চট্টগ্রামের বাকলিয়া শাহ আমানত সোসাইটিতে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় নজিমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে খুঁটি সরানোর চেষ্টা করছেন। এতে আশপাশের প্লট মালিকদের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি বড় ধরনের সংঘর্ষেরও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খুঁটি সরানোর পেছনে টাকার লেনদেন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নজিমুল ইসলাম তার জমির উপর থাকা দুটি বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী, খুঁটি অপসারণ করতে হলে তা কারও ক্ষতি না করে, যথাযথ অনুমোদন নিয়ে করতে হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, নজিমুল ইসলাম নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের মোটা অংকের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত খুঁটি সরানোর চেষ্টা করছেন। প্লট মালিকদের ক্ষতির আশঙ্কা স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, খুঁটি সরানো হলে আশপাশের প্লটের অবকাঠামোগত স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে। অনেকেই তাদের প্লট বিক্রি বা নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন, কিন্তু খুঁটি অপসারণের ফলে তাদের সম্পত্তির মূল্যহ্রাস ও আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তারা আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, খুঁটি সরানোর কাজ জোরপূর্বক চালানো হলে এলাকাবাসী প্রতিবাদে নামবে, যা বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।
প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ ও সতর্কতা
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী সতর্ক করে দিয়েছেন যে, বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং কোনো অনিয়ম হলে তা বরদাশত করা হবে না। তবে অভিযোগ রয়েছে, মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে নজিমুল ইসলামের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করছেন।
এলাকাবাসীর দাবি: খুঁটি যেন না সরানো হয়, বাকলিয়া শাহ আমানত সোসাইটির সাধারণ মানুষ ও প্লট মালিকরা একত্রিত হয়ে দাবি তুলেছেন, টাকার বিনিময়ে যেন কোনোভাবেই বিদ্যুতের খুঁটি সরানো না হয়। তারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তদন্ত করে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, খুঁটি অপসারণের বিষয়ে স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভে ফুঁসছে। তারা ইতোমধ্যেই একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন, জোরপূর্বক খুঁটি সরানোর চেষ্টা করা হলে তারা কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এতে মারাত্মক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এবং সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কি এবার নজিমুল ইসলামের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? নাকি টাকার জোরে খুঁটি সরানোর মতো অন্যায় আবারও বাস্তবে পরিণত হবে? এলাকাবাসী এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুবিচারের অপেক্ষায়।