চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাচনী বাতাসে আজ বিজয়ের উষ্ণ পরশ। প্রতীক্ষার প্রহর শেষে মোরশেদ-আজাদ প্যানেল ঐতিহাসিক জয়ের মুকুট পরেছে, যা হাসপাতালের গৌরবময় ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
ভোটের দিন সকালে হাসপাতালের আঙিনায় যখন পা রাখি, চারপাশে ভাসছিল স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল এক নির্বাচনী পরিবেশ। শান্তিপূর্ণ সেই ভোট উৎসবের মধ্যেই যেন এক বিশ্বাস জেগে উঠেছিল—জয় আসবেই।
মনের কোণে যে প্রত্যাশার আলো জ্বলে উঠেছিল, আজ তারই বাস্তব প্রতিফলন দেখছি। এই বিজয়ের কান্ডারি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন, রেজাউল করিম আজাদ, ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এবং ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী—তাঁদের অবদান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতিটি ইট-পাথরে লেখা থাকবে। তাঁদের নিরলস পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সেবার মানসিকতা আজ হাসপাতালের পরতে পরতে জয়ের গল্প লিখেছে।
আমি যখন কলম ধরে লিখেছিলাম এই প্যানেলের সাফল্যের কথা, তাঁদের অঙ্গীকারের কথা, তখন মনে হয়েছিল—এই মানুষগুলো হাসপাতালের প্রতিটি মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য যে নিঃশর্ত ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
আজকের এই বিজয় কেবল একটি নির্বাচনী ফল নয়, বরং এটি হাসপাতালের উন্নয়নের সিঁড়িতে একটি নতুন ধাপ। মোরশেদ-আজাদ প্যানেল তাদের কর্মদক্ষতা, সততা ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাসপাতালের সকল স্তরের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। আমি এই প্যানেলের বিজয়ী সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, তাঁরা মা ও শিশু হাসপাতালের সেবার মান আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবেন, এবং এই হাসপাতাল চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।