1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন: সাহসী সাংবাদিকতার অগ্রদূত

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বিশেষ কিছু ইতিহাস রচনা করেছে, যেখানে সত্যের সন্ধানে কোনো ধরনের আপস করা হয়নি। সেই ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল কিরণ হলো দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন। এই পত্রিকা শুধু একটি সংবাদমাধ্যম নয়, বরং চট্টগ্রামের মানুষের কথা বলা, তাদের দুঃখ-কষ্টের গল্প শোনানোর এক অমর পথিকৃৎ। দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পত্রিকাটির প্রতিটি প্রতিবেদন ছিল নিষ্ঠাবান, নির্ভীক, এবং বাস্তবতার প্রতি অবিচল। এটি বিশেষত সাহসী সাংবাদিকতার এক জীবন্ত উদাহরণ, যা শাসক মহল, প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সুর তুলেছে এবং কখনোই দমন-পীড়নে নত হয়নি। পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক সময়ে সাহসী আপোষহীন সাংবাদিক আইয়ান শর্মা এবং সম্পাদক তৌফিক ভাই হলেন সাংবাদিকতার অদম্য প্রাণ। তাদের নেতৃত্বে, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন কখনোই সত্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। আইয়ান শর্মা সেই একজন দক্ষ নির্ভীক রুচিশীল সাংবাদিকতার পথিক , যিনি জানতেন, সাংবাদিকতার আসল কাজ হচ্ছে—সত্য প্রকাশ করা এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন, যেখানে সাংবাদিকরা শাসক মহলের ভয়কে উপেক্ষা করে, শুধুমাত্র সঠিক সংবাদ পরিবেশনেই মনোনিবেশ করবে।


এছাড়া, তৌফিক ভাই হচ্ছে একজন সাহসী সাংবাদিক, যার কলম সমাজের শোষণ, অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী অস্ত্র। তাঁর নেতৃত্বে, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন কখনোই সত্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব, যিনি জানেন—দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটাই আসল সাংবাদিকতার কাজ। তথ্যভিত্তিক, সাক্ষ্যপ্রমাণে দৃঢ়, নির্ভীক প্রতিবেদন প্রকাশে তিনি যে আদর্শ অনুসরণ করেছেন, তা চট্টগ্রামের গণমাধ্যমের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
চট্টগ্রামের স্থানীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনিক অবস্থার বিরুদ্ধে পত্রিকাটি অনেক সাহসী ও তাত্পর্যপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বিশ্ব বেয়াদব পলাতক আসামি ড. হাসান মাহমুদ, সেই সময়ের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পত্রিকার বিভিন্ন প্রতিবেদন, যা তাকে রোষানলে ফেলে। তথাপি, আইয়ান শর্মা এবং তৌফিক ভাই ও তাদের সাংবাদিক দল কখনোই ভয় পায়নি। কোনো অপপ্রচার বা ভয়াবহ রাজনৈতিক চাপের মুখেও তারা সত্যের পথ থেকে সরে আসেনি। তাঁরা জানতেন, যদি সঠিক তথ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করা হয়, তাহলে সত্যের জয় হবেই।
এই পত্রিকার সাহসী সাংবাদিকতার একটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিল এর রিপোর্টিংয়ের সততা এবং নিরপেক্ষতা। পত্রিকা কখনোই কোনো রাজনৈতিক পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখায়নি। চট্টগ্রামের কোন পাড়ায়, কোন গ্রামে, কোথাও কোন দুঃখের কথা বা ক্ষতির খবর ছড়িয়ে পড়লেও, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন তার আলোকে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দুর্নীতির, অপরাধের, এবং শোষণের বিরুদ্ধে তারা যে গৌরবময় যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, তা শুধুমাত্র একটি সংবাদমাধ্যমের কাজ নয়, এটি ছিল সমাজের সঠিক চিত্র তুলে ধরার এক মহান দায়িত্ব।
আইয়ান শর্মা এবং তার সাংবাদিক দল কখনোই পরোক্ষভাবে নিজের স্বার্থ চিন্তা করেননি। তারা যে খবরটি পরিবেশন করতেন বা এখনো করেন সেটি হলো সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং মানুষের প্রতি সম্মান। পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি জানতেন সাংবাদিকতার আসল কাজ হচ্ছে—প্রতিটি সমাজের অসঙ্গতি এবং অন্যায়কে তুলে ধরা। বিশেষ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর প্রতিবেদকদের যে নিষ্ঠা ও সাহস, তা অন্য কোনো সংবাদপত্রের সাংবাদিকরা হয়তো কল্পনাও করতে পারতেন কিনা সন্দেহ থাকে। তাঁরা কঠিন পরিস্থিতিতে, যেখানে সমাজে সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিকও ভয় পেতেন, সেখানে তারা দৃঢ়ভাবে পত্রিকা প্রকাশ করে গেছেন।
বিশেষত, বিগত সময়ের যখন শাসক দলের নেতারা পত্রিকার বিরুদ্ধে নানান হুমকি দিতে শুরু করেছিলেন, তখন আইয়ান শর্মা এবং তার সাংবাদিক দল তা কিছুতেই গ্রহণ করেননি। বরং তারা আরো দৃঢ়ভাবে তাদের পথ অনুসরণ করেছেন। পত্রিকাটি সংবাদ প্রকাশের জন্য কখনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের শিকার হয়নি, এবং সর্বদা সত্যের প্রতিও অবিচল ছিল।
এটি একটি বড় শিক্ষা, যা অন্যান্য সাংবাদিকদের জন্য এক উদাহরণ হয়ে আছে। বিশেষত আমি যখন দৈনিক ভোরের আওয়াজ ও The Daily Banner-এ যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি, তখন দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর সাংবাদিকতার আদর্শ আমার কাছে এক গভীর প্রেরণা হয়ে থাকে। তাদের মতো তথ্যভিত্তিক, নির্ভীক, এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ সংবাদ পরিবেশন করতে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি।
এভাবে, যদি আমাদের দেশের সকল সংবাদপত্র দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর মতো নির্ভীক মনোভাব নিয়ে কাজ করত, তবে নিশ্চয়ই সমাজে নানা ধরনের দুর্নীতি, অপরাধ এবং অনিয়ম অনেকাংশে কমে যেত। সমাজে স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার এবং সত্যের জয় প্রতিষ্ঠিত হতো। তবে এজন্য দরকার ছিল একটিই—সত্যের প্রতি অবিচল বিশ্বাস, এবং সাংবাদিকতার প্রতি এক গভীর দায়বদ্ধতা। আজ, যখন আমরা দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন এবং এর সাহসী সাংবাদিকদের কথা অনুসরণ করি, আমরা দেখতে পাই—এটি শুধু একটি পত্রিকা নয়, বরং একটি আন্দোলন, একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি শপথ। এটি আমাদের শিখিয়েছে, যেকোনো সামাজিক পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকতার শক্তি অপরিহার্য। দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর সংগ্রাম, তা জীবন্ত উদাহরণ, যে প্রতিটি সাংবাদিকের উচিত এর পথে এগিয়ে চলা—যতই বাধা আসুক না কেন, সত্যের প্রতি অবিচল থাকা উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট