1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দৃষ্টি আকর্ষণ পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধরা পড়েছে সংঘবদ্ধ নারী চোরচক্রের ৩ সদস্য মুরাদনগরে চাচার উপর ভাতিজার হামলা; বাড়িঘর ভাংচুর কুষ্টিয়ায় ব্জ্রপাতে কৃষক ও ট্রলি চালকের মৃ’ত্যু মানবিকতার অভাবে উৎপলের মৃত্যু: গার্মেন্টস খাতে আর কত জীবন ঝরবে! ১৯৯১-এর সেই বিভীষিকাময় ২৯ এপ্রিল: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ” আলোর দীপ্তি: এক নারী শিক্ষকের জীবনচিত্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি অনুমোদিত — ফরহাদুল হাসান সভাপতি, সাহেদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক প্যাকেজ ব্যবসার আড়ালে পতিতাবৃত্তি, চোলাই মদ ও অস্ত্র সরবরাহে ওয়াসীমের অপরাধ সাম্রাজ্য! চট্টগ্রামে ওয়াসার পানিতে কেচু! জনস্বাস্থ্যের হুমকি, নাগরিক ফোরামের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান!

সাদ্দামের ফাঁসি : শতাব্দীর জঘন্যতম প্রহসন

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

ইরাকের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে শতাব্দীর জঘন্যতম প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হল। সাদ্দাম হোসেন এর জন্ম ২৮ শে এপ্রিল ১৯৩৭ সালে। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সামরিক আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত করে সাদ্দামের ছেলে ও শুভাকাক্সিক্ষকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। সাদ্দামের বিচার হয় মার্কিন আশীর্বাদপুষ্ট বিচারকের প্রহসনমূলক বিচার ব্যবস্থায়। বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর পবিত্র কোরবানীর দিন। ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত এবং জানুয়ারি রাতে ’০৭ একটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপতিকে রাতের অন্ধকারে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা যা পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম প্রহসনমূলক বিচার হিসেবে বলা চলে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ার সন্ত্রাসী হামলায় ধ্বংস হয়। সৌদি বংশোদ্ভূত লাদেন কর্তৃক এই ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে বলে স্বীকৃত হলেও তারই অজুহাত দিয়ে ইরাককে দোষারোপ করা হলো। এরই ফলশ্রুতিতে ২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাকে মার্কিন সামরিক হামলার মাধ্যমে সেখানকার হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা সম্পূর্ণ মানবতা বিবর্জিত। এই হত্যাকা- আবারো ইতিহাসে জঘন্যতম বলে স্থান পেল। পবিত্র কোরবানীর ঈদে প্রতিটি মুসলমান তথা বিবেকতাড়িত মানুষকে হতবাক করে দিয়ে আমেরিকার বুশ সরকার মানবাধিকার ও ধর্মীয় চেতনায় মারাত্মকভাবে আঘাত হানে। এই কোরবানীর ঈদেও সেই সাদ্দাম তথা ইরাকের উপর বুশ প্রশাসনের লোমহর্ষক ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০০৭ সালে মুসলমানদের তিনটি পবিত্র ঈদ উদযাপিত হয়েছে তার দু’টি কোরবানী ঈদ একটি রমজানের ঈদ। নতুন বছরেও কোরবানী ঈদের আনন্দের পরিবর্তে সাদ্দামের উপর নির্মমতার শোক ও দু:খ ভরে গিয়েছিল। অলৌকিকভাবে শেষ হলো কোরবানী ঈদের মাধ্যমে বিদায়ী ’০৭ সাল। বিদায়ী বছরে বড় ধরনের সাফল্য ও সফলতা না থাকলেও তবে দেশের রাজনৈতিক অরাজকতার অবসান হয়েছে। ১১ জানুয়ারি নিরপেক্ষ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে বলা যায়। সম্প্রতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ সিডর আঘাতে মানব বিপর্যয়ের পরও দেশের মানুষ স্বস্তিবোধ করছে যা অপ্রিয় হলেও সত্য।
ইরাকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
ইরাকের দাপ্তরিক নাম ‘রিপাবলিক অব ইরাক’।
প্রাচীন নাম : মেসোপটোমিয়া। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটাস এই দুই নদীর তীরে ইরাক। ১২৫৮ সালে মঙ্গোলীয়দের দখলের পূর্ব পর্যন্ত ইরাক আব্বাসীয়দের অধীনে ছিল। অটোম্যানদের দখলের আগে ১৫৩৪-৩৫ সালে প্রথম মহাযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত ইরাক অটোম্যান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। প্রথম মহাযুদ্ধের পরে বিজয়ী শক্তি অটোম্যান সাম্রাজ্যের আরব প্রদেশগুলোকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। এই ভাগাভাগির ফলশ্রুতিতে ১৯২০ সালে বর্তমান ইরাক রাষ্ট্রের পত্তন হয়। যুদ্ধকালীন প্রায় পুরো সময় ব্রিটেন ইরাকের প্রধান নগরীসমূহ দখল করেছিল। সে কারণে লিগ অব নেশানস্ এর প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্টশিপের আওতায় ব্রিটেনকে ইরাক ভূখ-ে অনিবার্য শক্তি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯১৮-৩২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা হাসেমমাইট রয়্যাল ফ্যামিলির সঙ্গে যৌথভাবে ইরাক শাসন করে। ১৯৩২ সালে মক্কার হাসেমমাইট রাজা ফয়সাল ইবনে হুসনের অধীনে ইরাক সাংবিধানিকভাবে রাজতন্ত্র এবং স্বাধীন রাজ্য হিসাবে আবির্ভূত হয়। ১৯৫৮ সালে মিলিটারি ক্যুর মাধ্যমে রাজতন্ত্রের উচ্ছেদ হয়। ১৯৬৮ সালে বাথ পার্টির সাদ্দাম হোসেন একটি সফল ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। বাথ পার্টির আদর্শ ছিল প্যান আরব ঐক্য। স্বাধীনতা এবং সমাজতন্ত্র। ১৯৬৮ সালে প্রণীত প্রভিশনাল সংবিধান অনুযায়ী ইরাক একটি আরব সোসালিস্ট রিপাবলিক রূপ ধারণ করে। বাথ পার্টির আদর্শ মতে বাথ ন্যাশনাল কমান্ড সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের অধিকারী যা ধারণাগত ভাবে (ঐুঢ়ড়ঃযবঃরপধষষু) সমগ্র আরব জগতকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাথ রিজিওনাল কমান্ড কম্পোনেট স্টেট অব ইরাক নিয়ন্ত্রণ করেছে রেভ্যুলেশনারি কমান্ড কাউন্সিল বা আর সি সি হচ্ছে ইরাকের সর্বোচ্চ জাতীয় কর্তৃপক্ষ। যার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশটি পরিচালিত হতো। আরসিসি’ প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাদ্দাম হোসেন অঢেল তেল সম্পদে সমৃদ্ধ ইরাক মূলত একটি ধনী দেশ। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সব দিক থেকে জনগণ এক কথায় উচ্চমানের জীবনযাপন করেছে। কিন্তু ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট ইরাকের কুয়েতে আগ্রাসন এবং এর ফলে ৬ আগস্ট ইরাকের ওপর জাতিসংঘ আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে বিগত ১৭ বছরে দেশের অবস্থা পুরোপুরি উল্টে যায়। ইরাকে মোট রপ্তানি আয়ের ৯৫%-৯৭% ভাগই আহরিত হত তেল থেকে। অবরোধের কারণে মূল সম্পদ তেল রপ্তানি করতে না পারায় ইরাক মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়। সরবরাহ না থাকার দরুন পানি বিদ্যুৎসহ সর্বস্তরে অবকাঠামো ধসে পড়ে। ১৯৯১ সালে যুদ্ধের কারণে বিদেশি টেকনিশিয়ান ও উপদেষ্টাদের দেশত্যাগ এবং বৈদেশিক মুদ্রা, খুচরা যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালের অভাব সত্বেও সারা দেশে সাদ্দাম সরকার পানি, বিদ্যুৎ, পয়:নিষ্কাশন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মৌলিক সেবাগুলো পুন:স্থাপন ও কার্যকর করে তুলেছিল। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধৈর্যের সাথে মোকাবেলার জন্য দেশবাসীর প্রতি সাদ্দাম হোসেনের উদাত্ত আহবান ছিল। ওষুধ ও খাদ্যপণ্যের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও যেহেতু অর্থাগমের পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অতএব খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের আমদানি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে গেল। ফলে অপুষ্টি ও মৃত্যুর হার বেড়ে যায় অনেকগুণ। কেননা, ইরাকের খাদ্য চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ হলো আমদানি নির্ভর। অবরোধ আরোপের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সরকার ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাবলিক খাদ্য রেশন পদ্ধতি চালু করে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণকে খাদ্য সরবরাহ করা হতো নামমাত্র মূল্যে। কিন্তু পরিমাণের দিক থেকে এই রেশন প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারছিল না। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দৈনিক এনার্জি চাহিদা ৬০%-৭০% এর মাধ্যমে মিটেছে বলে জানা যায়। এই ব্যবস্থা ব্যাপক দুর্ভিক্ষাবস্থা ঠেকাতে পারলেও ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি এবং মৃত্যুর হার ঠেকাতে পারেনি। সার, উন্নত বীজ, খুচরা যন্ত্রাংশ এসব মৌলিক উপাদান আমদানি করতে না পারার ফলে চেষ্টা সত্ত্বেও দেশীয় কৃষি উৎপাদন প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারছিল না। খোলা বাজারে বেসরকারি চ্যানেলে আসা যেসব খাদ্য পণ্য পাওয়া যায় তার মূল্য অত্যন্ত বেশি। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অথচ অবরোধের পূর্বে ভোগ্যপণ্যাদি সাদ্দাম সরকার আমদানি করত এবং অত্যাধিক মাত্রায় ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করত জনগণের কাছে। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হিসাবে খাদ্যের অভাবে প্রতি মাসে সাড়ে চার হাজার ইরাকি শিশু মারা গেছে। ইরাকের নিজস্ব হিসাব মতে অবরোধের পর শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েছে ৫০ গুণ। জন্ম নিয়েছে অপুষ্টি এবং কম ওজনের শিশু। এফএও এর নেতৃত্বে গ্রুপ অ্যান্ড নিউট্রিশন স্টেটাস এসেসমেন্টমিশন এর রিপোর্টে গর্ভবতী নারীর ৪৮% ভাগ রক্তশূন্যতায় ভুগছে।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী অবরোধ পরবর্তী সময়ে ম্যালেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ প্রয়োজনীয় কেমিক্যালস ও খুচরা যন্ত্রাংশের অভাব এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানি বিশুদ্ধকরণ অবকাঠামো এবং পয়:প্রণালী ব্যবস্থা ধসে পড়া। পানি সংক্রান্ত আরো একটি সমস্যা হলো সেচ ব্যবস্থার অচলাবস্থা। দক্ষিণ ইরাকের মাটির উচ্চ লবণাক্ততা দূর করার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ড্রেনেজ ও সেচ ব্যবস্থা। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে কারিগরি পদ্ধতি কাজ না করায় সেচ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে।
অবরোধের পরে শ্রম বাজারের ব্যাপক পরিবর্তন হলে ইরাকের মধ্যবিত্ত শ্রেণী যারা মূলত চিকিৎসক, শিক্ষক, সরকারি বেসরকারি কর্মচারীদের বেতন ৫০% থেকে ৭০% বৃদ্ধি করে ‘মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করা হলেও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এই শ্রেণী ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পেশাভিত্তিক দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যাপক হারে ইনফরমাল সেক্টরে যোগ দিচ্ছে। বেশি আয়ের চেষ্টায় পুরুষ শিক্ষকরা চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে যোগ দিচ্ছে। নারী শিক্ষকরা চাকরি ছেড়ে দিয়ে যাতায়াত ও পোশাকের খরচ বাঁচাবার চেষ্টা করে আসছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সাদ্দাম সরকার। আগে যেখানে শুধু আরব দেশ থেকেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কর্মশক্তি ইরাকের প্রতি আকৃষ্ট হতো, আজ সেই ইরাকের কর্মশক্তি নিজের দেশ ছেড়ে বাইরে চলে যাবার চেষ্টায় রত। সংবাদে প্রকাশ, রাস্তাঘাটে দেখা যায়, মানুষ নিজ ঘর সংসারের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। নামমাত্র মূল্যে ঐ সব মালামাল ক্রয় করার ক্রেতাও পাওয়া যায় না ‘বিশেষ করে ফার্নিচার’। ছোট ছেলেমেয়েদেরকে রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা যায়। আগে যেটা ইরাকিদের জন্য অকল্পনীয় ছিল। খুচরা ব্যবসা এবং হকার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি, ডাকাতি। ইরান-ইরাক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ১৯৮০ সালে ইরাকের শ্রম ও সমাজ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অসহায় ও দুস্থদের (বৃদ্ধ পঙ্গু, কম রোজগারি কিংবা রোজগারবিহীন পরিবার, বেকার ইত্যাদি) দায়িত্ববোধের উদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রথা চালু করেছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে এদের সংখ্যা এতই বেড়ে গেল যে সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচির আওতার বাইরে চলে যায়। ১৯৯১ সালে সরকার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এগিয়ে আসে। ইরাকি দিনারের অবমূল্যায়নের ধারণার সীমা একেবারে ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে যেখানে ৩ ইউএস ডলার সমান এক দিনার ছিল সেখানে বর্তমানে ১ ইউএস ডলার সমান ২৭০০ ইরাকি দিনার। তবে মুদ্রার মূল্য ওঠানামা করে থাকে সাধারণত রাষ্ট্র শাসনের ভারসাম্যের ওপর।
প্রতিদিন শত শত সুন্দরী মহিলা পতিতাবৃত্তি কাজে লিপ্ত হচ্ছে যা অপ্রিয় হলেও সত্য। সাদ্দাম সরকার পতনের পরও ইরাকের রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত কোন ধরনের পরিবর্তন আসেনি। তবে আমেরিকা সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুশ সরকারের ইরাক নীতি এবং ইরাক যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সারা পৃথিবীর সভ্য ও যুদ্ধবিরোধী সচেতন মানুষরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি আমেরিকার হোয়াইট হাউসের সামনে শত শত প্রতিবাদকারী ইরাক থেকে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানান। একটি দেশ ও একটি জাতিকে যে কোন প্রভাবশালী দেশ যে কোন সময়, ধ্বংস করে ফেলতে পারে ‘যার প্রমাণ ইরাক’। প্রতিদিন ইরাকে কোন না কোন স্থানে আত্মঘাতি বোমা ব্যবহারে শত শত নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে। জাতিসংঘের অবরোধের কারণ ও আমেরিকার আক্রমণে যে পরিমাণ ইরাকি মানুষ নিহত হয়েছে সে তুলনায় সাদ্দামের নির্দেশে কুর্দি বিদ্রোহ দমনে নিহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুই না। তবুও সাদ্দামকে যেভাবে হোক প্রহসনমূলক বিচারে তথাকথিত বিচারকদের বিচারের রায়ে ঈদুল আযহার রাতে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তা সভ্য বিশ্বের কাছে কতটুকু সভ্যময় ঘটনা তা বিবেচনার দাবি রাখে।

লেখক: সাংবাদিক, উপস্থাপক, প্রাবন্ধিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট