও হারিয়ে যায়।
টাকা থাকলে, তুমি গ্রামের প্রধান, কিন্তু টাকা না থাকলে কেউ তোমার খোঁজও নেবে না।
টাকা থাকলে, তুমি বিশিষ্ট সমাজসেবক, কিন্তু টাকা ফুরিয়ে গেলে মানুষ তোমাকে ভুলে যাবে।
টাকা থাকলে, তুমি জনগণের নেতা, কিন্তু টাকা না থাকলে রাজনীতি তোমার দরজা বন্ধ করে দেবে।
টাকা থাকলে, তুমি গরিবের বন্ধু, কিন্তু টাকা চলে গেলে কেউ তোমার দরজায় আসবে না।
টাকা থাকলে, তুমি মা-বাবার দায়িত্বশীল ছেলে, কিন্তু টাকা না থাকলে তোমার কর্তব্যও ছোট হয়ে যাবে। টাকা থাকলে, তুমি শ্বশুর-শাশুড়ির আদরের জামাই, কিন্তু টাকা না থাকলে অপমান জুটবে কপালে।
টাকা থাকলে, তুমি ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কিন্তু টাকা ফুরিয়ে গেলে বন্ধুরাও দূরে সরে যাবে। টাকা থাকলে, তুমি বউয়ের কাছে প্রিয় স্বামী, কিন্তু টাকা না থাকলে হয়তো ভালোবাসার অভাব টের পাবে। টাকা থাকলে, তুমি সন্তানের কাছে সেরা বাবা, কিন্তু টাকা না থাকলে হয়তো সন্তানের মনেও তোমার জন্য জায়গা কমে যাবে।
টাকা থাকলে, তুমি নেওয়াপরান বাদশা, কিন্তু টাকা শেষ হলে কেউ তোমার দিকে ফিরেও তাকাবে না।
টাকা থাকলে, তুমি মহৎ মানুষ, কিন্তু টাকা হারালে সমাজ তোমাকে তুচ্ছ করে দেখবে।
টাকা থাকলে, তুমি প্রিয় আত্মীয়, কিন্তু টাকা না থাকলে আত্মীয়রাও দূরত্ব বজায় রাখবে।
টাকা থাকলে, তুমি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, কিন্তু টাকা শেষ হলে কেউ তোমার পাশে থাকবে না।
টাকা বনাম মানবতা
আজকের সমাজে টাকার মূল্য সবচেয়ে বেশি, কিন্তু টাকার মোহে যদি ন্যায়বোধ ও মানবতা হারিয়ে যায়, তাহলে সেই টাকা শুধু কাগজের টুকরো ছাড়া আর কিছু নয়। একজন মানুষ টাকার জন্য সম্মানিত হয়, কিন্তু তার নৈতিকতা, সততা ও ভালোবাসা যদি না থাকে, তাহলে সে আসলে একা ও অসহায়। টাকা আসবে-যাবে, কিন্তু মানুষের আসল সম্পদ তার মানবিকতা, ভালোবাসা, সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ।
তাই, টাকা থাকলেই সব হয় না। জীবনে টাকার পাশাপাশি সততা, ন্যায়বোধ, ভালোবাসা ও মানুষের প্রতি সহমর্মিতা থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
টাকার অহংকার বনাম সত্যিকারের সম্মানিত মানুষ
পৃথিবীতে অনেকেই টাকার অহংকারে নিজেদের ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন। বিলাসিতা, ক্ষমতা ও টাকার মোহে তারা নৈতিকতা হারিয়েছেন, ইতিহাসে তারা কেবল ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছেন। কিন্তু অপরদিকে, এমন কিছু মহান ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের জীবনে টাকা বা বিত্তের আধিক্য ছিল না, তবুও তারা মানবতা, জ্ঞান, নৈতিকতা, আত্মত্যাগ এবং সত্যবাদিতার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হয়েছেন। নীচে এমন কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম এবং তাদের সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনি তুলে ধরা হলো, যারা বিত্ত-বৈভব ছাড়াই আজীবন সত্যিকারের মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।

১. মহাত্মা গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৮)

বিশ্বব্যাপী অহিংসা ও মানবতার প্রতীক
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তিনি অহিংসা, সত্যাগ্রহ ও মানবতার পক্ষে সারাজীবন কাজ করেছেন। বিলাসিতাকে উপেক্ষা করে তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন, নিজ হাতে কাপড় বুনতেন, এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন। তার জীবন ছিল সত্য ও নৈতিকতার প্রতীক।

২. মাদার তেরেসা (১৯১০-১৯৯৭)

দরিদ্র ও অসহায় মানুষের আশ্রয়দাতা
মাদার তেরেসা ছিলেন এক আলবেনীয় ক্যাথলিক নান, যিনি ভারতে এসে অসহায়, দরিদ্র ও অসুস্থ মানুষের সেবা করেছেন। তার নিজের কোনো সম্পদ ছিল না, তিনি সারাজীবন অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান, কিন্তু সেই অর্থও গরিবদের কল্যাণে ব্যয় করেন।

৩. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮-২০১৩)

বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামী নেতা
দক্ষিণ আফ্রিকার এই মহান নেতা তার জীবনের ২৭ বছর জেল খেটেছেন শুধুমাত্র বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। তিনি কখনো টাকার মোহে পড়েননি, ক্ষমতার অহংকার করেননি। তিনি নিজের স্বার্থ ভুলে গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করেছেন, এবং দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

৪. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫)

গরিব কৃষক থেকে আমেরিকার মহান প্রেসিডেন্ট
আব্রাহাম লিংকন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট। তিনি এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং কঠোর পরিশ্রম করে বড় হন। টাকার অভাব তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি দাসপ্রথা বিলোপ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনেতা হিসেবে পরিচিত হন।

৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান১৯২০-১৯৭৫

বাংলাদেশের জাতির পিতা,শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন এক নেতা, যিনি ক্ষমতার জন্য নয়, বরং মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল সহজ ও সাধারণ। তিনি সবসময় দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়েছেন এবং শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়েছেন।

৬. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫)

বিজ্ঞানের মহান পুরুষ বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বিলাসিতার জীবন পছন্দ করতেন না। তার পোশাক, জীবনযাপন, খাবার—সবকিছুই ছিল সাধারণ। তিনি সম্পদের পেছনে না ছুটে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

৭. মা শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)

সাহিত্যের মহাপুরুষ
বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী লেখক শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একেবারেই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি তার লেখার মাধ্যমে সমাজের অন্যায়-অবিচার তুলে ধরেছেন। তিনি কখনো বিলাসী জীবনযাপন করেননি, তার কাছে মানুষের দুঃখ-বেদনা বুঝতে পারাই ছিল আসল জীবন।

৮. হযরত মুহাম্মদ (সা.) (৫৭০-৬৩২ খ্রিস্টাব্দ)

ইসলামের মহান নবী তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল চরম সরল ও বিনয়ী। তিনি সম্পদের মোহ ত্যাগ করে মানবতার জন্য কাজ করেছেন, গরিবদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।

৯. বুদ্ধ (৫৬৩ খ্রিস্টপূর্ব – ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্ব)

আধ্যাত্মিক জ্ঞানের মহান নেতা গৌতম বুদ্ধ এক সময় ছিলেন রাজপুত্র, কিন্তু তিনি রাজপ্রাসাদ ছেড়ে মানবকল্যাণ ও আত্মজ্ঞান লাভের পথে চলে যান। তিনি দেখেছিলেন, টাকা ও ক্ষমতা মানুষের সুখ এনে দিতে পারে না। তিনি দুঃখমুক্তির উপায় হিসেবে অহিংসা ও সত্যবাদিতার শিক্ষা দেন। টাকার অহংকার বনাম সত্যিকারের সম্মান এই মহান ব্যক্তিরা প্রমাণ করেছেন যে টাকা না থাকলেও মানুষ সম্মানিত হতে পারে, যদি তার নৈতিকতা, সততা ও আত্মত্যাগের মানসিকতা থাকে।
অনেক ধনী ব্যক্তি টাকা ও ক্ষমতার অহংকারে পতনের দিকে গিয়েছেন। কিন্তু যারা সত্যিকারের সম্মান অর্জন করেছেন, তারা টাকার পরিবর্তে সততা, জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবতার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
“টাকা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু সত্যিকারের মানবতা ও নৈতিকতা চিরস্থায়ী।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট