1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
নবীনগরে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি পীরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে শহিদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল বকশীগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত  জুলাই আন্দোলনে নিহত বিশালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ পাঁচবিবি উপজেলা প্রশাশনের! বিএনপি’র  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘অন্যের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন পঞ্চগড়ে পাঁচটি ফিলিং ষ্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা জয়পুরহাটে রেমিট্যান্স যোদ্ধা সম্মাননা নিয়ে সমালোচনার ঝড়,বিতর্কিত ব্যক্তির হাতে ক্রেস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গলাচিপায় বিএনপির সুসংগঠিত শক্তি প্রদর্শন ও আনন্দ র‌্যালি আবুল হাসানকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের সহিংসতার নির্মম চিত্র! ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান

তারেক রহমানের সাহসী সহযোদ্ধা: এম এ হাসেম রাজুর সংগ্রামী পথচলা

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

আমার দেখা এম এ হাসেম রাজু

—মো. কামাল উদ্দিনঃ

আমি এম এ হাসেম রাজুর হাত ধরে রাজনীতির পথে পা রেখেছিলাম। কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সময় রাজু ভাই ছিলেন আমার পথপ্রদর্শক। তখন এস এম ফরিদ ছিলেন সভাপতি, তার আগের কমিটিতে এম এ হাসেম রাজু সভাপতি আর ফরিদ ভাই সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজু ভাই ঢাকায় চলে গেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেই সময়ের স্মৃতি আজও আমার মনে গেঁথে আছে।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজু ভাই ছিলেন রাজপথের এক অকুতোভয় সৈনিক। আমি যখন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, তখন রাজু ভাইয়ের সাহচর্যে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি। তার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ বেকার পুনর্বাসন সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সভাপতির পদেও তিনি আমাকে পাশে পেয়েছিলেন। রাজু ভাই আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে সংগঠন গড়ে তুলতে হয়, কীভাবে জনসমক্ষে বক্তব্য দিতে হয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করা থেকে শুরু করে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কৌশল পর্যন্ত—সবকিছু হাতে ধরে শিখিয়েছেন তিনি। একবার ঢাকায় কে এম ওবায়দুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের সামনে আমাকে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তার মতো একজন নেতা আমাকে এমন সুযোগ দিয়েছেন, এটা আমার জীবনে বড় প্রাপ্তি। আজ এম এ হাসেম রাজু তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে তার আবেদন পৌঁছে দিতে চাচ্ছেন।
অনেকে হয়তো প্রশ্ন তুলবে—আমি কেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সম্মেলনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল, আজও আছে। কিন্তু আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হইনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর শেখ হাসিনা—এ দুটি বিষয় এক নয়, ঠিক যেমন জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানও এক নন। বঙ্গবন্ধু যেমন ইতিহাসের এক অধ্যায়, তেমনি জিয়াউর রহমানও। ইতিহাস তাদের নিজস্ব গতিতে মূল্যায়ন করবে। আজ প্রয়োজন এম এ হাসেম রাজুর মতো তৃণমূলের কর্মীদের মূল্যায়ন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার (আংশিক) মানুষের জন্য রাজু ভাইকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক অভিজ্ঞতা তাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে।


সংশোধিত আবেদনপত্র
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম-১৪)
নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি তৃণমূল থেকে গড়ে উঠা পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা)-এর সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-পরিবেশ পরিষদের সাবেক সদস্য এবং শহীদ জিয়া শিশু-কিশোর ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম. এ. হাশেম রাজু-এর পক্ষ থেকে বিনীত নিবেদন।
প্রিয় এলাকাবাসী, আসসালামু আলাইকুম।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অসীম রহমতে আশা করি, আপনারা সকলে ভালো আছেন। বীরপ্রসবিনী চন্দনাইশের সন্তান হিসেবে আমি আপনাদের সামনে কিছু কথা নিবেদন করতে চাই। সুদীর্ঘ ৪৫ বছরের রাজনৈতিক পথচলায় আমি আপনাদের ঘরের ছেলে, এই এলাকার মাটি ও মানুষের ভালোবাসায় বেড়ে উঠেছি। চন্দনাইশ থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু হয়। জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বহুবার কারাবরণ করেছি, কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কাজ করার সংকল্প থেকে এক মুহূর্তের জন্যও পিছপা হইনি। কেন্দ্রীয় রাজনীতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং পরিবেশ সুরক্ষার কাজে সক্রিয় থেকেও আমার প্রিয় জন্মভূমি চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার মানুষের কথা কখনো ভুলে যাইনি।
নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছি। ১/১১-এর সময় মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের জরুরি আইন ভঙ্গ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে সর্বপ্রথম মিছিল ও মানববন্ধন আয়োজন করি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে অংশ নিয়ে পাঁচবার কারাবরণ করি। আমার বিরুদ্ধে ৫৭টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, যার কারণে দীর্ঘ সময় ঘরছাড়া থাকতে হয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন উপেক্ষা করেও আমি সবসময় আপনাদের কথা, দেশ ও জনগণের অধিকারের কথা বলে এসেছি।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকির ঘটনায় ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র মামলা আমি করেছি। এ কারণে আমি আওয়ামী সরকারের নানা হুমকি ও নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছি।
দেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং আজকের ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে পেরেছি।
এই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, অর্জন ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই। যদি আপনাদের দোয়া, আশীর্বাদ ও সহযোগিতা পাই, তাহলে আপনাদের জন্য, আমার জন্মভূমি চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাব। আমি আপনাদেরই ঘরের ছেলে, আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।
মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত আপনাদের সবার উপর বর্ষিত হোক। আমিন।
তারেক রহমান আজ উপমহাদেশের অবিসংবাদিত কিংবদন্তি নেতা। রাজনৈতিক পরিপূর্ণতা অর্জন করে তিনি এখন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে যথেষ্ট যোগ্য ও আন্তরিক—এটাই বিশ্বাস করেন সাধারণ মানুষ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে এম. এ. হাসেম রাজু সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।

চন্দনাইশে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য হাসেম রাজুকে বহু আন্দোলন করতে হয়েছে। চট্টগ্রাম তথা দেশের মানুষ জানে, এই সংগ্রাম সহজ ছিল না। বিশেষ করে তারেক রহমান নিজেও জানেন, জিয়া পরিবারকে বিলীন করতে কর্নেল অলি আহমেদের ভূমিকা কতটা নিষ্ঠুর ছিল। সেই দুর্দিনে হাসেম রাজু জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পাশে দাঁড়িয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট